(প্রিয় টেক) ওয়ারিদ থেকে এয়ারটেল হওয়ার মাঝে এ পর্যন্ত এক কোটি ৪৯ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৯টি সিম বিক্রি করেছে কোম্পানিটি। তার মধ্যে অক্টোবরের শেষ দিন পর্যন্ত কার্যকর সিমের সংখ্যা ৬৮ লাখ ৭৮ হাজার ১৮৯টি। তাদের দেওয়া হিসেব অনুসারে মোট বিক্রি হওয়া সিমের ৫৩ দশমিক ৯৯ শতাংশই অকার্যকর।


প্রতি মাসের শেষে অপারেটরগুলো বিটিআরসিতে যে হিসেব দেয় সেখান থেকেই পাওয়া গেছে এই তথ্য। তবে এর মধ্যে বিটিআরসি কেবল কার্যকর মিসের হিসেবটিই প্রকাশ করে। বিক্রি হওয়া সিম আর অকার্যকর সিমের সংখ্যা কখনোই তারা হিসেবে উল্লেখ করে না।
আবার অকার্যকর সিমের সংখ্যার বিবেচনায় অবশ্য সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলালিংক। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের ১ কোটি ৪২ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭৩টি সিম অকার্যকর থেকেছে বলে জানা পাওয়া গেছে। বাংলালিংক বিটিআরসিকে জানিয়েছে, তারা এ পর্যন্ত ৪ কোটি ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৩৭৩টি সিম বিক্রি করেছে। যার মধ্যে এখনো পর্যন্ত কার্যকর আছে ২ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার ৪০০টি। এক মাস আগেও তাদের অকার্যকর সিম ছিল ছিল ১ কোটি ৩৭ লাখ ১৭ হাজার ৭৫১টি। অক্টোবর মাসে এর সঙ্গে আরো ৫ লাখ ২৭ হাজার সিম নতুন করে অকার্যকরের তালিকায় উঠেছে।
এর আগে অবশ্য কার্যকর আর অকার্যকর সিমের ক্ষেত্রে একটি সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দিয়েছে বিটিআরসি। ২০০৯ সালের অক্টোবরে বিটিআরসি সব অপারেটরকে জানিয়ে দেয় যে কোনো একটি সিম টানা তিন মাস একটিবারের জন্যেও ব্যবহার না হলে সেটিকে অকার্যকর হিসেব গণ্য করতে হবে।
এই হিসেবে দেশে এখন মোট অকার্যকর সিম আছে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ১০ হাজার ৮৭৫টি। সঙ্গে কার্যকর সিম আছে ৯ কোটি ৮২ লাখ ৯৩ হাজার ২৫টি। এক মাস আগেও (সেপ্টেম্বর) তাদের অকার্যকর সিম ছিল ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৯ হাজার ২৩৯টি।
বিটিআরসি বলছে, তিন মাস নয়; এক মাসের মধ্যে কোনো একটি সিমে যদি কোনো এসএমএস বা কল না হয় তাহলেই সেটিকে অকার্যকরের তালিকায় নেওয়া উচিৎ। এ বিষয়ে বিটিআরসি'র এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, অহেতুক প্রচার করা হচ্ছে যে দেশের মোট মোবাইল গ্রাহক ১০ কোটি প্রায়। এই নিয়ম চালু করা হলে প্রকৃত গ্রাহকের সংখ্যা অনেক কমে আসবে।
বিটিআরসি'র কাছ থেকে পাওয়া ওই হিসেবে দেখা গেছে, সবচেয়ে কম অকার্যকর সিম আছে সিটিসেলের, ৯৯ হাজার ২৮০টি। দেশের সবচেয়ে পুরনো এই অপারেটর বর্তমান কার্যকর সিম আছে ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৫২১টি। টেলিটকের কার্যকর সিম ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯৭টির বিপরীতে অকার্যকর সিম আছে ১৭ লাখ ৬৭ হাজার ৮৬৭টি। এই অপারেটটির এ পর্যন্ত ৩১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৪টি সিম বিক্রি করলেও তার মধ্যে ৫৬ দশমিক ৩৮ শতাংশই তাদেরকে নানা কারণে ছেড়ে গেছে। তবে ভিওআইপি'র অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কারণেও তাদেরকে অনেক সিম বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
অকার্যকর সিমের বিবেচনায় সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে দেশের শীর্ষ অপারেটর গ্রামীণফোন। তাদের ৪ কোটি ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৫৫১টি কার্যকর সিমের বিপরীতের অক্টোবরের শেষে অকার্যকর সিমের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ লাখ ৮৯ হাজার ৫০৪টি। তবে অক্টোবর মাসে তাদের অকার্যকর সিমের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের শেষে অকার্যকর সিম ছিল তাদের ৪৪ লাখ ৭ হাজার ২৬১টি।
তবে একমাত্র অপারেটর হিসেবে সেপ্টেম্বরের তুলনা অক্টোবরে অকার্যকর সিম কমিয়ে আনতে পেরেছে কেবল রবি। সেপ্টেম্বর মাসের শেষে তাদের অকার্যকর সিম ছিল ৯৭ লাখ ২৯ হাজার ৪৯টি। আর অক্টোবরের শেষে তারা সেটি ৯৬ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭১টিতে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়।
অপারেটরটির এক ভাইস প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে প্রিয় টেককে বলেন, এই সময়ে তারা পুরনো সিম ব্যবহার করার ওপরে অনেক বড় বড় অফার দিয়েছেন। সে কারণে বন্ধ করেও আবার অনেক গ্রাহক তাদের কাছে ফেরত এসেছেন।
অকার্যকর সিম কার কতো
অপারেটর    প্রিপেইড                   পোস্টপেইড      মোট
বাংলালিংক   ১,৩৩,৪৫,২১৯ ৮,৯৯,৭৫৪ ১,৪২,৪৪,৯৭৩
রবি ৯৪,৭২,২৮৬ ১,৬৭,২৮৫ ৯৬,৩৯,৫৭১
এয়ারটেল    ৭৭,৮৭,৩৪৩ ২,৮২,৩৩৭ ৮০,৬৯,৬৮০
গ্রামীণফোন - - ৪৪,৮৯,৫০৪
টেলিটক ১৭,৪৭,২৮৭ ২০,৫৮০ ১৭,৬৭,৮৬৭
সিটিসেল ৯৫,৯৬০ ৩,৩২০ ৯৯,২৮০

- Copyright © 2013 telecom bd - Metrominimalist - Powered by Blogger - Designed by Johanes Djogan | Distributed by Rocking Templates -