৪ মোবাইল কোম্পানি থেকে সরকার পাবে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা

দেশের চার মোবাইলফোন অপারেটরের টুজি লাইসেন্স নবায়ন বাবদ সরকার পাচ্ছে ৭ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রামীণফোন ৩ হাজার ২৪২ কোটি, বাংলালিংক ১ হাজার ৯৭১ কোটি, রবি ১ হাজার ৯০০ কোটি ও সিটিসেল ৪৫০ কোটি টাকা দেবে। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে চার অপারেটরকে এই টাকার ৪৯ শতাংশ হারে গ্রামীণফোনকে ১ হাজার ৫৮৮ কোটি, বাংলালিংককে ৯৬৬ কোটি, রবি ৯৩১ কোটি ও সিটিসেলকে ২২১ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। বাকি টাকা দেড় বছরে তিন কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।

গত সোমবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC) চার মোবাইলফোন অপারেটরকে লাইসেন্স নবায়ন অনুমোদনের চিঠি পাঠিয়েছে। ওই চিঠিতে লাইসেন্স নবায়ন বাবদ সরকারকে প্রদেয় টাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অনুমোদনের চিঠি অনুসারে লাইসেন্স নবায়ন বাবদ গ্রামীণফোনকে আগের টাকার থেকেও অতিরিক্ত ৩৮৪ কোটি ও বাংলালিংকে ৪৭ কোটি টাকা দিতে হবে। চিঠি প্রাপ্তির পর ওইদিনই গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন, বিষয়টির ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে তারা বিটিআরসিকে চিঠি দেবেন।

গতকাল সন্ধ্যায় গ্রামীণফোনের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা কাজি মনিরুল কবির আমাদের সময়কে বলেন, আজ (গতকাল) আমরা বিটিআরসিকে চিঠি পাঠিয়েছি। চিঠিতে বিটিআরসির কাছ থেকে কিছু বিষয়ের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে। জবাব পেলে ৩৮৭ কোটি টাকার বিষয়টি নিয়ে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ ভাববে। এদিকে বাংলালিংকেরও বিটিআরসিতে চিঠি পাঠানোর কথা।

জানা গেছে, লাইসেন্স নবায়ন ও বকেয়া পাওনা মিলিয়ে গ্রামীণফোনের কাছ থেকেই সরকার পাচ্ছে ৬ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে লাইসেন্স নবায়নের জন্য সরকার পাচ্ছে ৩ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা (অতিরিক্ত ৩৮৭ কোটি টাকাসহ)। এ ছাড়াও সরকারের বকেয়া পাওনা আছে ৩ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। বিটিআরসির এক মহাপরিচালক বলেন, লাইসেন্স নবায়নের টাকার সঙ্গে সরকারের বকেয়া পাওনা ৩ হাজার ৩৪ কোটি টাকার কোনও সম্পর্ক নেই। এই টাকা গ্রামীণফোনের লাইসেন্স নবায়নে কোনও প্রভাব ফেলবে না। বিটিআরসি ইতিমধ্যে গ্রামীণফোনের লাইসেন্স নবায়নের আবেদন গ্রহণ করে অনুমোদনের চিঠি পাঠিয়েছে। এতে করে তাদের লাইসেন্সের সব জটিলতার অবসান হয়েছে।