- Back to Home »
- Spotlight »
- রঙ্গ বরাদ্দ ফি: তিন অপারেটর অর্থ দিলেও দেয়নি সিটিসেল
(প্রিয় টেক) তরঙ্গ বরাদ্দ ফির দ্বিতীয় কিস্তি জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। তিন অপারেটর গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবি এদিন টাকা জমা দিলেও দেয়নি সিটিসেল। আর্থিক সংকটের কারণে প্রতিষ্ঠানটি কিস্তি পরিশোধ করতে পারেনি বলে জানালেও কবে নাগাদ তারা টাকা জমা দেবেন সে ব্যাপারেও বিটিআরসিকে কিছু বলেনি।
অর্থ জমা না দেয়ার কারণ প্রসঙ্গে সিটিসেলের চিফ টেকনিক্যাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘দ্বিতীয় কিস্তির টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধে তহবিল জোগাড়ের কথা ছিল। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে আমরা পারিনি। তবে শিগগিরই টাকা জোগাড় হয়ে যাবে। টাকা জোগাড় হলেই দিয়ে দেব।’ পরবর্তীতে বিলম্ব ফিসহ এ টাকা দিতে হবে সিটিসেলকে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ সিটিসেলের টাকা না দেয়ার ব্যাপারে বলেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
বকেয়া পাওনা ও টুজি লাইসেন্স নবায়নের দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে ৩ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা চেয়ে ২৭ আগস্ট চার অপারেটরকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন।
গতকাল দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে গ্রামীণফোন ভ্যাটসহ ১ হাজার ৮০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা জমা দেয়। ভ্যাটসহ দ্বিতীয় কিস্তির টাকা জমা দিয়েছে বাংলালিংক এবং রবিও। প্রতিষ্ঠান দুটি যথাক্রমে ৬৫৭ কোটি ৫৩ লাখ ও ৬৩৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা জমা দিয়েছে। বিটিআরসির দেয়া চিঠিতে ভ্যাট বাদে দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে ১ হাজার ৫০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা দিতে বলা হয় গ্রামীণফোনকে। একইভাবে বাংলালিংককে ৫৮৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, রবিকে ৫৫৮ কোটি ৫০ লাখ ও সিটিসেলকে ১৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা দিতে বলা হয়। ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট যোগ করে এ টাকা দিতে বলা হয় তাদের।
এ প্রসঙ্গে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ বলেন, সময়মতো দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পরিশোধ করায় অপারেটরদের ভাবমূর্তি বেড়েছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এরই মধ্যে তাদের লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছে।
বিটিআরসির দেয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত চার অপারেটরের কাছে মোট ১ হাজার ৭৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। গ্রামীণফোনের কাছে বকেয়া পাওনা হিসেবে চাওয়া হয় ৫০৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা। বাংলালিংককে ২৭৩ কোটি ২৪ লাখ, রবিকে ২৪৬ কোটি ও সিটিসেলকে বকেয়া হিসেবে ৪৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা দিতে বলেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে এ টাকা জমা দেয়নি কোনো অপারেটরই। তরঙ্গ বরাদ্দ ফি নির্ধারণে মার্কেট কম্পিটিশন ফ্যাক্টর ও ভ্যাট-সংক্রান্ত বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা বিচারাধীন। এসব মামলার রায়ের পর এ টাকা দেয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে বলে জানা গেছে। আদালত যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে তারা সেভাবেই টাকা পরিশোধ করবে বলে জানিয়েছে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ব্যবসা করতে তারা আগ্রহী বলেও জানিয়েছে তারা।