- Back to Home »
- report »
- মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নীতিমালা প্রণয়ন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
সুবিধাবঞ্চিতদের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য
মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে যে কোনো ব্যাংক ওই নীতিমালা মেনে মোবাইলে আর্থিক সেবা বা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিতে পারবে। তবে এর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে আগাম অনুমোদন নিতে হবে। ইতোমধ্যে যারা এ সেবা দেওয়া শুরু করেছেন তাদের নতুন করে অনুমোদন নিতে হবে না। তবে তাদেরকেও ওই নীতিমালা মেনে চলতে হবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সম্প্রতি ব্যাংক খাতের দ্রুত প্রসার ঘটছে। দেশের সব মানুষের মধ্যে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানো সক্ষম হয়নি। বিশেষ করে অনুন্নত ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে এখনও ব্যাংকিং সেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানো সম্ভব। ফলে দেশব্যাপী মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা বঞ্চিতরা একটা সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে।
এ সেবা প্রদান করতে গিয়ে সব ধরনের ঝুঁকির জন্য (যেমন-তারল্য, পরিচালনা, প্রতারণা, টেকনিক্যাল) ব্যাংকগুলোকে দায়িত্ব নিতে হবে। এজেন্ট/ক্যাশ পয়েন্ট/পার্টনার/সহযোগী প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের জন্য ব্যাংকগুলো দায়িত্ব নেবে। লেনদেনের সব রেকর্ড ছয় বছরের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, আর্থিক সেবা খাতে একটি ভালো পরিবেশ তৈরির উদ্দেশ্যে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস সেবা প্রদানের একটি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো প্রণয়ন করা হয়েছে-যা অর্থের ব্যবহার কমাবে ও একই সঙ্গে সহযোগী অন্যান্য খরচও কমাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণীত এন্টি মানি লন্ডারিং আইন মেনে চলবে। এছাড়া জঙ্গি অর্থায়ন কমাবে এ সেবা। এছাড়া বৈধ আর্থিক সেবা বিশেষ করে গরিব ও ব্যাংক সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে কম খরচে সেবা প্রদানের জন্যই এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে যে কোনো ব্যাংক ওই নীতিমালা মেনে মোবাইলে আর্থিক সেবা বা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিতে পারবে। তবে এর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে আগাম অনুমোদন নিতে হবে। ইতোমধ্যে যারা এ সেবা দেওয়া শুরু করেছেন তাদের নতুন করে অনুমোদন নিতে হবে না। তবে তাদেরকেও ওই নীতিমালা মেনে চলতে হবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সম্প্রতি ব্যাংক খাতের দ্রুত প্রসার ঘটছে। দেশের সব মানুষের মধ্যে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানো সক্ষম হয়নি। বিশেষ করে অনুন্নত ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে এখনও ব্যাংকিং সেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানো সম্ভব। ফলে দেশব্যাপী মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা বঞ্চিতরা একটা সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে।
এ সেবা প্রদান করতে গিয়ে সব ধরনের ঝুঁকির জন্য (যেমন-তারল্য, পরিচালনা, প্রতারণা, টেকনিক্যাল) ব্যাংকগুলোকে দায়িত্ব নিতে হবে। এজেন্ট/ক্যাশ পয়েন্ট/পার্টনার/সহযোগী প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের জন্য ব্যাংকগুলো দায়িত্ব নেবে। লেনদেনের সব রেকর্ড ছয় বছরের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, আর্থিক সেবা খাতে একটি ভালো পরিবেশ তৈরির উদ্দেশ্যে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস সেবা প্রদানের একটি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো প্রণয়ন করা হয়েছে-যা অর্থের ব্যবহার কমাবে ও একই সঙ্গে সহযোগী অন্যান্য খরচও কমাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণীত এন্টি মানি লন্ডারিং আইন মেনে চলবে। এছাড়া জঙ্গি অর্থায়ন কমাবে এ সেবা। এছাড়া বৈধ আর্থিক সেবা বিশেষ করে গরিব ও ব্যাংক সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে কম খরচে সেবা প্রদানের জন্যই এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
নীতিমালা
অনুযায়ী মোবাইল অর্থসেবার মাধ্যমে ব্যাংকগুলো বৈদেশিক রেমিট্যান্স প্রদান
করতে পারবে। এছাড়া মোবাইল অ্যাকাউন্টধারীরা নগদ অর্থ আদান-প্রদানে এজেন্ট,
ব্যাংকের শাখা, এটিএম বুথ ও মোবাইল কোম্পানির আউটলেটে গিয়ে সম্পন্ন করতে
হবে। এর মাধ্যমে পারসন টু বিজনেস তথা
প্রয়োজনীয় সেবার বিল ও ব্যবাসায়িক বিল পরিশোধ করা যাবে। বিজনেস টু পারসন
তথা বেতন প্রদান, ডিভিডেন্ড ও রিফান্ড ওয়ারেন্ট পেমেন্ট, ভেন্ডর পেমেন্ট
