থ্রিজি প্রযুক্তিসেবার জন্য নিলামের সর্বনিম্ন মূল্য দুই কোটি মার্কিন ডলার

তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) মুঠোফোন-প্রযুক্তিসেবার জন্য নিলামের সর্বনিম্ন মূল্য বা ন্যূনতম দর (বিড মানি) দুই কোটি মার্কিন ডলারের প্রস্তাব করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস প্রথম আলো ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘থ্রিজি নিলামে প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের দাম নির্ধারণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’ থ্রিজি সম্পর্কিত খসড়া নীতিমালায় প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের জন্য বিড মানি নির্ধারণ করা হয়েছিল তিন কোটি মার্কিন ডলার। তাতে পাঁচ মুঠোফোন অপারেটরের জন্য ১০ মেগাহার্টজ করে মোট ৫০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিলামের উল্লেখ করা হয়।
এখন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতি মেগাহার্টজে এক কোটি মার্কিন ডলার কমানো হলে নিলামে মোট ৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিড মানি কম আসবে। অপারেটরদের জন্য থ্রিজির লাইসেন্স মূল্যও কমে আসবে।
চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বলেছেন, থ্রিজি খসড়া নীতিমালা নিয়ে সাধারণ অংশীদার, বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছে। মুঠোফোন অপারেটররা থ্রিজি লাইসেন্স নেওয়ার পর যাতে গ্রাহক সুলভ মূল্যে সেবা পায়, তা বিবেচনা করেই প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের দাম নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে।
এদিকে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, চলতি মাসেই প্রাথমিকভাবে নীতিমালা চূড়ান্ত করে বিটিআরসির কাছে পাঠানো হবে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এ নীতিমালা চূড়ান্ত করার।
আর নীতিমালা চূড়ান্ত হলেই বিটিআরসি থ্রিজি নিলামের জন্য প্রস্তুতি নেবে বলে জানান বিটিআরসির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, আগামী বছরের শুরুতেই থ্রিজি লাইসেন্স নিলামের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতির কাজ জোরেশোরে চলছে।
পাঁচটি অপারেটরকে লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে গত ২৮ মার্চ থ্রিজি সেবা লাইসেন্সের খসড়া নীতিমালা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয় বিটিআরসি।

No comments:

Post a Comment