- Back to Home »
- report »
- এশিয়ায় মোবাইল ব্যবহারকারী বছরশেষে ৩০০ কোটি ছাড়াবে
Source: Bonik Barta
২০১১ সালে প্রযুক্তি খাতে এশিয়ার অবদান বিশ্লেষণের পাশাপাশি ২০১২ সালে এ অঞ্চলের সম্ভাবনা
নিয়ে দ্য নেক্সট ওয়েবের সঙ্গে কথা বলেন সিঙ্গাপুরভিত্তিক মাইক্রোব্লগিং সাইট বাবলির প্রধান
নির্বাহী টম ক্লেটন। তাঁর বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে এশিয়া অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি
সম্পর্কে দ্য নেক্সট ওয়েব এ পূর্বাভাসগুলো দেয়
টুইটারের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হবে
এশিয়া অঞ্চলের মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিশ্বের অন্য যে কোনো অঞ্চলের তুলনায় বেশি। ক্লেটনের ধারণা, অত্যাধিক মোবাইল ব্যবহারকারীর সুবিধা নিয়ে এ অঞ্চলে জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। বিশেষ করে ২৪ কোটি জনগণের দেশ ইন্দোনেশিয়ায় টুইটারের ব্যবহারকারী সবচেয়ে বেশি বাড়বে বলে জানান ক্লেটন। তিনি বলেন, ‘এশিয়ায় ইন্টারনেট গ্রাহক কম ও মোবাইল ব্যবহারকারী বেশি। এ কারণে অঞ্চলটিতে প্রবৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। চলতি বছরে টুইট দেয়ার হিসাবে ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে যাবে।’
এ ছাড়া জাপানেও টুইটারের ব্যবহার বাড়বে বলে তিনি জানান। গত বছরের শেষ দিকে জাপানের সামাজিক যোগাযোগের সাইট মিক্সির সঙ্গে জোট বাধায় এ মাইক্রোব্লগিং সাইটটি লাভবান হবে বলে তিনি জানান।
এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়বে ফেসবুক
এরই মধ্যে এশিয়ায় ফেসবুকের বিপুল ব্যবহারকারী হয়েছে। কিন্তু চীনে এখনো ফেসবুক প্রবেশ করতে পারছে না। দ্য নেক্সট ওয়েবের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বিশ্বের সর্ববৃহত্ জনসংখ্যার দেশ চীনে প্রবেশের চেষ্টা করবে ফেসবুক। এদিকে ক্লেটনের ভাষ্য, চীনে ফেসবুক চালু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তিনি বলেন, চীনের কোনো সামাজিক যোগাযোগের সাইট অধিগ্রহণ করার মাধ্যমে এটি সম্ভব হতেও পারে। এ ছাড়া জাপান, কোরিয়া ও তাইওয়ানে বছরের শেষ নাগাদ ফেসবুকের গ্রাহকসংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছেন ক্লেটন। তিনি বলেন, এ বছরের শেষ নাগাদ এশিয়ার এ তিন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ও উপমহাদেশে এককভাবে আধিপত্য বিস্তার করবে ফেসবুক।
মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিশ্বের মোট মোবাইল গ্রাহকের অর্ধেক হবে
আগেই বলা হয়েছে, এশিয়ায় মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা অন্যান্য মহাদেশের তুলনায় বেশি। ক্লেটন বলেন, এ বছরের শেষ নাগাদ এ সংখ্যা আরও বাড়বে এবং বিশ্বের মোট মোবাইল ব্যবহারকারীর অর্ধেকই থাকবে এশিয়ায়। তিনি বিশ্বাস করেন, চলতি বছর এশিয়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আগের বছরের তুলনায় বাড়বে। এর পাশাপাশি ৪জি নেটওয়ার্কের সুবিধাও যোগ হবে এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪জি পৌঁছে গেছে এবং খুব তাড়াতাড়ি সিঙ্গাপুরেও এটি চালু হবে।
তিনি বলেন, মোবাইল ব্যবহারকারী বাড়ার পাশাপাশি এশিয়ার জনগণের যোগাযোগ মাধ্যমেও পরিবর্তনও আসবে। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে মোবাইল ব্রডব্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরের হিসাব অনুযায়ী চীনে থ্রিজি সুবিধা ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১০ কোটিরও বেশি, যা দেশটির মোট মোবাইল ব্যবহারকারীর ১০ শতাংশ। ভারতে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা ৮৫ কোটি ৯০ লাখ। এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া ও জাপান এ দুটি দেশেই মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটিরও বেশি।
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ কোটি ছাড়াবে
ক্লেটন জানিয়েছেন, এশিয়ার মোট মোবাইল ব্যবহারকারীর ১৯ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। এ বছর এ সংখ্যা আরও বাড়বে। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়ায় স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বাড়বে কিন্তু চীন, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ায় স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রবৃদ্ধির হার এক অঙ্কের ঘরে থাকবে। কিন্তু এ সত্ত্বেও সংখ্যাটি অনেক বড় হবে বলে জানান ক্লেটন। তিনি বলেন, ভারতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা মাত্র ৯ শতাংশ। কিন্তু সংখ্যার হিসাবে এর পরিমাণ প্রায় ৮ কোটি।
অ্যাপ্লিকেশনের সবচেয়ে বড় বাজার হবে চীন
অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের হিসাবে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র হলেও ক্লেটন বলেন, চলতি বছরই যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে সর্ববৃহত্ অ্যাপ্লিকেশনের বাজার হবে চীন। এ ছাড়া তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোয় অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের পরিমাণ ক্রমে কমলেও এশিয়ায় এর পরিমাণ বাড়ছে। —ভাষান্তর সানাউল সমু