- Back to Home »
- banglalink , report »
- Banglalink এম-ইন্স্যুরেন্স প্রত্যাশিত সাড়া পায়নি
Banglalink-এর এম-ইন্স্যুরেন্স প্রত্যাশিত সাড়া পায়নি চালু করার পর তিন মাস পেরিয়ে গেলেও প্রত্যাশিত সাড়া জাগাতে পারেনি বাংলালিংকের এম-ইন্স্যুরেন্স। বাংলালিংকের অন্য এম-ক্যাশ সেবাগুলো জনপ্রিয়তা পেলেও বীমার প্রচলিত প্রিমিয়াম পরিশোধব্যবস্থার কারণে নতুন এ সেবাটি এখনো গ্রাহকের কাছে তেমন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি।
গত অক্টোবরে ‘মোবাইল ক্যাশ ইন্স্যুরেন্স পে’ (এম ইন্স্যুরেন্স) নামে নতুন সেবা চালু করে মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জীবন বীমা করপোরেশনের (জেবিসি) সঙ্গে যৌথভাবে এ সেবা চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। এ সেবার আওতায় বাংলালিংকের গ্রাহকরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বীমার প্রিমিয়াম জমা দিতে পারেন।
বাংলালিংকের হেড অব এম-কমার্স সোলায়মান আলম বণিক বার্তাকে বলেন, জীবন বীমার বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ চালু রয়েছে। এসব প্যাকেজে ছয় মাস বা এক বছরের কিস্তিতে টাকা জমা দেয়ার নিয়ম রয়েছে। ফলে এ সেবার মাধ্যমে এখনো প্রত্যাশিত মাত্রায় সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া অন্য বীমা প্রতিষ্ঠানকে এ সেবার সঙ্গে যুক্ত করতে পারলে সাফল্য আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ সেবার জন্য খ্যাতনামা সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কমভিভার মোবিকুইটি এমএফএস (মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস) প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে বাংলালিংক। এ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এরই মধ্যে গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের বিল পরিশোধের মতো সেবা চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ইউএসএসডি (আনস্ট্রাকচার্ড সাপ্লিমেন্টারি ডাটা সার্ভিস) প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ সেবা দিচ্ছে বাংলালিংক।
বাংলালিংক ২০০৯ সালে মোবাইল ক্যাশ সার্ভিস চালু করে। বর্তমানে মোবাইলভিত্তিক বিল পরিশোধের বেশ কয়েকটি সেবা চালু আছে তাদের। এ ছাড়া মোবাইল টিকিটিং ও মোবাইল রেমিট্যান্স সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।কিন্তু বাংলালিংকের এ ধরনের অন্য সেবাগুলোর তুলনায় নতুন এ সেবাটি এখনো পিছিয়ে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চালু করা অন্য সেবার গ্রাহকরা প্রধানত প্রতি মাসে বিল জমা দেন। এ ছাড়া বিদ্যুত্, পানি, গ্যাসের বিল তুলনামূলক জরুরি ভিত্তিতে জমা দেন তারা। অন্যদিকে এম-ইন্স্যুরেন্সে প্রতি প্রান্তিকে কিংবা ছয় মাস পরপর বীমার প্রিমিয়াম দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ফলে নতুন এ সেবা এখনো সেভাবে সাড়া পায়নি বলে জানান প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা। তবে প্রান্তিকশেষে এ সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরও জানান, এ সেবা জনপ্রিয় না হওয়ার পেছনে আরেকটি কারণ প্রচারের অভাব।
এ সেবার আওতায় দেশব্যাপী জেবিসির সব পলিসিহোল্ডার নিজ নিজ মোবাইল ফোন অথবা বাংলালিংক ক্যাশ পয়েন্ট আউটলেটের মাধ্যমে জীবন বীমার প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে পারবেন। অন্যদিকে বাংলালিংকের গ্রাহকরাও মোবাইল ওয়ালেট ব্যালেন্স ব্যবহার করে নিজস্ব মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জীবন বীমার প্রিমিয়াম জমা দিতে পারবেন। এ ছাড়া গ্রাহকরা জীবন বীমা পলিসি শিডিউলের প্রিন্ট কপি প্রদর্শনের মাধ্যমে যেকোনো বাংলালিংক মোবাইল ক্যাশ পয়েন্ট আউটলেটে গিয়ে প্রিমিয়াম পরিশোধ ও টাকার রসিদ সংগ্রহ করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বীমা পলিসিহোল্ডারদের জন্য নতুন এ সেবা প্রিমিয়াম পরিশোধের একটি নিরাপদ, ব্যয়সাশ্রয়ী ও সহজতর উপায়। দেশজুড়ে বাংলালিংকের মোবাইল ক্যাশ পয়েন্ট চালু থাকার কারণে জেবিসির গ্রাহকরা সহজে প্রিমিয়াম জমা দিতে পারবেন।