- Back to Home »
- Spotlight »
- টেলিকম আইন ভঙ্গকারী বাংলালিংক
[ সংগৃহীত ]
প্রতিনিয়ত টেলিকম অ্যাক্ট ভঙ্গ করে বাংলাদেশে
ব্যবসা পরিচালনা করছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন কোম্পানী
বাংলালিংক। মিশরের মালিকাধীন ওরাসকম টেলিকম বাংলাদেশ লি. (বাংলালিংক)
বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ আইনকে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধাংগুলী দেখিয়ে সাধারন
গ্রাহকদেরকে প্রতারিত করে যাচ্ছে। বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ
নিয়ন্ত্রণ কমিশন) থেকে ক্রমাগত ডিরেক্টিভস দেয়ার পরও সেগুলোকে সামান্যতম
মূল্যায়নে আনছে না তারা। তাদ
ের আচরন অনেকটা
এমন যে, তৃতীয় বিশ্বের দরীদ্র একটি দেশে যা-ইচ্ছে তাই করা যায়। এবং পুরো
দেশকে যেন সেই উন্মাদনা দেখতে হবে। এটাই যেন আমাদের নিয়তি!
২০১১ সালের জুলাই মাস থেকে বাংলালিংক অনুমোদনহীন একটি প্যাকেজ বাজারে ছাড়ে, এবং গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিদিন সয়ংক্রিয়ভাবে ৪ (চার) টাকা করে কাঁটতে থাকে। বিটিআরসি থেকে তিন বার নির্দেশনা দেয়ার পরও তারা সেই প্যাকেজ তো বন্ধ করেই নি, উপরন্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে ৯২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকারও বেশি অর্থ কেটে নেয়। এটি পরিপূর্ণভাবে বাংলাদেশে টেলিকম অ্যাক্ট ২০০১-এর ভঙ্গন। এর পরেও তারা বাংলাদেশে ক্রমাগত ব্যবসা করে যাচ্ছে। সংগত কারণেই প্রশ্ন জাগে, বাংলালিংকের মতো একটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানে এতো সাহস পায় কোথা থেকে?
ঘটনাপ্রবাহ
৮ জুলাই ২০১১: বাংলালিংক "ডেইলী ফ্ল্যাট ট্যারিফ প্রমোশন" নামে একটি প্যাকেজ ছাড়ে যা তারা বিটিআরসি থেকে কোনও অনুমোদনই নেয়নি।
২ আগষ্ট ২০১১: বিটিআরসি থেকে ওই প্যাকেজটি বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১১: বাংলালিংক প্যাকেজটি বন্ধ না করায় বিটিআরসি থেকে ইনজাংকশন-সহ পুনরায় নির্দেশনা পাঠানো হয়; এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১: প্যাকেজটি বন্ধ না করে, বাংলালিংক কারণ দর্শানোর উত্তর পাঠিয়ে দেয়।
১৬ নভেম্বর ২০১১: ইনজাংকশন জারী করার পরও বাংলালিংক এই তারিখ পর্যন্ত প্যাকেজটি চালু রাখে, এবং গ্রাহকদের কাছ থেকে ৯২ কোটি ৩৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৫২৪ টাকা অবৈধ উপায়ে তুলে নেয়।
বারংবার বিটিআরসিকে তোয়াক্কা না করে ব্যবসা পরিচালনা করায় সর্বশেষ কমিশন বাংলালিংককে মাত্র ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করে, এবং পুরো ৯২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা গ্রাহককে ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে এভাবে নিয়ম ভেঙ্গে কোনও অপারেশন পরিচালনা না করার জন্য সতর্ক করে দেয়।
গত ২৩ আগষ্ট ২০১২ বিটিআরসি এই নির্দেশনা জারি করে। এবং এক মাসের মধ্যেই জরিমানার টাকা এবং গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিয়ে কমিশনকে রিপোর্ট করতে বলে।
বাংলালিংকের বিরুদ্ধে এটিই একমাত্র অভিযোগ নয়। আরো তিনটি বড় ধরনের আইন ভঙ্গের উদাহরণ রয়েছে। সংগত কারণেই কয়েকটি প্রশ্ন জনমনে উদয় হয়েছে-
১. বাংলালিংক বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করার এতো উদ্ধত্ত দেখায় কিভাবে?
২. জরিমানার টাকা মাত্র ১০ লক্ষ কেন?
৩. এতো বড় অপরাধের পরেও বাংলালিংকের লাইসেন্স নবায়ন করা হলো কেন?
৪. এর চেয়েও লঘু অপরাধে স্থানীয় পিএসটিএন কোম্পানীগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল। তাহলে বাংলালিংকের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না?