করা যাবে। সরকার থেকে ব্যক্তির অর্থ পরিশোধে এ ব্যবস্থা ব্যবহার করা যাবে,
যেমন বয়স্ক, মুক্তিযোদ্ধা, অনুদান ইত্যাদি ভাতা প্রদান। ব্যক্তি থেকে সরকার
তথা ট্যাক্স পরিশোধ, ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি অর্থ পরিশোধ করা যাবে। এছাড়াও
ক্ষুদ্রঋণ, ওভারড্রাফট, ইন্স্যুরেন্সের কিস্তি ও ডিপিএস পরিশোধ করা যাবে এই
সেবার মাধ্যমে।
অন্যান্য দেশে ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে এ সেবা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশেও শুধু ব্যাংকগুলো এ সেবায় নেতৃত্ব দেওয়ার অনুমোদন পাবে। এর মাধ্যমে তাদের মনোনীত এজেন্টদের মাধ্যমে সেবা প্রদান করতে পারবে। গ্রাহকদের হিসাব ‘মোবাইল অ্যাকাউন্ট’ হিসেবে অভিহিত হবে। মোবাইল অ্যাকাউন্ট হবে চেকমুক্ত একটি হিসাব।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিতে হলে আগ্রহী ব্যাংককে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে যে ধরনের সেবা দিতে ইচ্ছুক তার চুক্তিনামা দাখিল করতে হবে। ক্যাশ পয়েন্ট বা এজেন্টের নাম ও ঠিকানা বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগে জমা দিতে হবে, যা প্রত্যেক মাসে হালনাগাদ করতে হবে। ক্যাশ পয়েন্ট থেকে বৈদেশিক রেমিট্যান্স আদান-প্রদানের মাধ্যম হতে হবে টাকা। এ ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা আদান-প্রদান করা যাবে বলে নীতিমালার অপর অংশে বলা হয়েছে। কোনো কোম্পানি নীতিমালার কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট এজেন্ট বা ক্যাশ পয়েন্টের কার্যক্রম স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে।
ব্যাংকগুলো এজেন্ট নির্ধারণের ক্ষেত্রে আর্থিক দিক, নীতিমালার মধ্য থেকে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার সামর্থ্য, ব্যবসা সুনাম, নিরাপত্তা ও পরিবেশ বিবেচনা করবে। এছাড়া প্রস্তাবিত কাজে সহায়তা ও বাস্তবায়নের চেষ্টা আছে এমন প্রতিষ্ঠানকে এজেন্ট হিসেবে গ্রহণ করবে ব্যাংকগুলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে এ সেবা প্রদানে ইচ্ছুক ব্যাংকগুলোর অনুমতি গ্রহণের জন্য একটি নমুনা ফরমও দেওয়া হয়েছে। এ নীতিমালা বাণিজ্যিক ব্যাংক ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মোবাইল অ্যাকাউন্ট হিসেবে পরিচিতি পাবে এ অ্যাকাউন্ট।
বর্তমানে ডাচ-বাংলা ব্যাংক মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক, সিটিসেল ও এয়ারটেলের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশ মোবাইল অপারেটর রবি’র মাধ্যমে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদান করছে।
অন্যান্য দেশে ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে এ সেবা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশেও শুধু ব্যাংকগুলো এ সেবায় নেতৃত্ব দেওয়ার অনুমোদন পাবে। এর মাধ্যমে তাদের মনোনীত এজেন্টদের মাধ্যমে সেবা প্রদান করতে পারবে। গ্রাহকদের হিসাব ‘মোবাইল অ্যাকাউন্ট’ হিসেবে অভিহিত হবে। মোবাইল অ্যাকাউন্ট হবে চেকমুক্ত একটি হিসাব।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিতে হলে আগ্রহী ব্যাংককে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে যে ধরনের সেবা দিতে ইচ্ছুক তার চুক্তিনামা দাখিল করতে হবে। ক্যাশ পয়েন্ট বা এজেন্টের নাম ও ঠিকানা বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগে জমা দিতে হবে, যা প্রত্যেক মাসে হালনাগাদ করতে হবে। ক্যাশ পয়েন্ট থেকে বৈদেশিক রেমিট্যান্স আদান-প্রদানের মাধ্যম হতে হবে টাকা। এ ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা আদান-প্রদান করা যাবে বলে নীতিমালার অপর অংশে বলা হয়েছে। কোনো কোম্পানি নীতিমালার কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট এজেন্ট বা ক্যাশ পয়েন্টের কার্যক্রম স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে।
ব্যাংকগুলো এজেন্ট নির্ধারণের ক্ষেত্রে আর্থিক দিক, নীতিমালার মধ্য থেকে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার সামর্থ্য, ব্যবসা সুনাম, নিরাপত্তা ও পরিবেশ বিবেচনা করবে। এছাড়া প্রস্তাবিত কাজে সহায়তা ও বাস্তবায়নের চেষ্টা আছে এমন প্রতিষ্ঠানকে এজেন্ট হিসেবে গ্রহণ করবে ব্যাংকগুলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে এ সেবা প্রদানে ইচ্ছুক ব্যাংকগুলোর অনুমতি গ্রহণের জন্য একটি নমুনা ফরমও দেওয়া হয়েছে। এ নীতিমালা বাণিজ্যিক ব্যাংক ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মোবাইল অ্যাকাউন্ট হিসেবে পরিচিতি পাবে এ অ্যাকাউন্ট।
বর্তমানে ডাচ-বাংলা ব্যাংক মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক, সিটিসেল ও এয়ারটেলের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশ মোবাইল অপারেটর রবি’র মাধ্যমে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদান করছে।