The post is collected from Retailer's facebook page.
বিগত দিনে চলমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে মোবাইল অপারেটরগুলো তাদের লাভের অংক ধরে রাখার জন্য কি কি পরিকল্পনা করতে পারে তার একটি যোক্তিক চিত্র তুলে ধরা হলো।
১. মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রাহকরা নিজেদের রিচার্জ নিজেরা করে নেওয়ার সার্ভিসটিকে ব্যাপক আকারে জনপ্রিয় করা।
২. সীম বিক্রয় পদ্ধতি কঠিনতরকরন।
সুপ্রিয় পাঠক ধৈর্য্য না হারিয়ে বাকিটুকু পড়ুন।
এতে মোবাইল অপারেটরের লাভ -
১. ডিষ্ট্রিবিউটর এবং রিটেইলারদের যে কমিশন দেওয়া লাগত তা বেঁচে যাবে। এবং গ্রাহকরাও যখন তখন নিজেদের রিচার্জ নিজেরাই সেরে নিবে।যদিও মোবাইল ব্যাংক সেবাদানকারী প্রতিষ্টানকে একটা কমিশন বা সার্ভিস চার্জ দিতে হয়।
২. সীম বিক্রয় পদ্ধতি কঠিনতরকরন করা হলে আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় মোবাইল অপারেটর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।কিন্তু এতে গ্রামীনফোন বা বাংলালিংক -এর মত বড় কম্পানীর লাভ সবচেয়ে বেশী।যেমন-
২ক. সীম ক্রয় কঠিনতর হলে গ্রাহকরা পুরনো সীম ব্যবহার বাড়াবে ফলে নতুন সীমের কর থেকে বেঁচে যাবে।
২খ. মোবাইল কম্পানী গুলোর মাঝে অসম প্রতিযোগীতা সৃষ্টি হবে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবে রাষ্ট্রীয় কম্পানী টেলিটক।
২গ. বড় বড় অপারেটরগুলো তাদের স্বনিন্ত্রিত কেয়ার সেন্টার, রিলেশনশীপ সেন্টার, ডিষ্ট্রিবিউশন সেন্টার দ্বারা সীম বিক্রয় চালু রাখতে পারবে খুব সহজেই। এ ক্ষেত্রেও সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবে রাষ্ট্রীয় কম্পানী টেলিটক।কারন তাদের কেয়ার সেন্টার খুবই অপ্রতুল এবং গ্রামীনফোন বা বাংলালিংক -এর মত অত স্মার্ট সার্ভিস না।
মোবাইল অপারেটরগুলো কি কি সমস্যার সম্মুখীন হবেন-
১. প্রথম পরিকল্পনার সমস্যাটা হলো 100% গ্রাহককে এই সেবার আওতায় আনা সম্ভব নয় এবং গ্রাহককে এ সার্ভিস এর ব্যবহার এবং অভ্যস্থকরণ সময় সাপেক্ষ।
২. দ্বিতীয় পরিকল্পনায় টেলিটকের মত কম্পানী বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।দ্রুত কেয়ার সেন্টারের অপ্রতুলতা কাটিয়ে উঠা কিংবা রাতারাতি সার্ভিসের মান উন্নয়ন করা টেলিটকের পক্ষে সম্ভব না।
রিটেইলারদের আশার কথা-
১. নামমাত্র মূল্যে মোবাইল ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা দেওয়ার কাজটা রিটেইলাররা করে থাকবেন। তাতে লাভের লাভ মোবাইল অপারেটর এবং মোবাইল ব্যাংক সেবাদানকারী সংস্থারই।যার কমিশন আরোও কম। (এটা রিটেইলারদের জন্য আশার না হতাশার দিক ব্যবসায়ী বন্ধুগন আপনারাই ঠিক করে নিন।)
২. গ্রাহককে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটদের বিভিন্ন সার্ভিস এক্টিভেশন এবং প্রোডাক্ট প্রমোশনে রিটেইল শপ যেভাবে বিনা পয়সায় কাজ করে এটা কম্পানী হারাতে চাইবে না।
৩. এই ধরনের বিকল্প সার্ভিসে গ্রাহকরা অভ্যস্থ্ হতে যেহেতু সময় লাগবে সেহেতু ততদিন পর্যন্ত টপ আপ বা রিচার্জ সেবাটি চালিয়ে নেবার জন্য রিটেইলারদের প্রয়োজন হবেই।
৪. মোবাইল অপারেটরদের সীম বিক্রয় এর জন্য কাষ্টমারের দোড় গোড়ায় রিটেইলার প্রয়োজন হবে।
হতাশার কিছু দিক-
১. বিকল্প টপআপ/রিচার্জ পদ্ধতির ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বাড়বেই তাতে রিটেইলাররা তাদের লাভ হারাবেন।
২. সময়ে সময়ে সীম বিক্রয়ের নীতিমালার কারণে সীম বিক্রয় পদ্ধতি কঠিনতর হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে খুব শ্রীঘ্রই অনলাইনে সীম এক্টিভেশন পদ্ধতি চালু হতে যাচ্ছে ফলে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট পরিচালনায় অক্ষম রিটেইলাররা সীম বিক্রয়ের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।
মুনাফাখোর মোবাইল অপারেটরগুলো কোন ধর্ম নেই। লাভই তাদের একমাত্র ধর্ম।এখানে আপনার অধিকার আদায় হলো কি খর্ব হলো এটা দেখার বিষয় তাদের মাঝে নেই। যাদের মাধ্যমে কোম্পানী গুলোর গড়ে উঠা নিজের প্রয়োজনে তাদের লাথি দিতে এরা দ্বিতীয় বার চিন্তা করবে না। পুঁজিবাদী অর্থনীতি ব্যবস্থায় পুঁজিপতিরা সমস্ত ব্যবসার লাভ ভোগ করে খুব সহজেই, আপনার আমার মত ক্ষুদ্র পুঁজির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এ ব্যবস্থায় কোন ঠাঁই নাই।
সমাধান-
ছোটবেলার একটা পড়া নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। আমি আপনাদের (ব্যবসায়ীদের) নতুন করে পড়াতে চাচ্ছি না শুধুমাত্র মনে করে দিতে চাচ্ছি- একতাই শক্তি, একতাই বল।
আসলে সমাধান একটাই।সময় থাকতে সংঘবদ্ধ হন। দ্রুত দাবী আদায়ে সর্বাত্নক চেষ্টা করুন। এবার দাবী আদায় না হলে। কোম্পানীগুলো আপনাদের ভুলতে সেকেন্ডের বেশী সময় নিবে না।
সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।।
No comments:
Post a Comment