বাংলাদেশ একটি সব সম্ভবের দেশ। এখানকার গ্রাহকদের নিয়ে আপনি যা ইচ্ছে করতে পারেন। গ্রাহকদের অধিকার রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসে না। আবার কেউ কেউ এগিয়ে আসতে চাইলেও তার উপর খর্ব এসে উপস্থিত হয়। পুরো পরিস্থিতি বার বার এটাই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে, আমরা একটি তৃতীয় বিশ্বের দরীদ্র দেশ, আমাদের বলার কিছু নেই। চাইলেই কেউ বাইরে থেকে এসে আমাদেরকে ধর্ষণ করতে পারে। আর আমরা জাতি হিসেবে সেটা উপভোগও করতে পারি।
২০১১ সালের জুলাই মাস থেকে বাংলালিংক অনুমোদনহীন একটি প্যাকেজ বাজারে ছাড়ে, এবং গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিদিন সয়ংক্রিয়ভাবে ৪ (চার) টাকা করে কাঁটতে থাকে। বিটিআরসি থেকে তিন বার নির্দেশনা দেয়ার পরও তারা সেই প্যাকেজ তো বন্ধ করেই নি, উপরন্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে ৯২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকারও বেশি অর্থ কেটে নেয়। এটি পরিপূর্ণভাবে বাংলাদেশে টেলিকম অ্যাক্ট ২০০১-এর ভঙ্গন। এর পরেও তারা বাংলাদেশে ক্রমাগত ব্যবসা করে যাচ্ছে। সংগত কারণেই প্রশ্ন জাগে, বাংলালিংকের মতো একটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানে এতো সাহস পায় কোথা থেকে?
ঘটনাপ্রবাহ
৮ জুলাই ২০১১: বাংলালিংক "ডেইলী ফ্ল্যাট ট্যারিফ প্রমোশন" নামে একটি প্যাকেজ ছাড়ে যা তারা বিটিআরসি থেকে কোনও অনুমোদনই নেয়নি।
২ আগষ্ট ২০১১: বিটিআরসি থেকে ওই প্যাকেজটি বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১১: বাংলালিংক প্যাকেজটি বন্ধ না করায় বিটিআরসি থেকে ইনজাংকশন-সহ পুনরায় নির্দেশনা পাঠানো হয়; এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১: প্যাকেজটি বন্ধ না করে, বাংলালিংক কারণ দর্শানোর উত্তর পাঠিয়ে দেয়।
১৬ নভেম্বর ২০১১: ইনজাংকশন জারী করার পরও বাংলালিংক এই তারিখ পর্যন্ত প্যাকেজটি চালু রাখে, এবং গ্রাহকদের কাছ থেকে ৯২ কোটি ৩৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৫২৪ টাকা অবৈধ উপায়ে তুলে নেয়।
বারংবার বিটিআরসিকে তোয়াক্কা না করে ব্যবসা পরিচালনা করায় সর্বশেষ কমিশন বাংলালিংককে মাত্র ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করে, এবং পুরো ৯২ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা গ্রাহককে ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে এভাবে নিয়ম ভেঙ্গে কোনও অপারেশন পরিচালনা না করার জন্য সতর্ক করে দেয়।
গত ২৩ আগষ্ট ২০১২ বিটিআরসি এই নির্দেশনা জারি করে। এবং এক মাসের মধ্যেই জরিমানার টাকা এবং গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিয়ে কমিশনকে রিপোর্ট করতে বলে।
বাংলালিংকের বিরুদ্ধে এটিই একমাত্র অভিযোগ নয়। আরো তিনটি বড় ধরনের আইন ভঙ্গের উদাহরণ রয়েছে। সংগত কারণেই কয়েকটি প্রশ্ন জনমনে উদয় হয়েছে-
১. বাংলালিংক বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করার এতো উদ্ধত্ত দেখায় কিভাবে?
২. জরিমানার টাকা মাত্র ১০ লক্ষ কেন?
৩. এতো বড় অপরাধের পরেও বাংলালিংকের লাইসেন্স নবায়ন করা হলো কেন?
৪. এর চেয়েও লঘু অপরাধে স্থানীয় পিএসটিএন কোম্পানীগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল। তাহলে বাংলালিংকের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না?
বাংলাদেশ একটি সব সম্ভবের দেশ। এখানকার গ্রাহকদের নিয়ে আপনি যা ইচ্ছে করতে পারেন। গ্রাহকদের অধিকার রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসে না। আবার কেউ কেউ এগিয়ে আসতে চাইলেও তার উপর খর্ব এসে উপস্থিত হয়। পুরো পরিস্থিতি বার বার এটাই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে, আমরা একটি তৃতীয় বিশ্বের দরীদ্র দেশ, আমাদের বলার কিছু নেই। চাইলেই কেউ বাইরে থেকে এসে আমাদেরকে ধর্ষণ করতে পারে। আর আমরা জাতি হিসেবে সেটা উপভোগও করতে পারি।