- Back to Home »
- Spotlight »
- রাজস্ব পরিশোধে টেলিটকের গড়িমসি
টেলিটককে রাজস্ব পরিশোধে তিন দফা নোটিস দিয়েছে কাস্টমস বিভাগ। কিন্তু তা আমলে না নিয়ে উল্টো কাস্টমসের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে টেলিটক। এ অবস্থায় সেবা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাওনা টাকা দ্রুত পরিশোধে ব্যর্থ হলে, প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবে চট্টগ্রাম কাস্টমস। সিম কার্ড আমদানির শুল্ক ও ভ্যাট বাবদ টেলিটকের কাছে কাস্টমসের পাওনার পরিমাণ প্রায় দুই কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার রেজাউল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, টেলিটক রাজস্ব পরিশোধ না করে মওকুফের আবেদন করেছে। কিন্তু কাস্টমস হাউস বা রাজস্ব বোর্ড কারোরই মওকুফের ক্ষমতা নেই। আইনানুযায়ী রাজস্ব পরিশোধ করতেই হবে। ব্যর্থ হলে টেলিটকের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হতে পারে।
সম্প্রতি রাজস্ব মওকুফ চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও চট্টগ্রাম কাস্টমসের কাছে আবেদন করে টেলিটক। প্রতিষ্ঠানটির এমডি মো. মজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই আবেদনে টেলিটক বলেছে, দুটি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে খালাসকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে দাবিনামা অনুযায়ী যে দুই কোটি টাকার কম রাজস্ব প্রদান করা হয়েছে, তা মওকুফ করা হোক। দুই দফায় সাত লাখ সিম কার্ড আমদানির বিপরীতে অতিরিক্ত ধার্যকৃত শুল্ককর ও ভ্যাট মওকুফের জন্য একাধিকবার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসকে অনুরোধ করা হয়েছে।
টেলিটকের এমডি জানান, টেলিটক যেহেতু ইতোমধ্যে কাস্টমসের চাহিদা অনুযায়ী রাজস্ব পরিশোধ করেছে, তাই আরোপিত অতিরিক্ত রাজস্ব মওকুফ বিশেষ বিবেচনার দাবি রাখে।
তবে টেলিটকের কয়েকজন পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, একটি গোষ্ঠী টেলিটককে লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সিম আমদানি করেছে। অথচ দেশেই এর চেয়ে কম মূল্যে সিম কার্ড ক্রয় করা যেত বলে মনে করেন তারা।