Archive for 2010

এয়ারটেল... ভালবাসার টানে, পাশে আনে

আজ সোমবার বহুল আলোচিত সমালোচিত এয়ারটেল এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ওয়ারিদের নাম পরিবর্তন করে এয়ারটেলের যাত্রা শুরু হচ্ছে। এয়ারটেলের এক কর্মী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে।

জাতীয় কয়েকটি দৈনিকে ভালবাসা সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন এয়ারটেল প্রচার করছে। যদিও বিজ্ঞাপনটির শেষ এখনও প্রকাশ হয়নি তবে রাজধানীতে, ভালবাসা কাছে টানে এয়ারটেল, লেখার লিফলেট ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশী বিনিয়োগকারী পিএসটিএন কোম্পানীর বরাদ্দকৃত ফ্রিকোয়েন্সি কমিয়ে এই একই ফ্রিকোয়েন্সি এয়ারটেলকে বরাদ্দ করা হয়েছে স্বল্প খরচে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করার জন্য। ২০০৫ সালে মধ্যপ্রচ্যের ধাবী গ্রুপের ওয়ারিদ বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরের লাইসেন্স পায়।

৫ কোটি ডলার বিনিময়ে পাওয়া এ লাইসেন্সের সময় ওয়ারিদকে তখন ১৫ মেগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ দেওয়া হয়, যার সবটাই ছিল ১৮০০ ব্যান্ডের। সংশ্লিষ্টরা জানান, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে ১৮০০ ব্যান্ডের তিনটি বেইস স্টেশন বসাতে হলে সেখানে ৮৫০ বা ৯০০ ব্যান্ডের ফ্রিকোয়েন্সির জন্য এক বেইস স্টেশন দিয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা সম্ভব। যার ফলে সম্প্রসারণ ব্যয় কম হয়।

মোবাইল অপারেটর ওয়ারিদ নাম বদলে এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড নামে যাত্রা শুরু করল। বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কায় তরুণ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে এয়ারটেলকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করা হয়েছে। এয়ারটেলের বর্তমান স্লোগান, ‘ভালবাসার টানে, পাশে আনে’।
www.bd.airtel.com

ওয়ারিদ এখন এয়ারটেল

বাংলাদেশের ষষ্ঠ মোবাইল অপারেটর কোম্পানি ওয়ারিদ ১লা ডিসেম্বর থেকে এয়ারটেল নামে পরিবর্তিত হয়াছে।
তবে আপাতত এয়ারটেল ব্র্যান্ড তারা শুধু অভ্যন্তরীণ কাজে ব্যবহার করবে।
প্রসঙ্গত, এ বছরের ১২ জানুয়ারী ভারতী এয়ারটেল বাংলাদেশের ওয়ারিদ টেলিকমের ৭০% শেয়ার প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারে অধিগ্রহণ করেছে বলে ঘোষণা দেয়। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এয়ারটেল ভারত ছাড়াও ইতিমধ্যে শ্রীলংকায় তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এতোদিন ধরে ওয়ারিদ টেলিকম আবুধাবির ধাবি গ্রুপের একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় প্রায় ২.৯ মিলিয়ন লোককে তাদের সেবা দিচ্ছে।
কিছুদিন আগে এয়ারটেল কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল ভারতী মিত্তাল তাদের এয়ারটেল এর নতুন লোগো উন্মোচন করেন যা যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠানের ডিজাইনকৃত।

গ্রামীণফোনের গ্রাহক কমেছে

hawker.com.bd [ ] 2010-11-25
দেশে মোবাইল গ্রাহক বৃদ্ধির হার হঠাৎ করে কমে গেছে। এতে মোবাইল খাতের বিকাশ কিছুটা হোঁচট খেল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মে থেকে সেপ্টেম্বর প্রতি মাসে দেশে ১৬ থেকে ২০ লাখ নতুন মোবাইল গ্রাহক তৈরি হয়েছে। আর গত অক্টোবরে ওই সংখ্যা নেমে এসেছে ৪ লাখ ২৩ হাজারে। ওই মাসে দেশের শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের গ্রাহক বাড়ার বদলে উল্টো কমেছে দেড় লাখের বেশি। গ্রাহক তৈরির বিষয়ে সরকার কড়াকড়ি আরোপ করায় গ্রাহক বৃদ্ধি হঠাৎ কমে গেছে বলে মনে করছে মোবাইল অপারেটর কর্মকর্তারা।
গত কয়েক মাসে দেশে মোবাইল গ্রাহক বৃদ্ধির সংখ্যা পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ বছরের মে মাসে ২০ লাখ নতুন গ্রাহক পায় দেশের ছয়টি মোবাইল অপারেটর। জুনে নতুন গ্রাহক যোগ হয় আরও ১৬ লাখ ২০ হাজার। জুলাইয়ে যোগ হয় ১৮ লাখ ৬৫ হাজার। আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে গ্রাহক বৃদ্ধির সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৬ লাখ ২১ হাজার ও ১৬ লাখ ৭৬ হাজার। কিন্তু গত অক্টোবরে হঠাৎ গ্রাহক বৃদ্ধির হার কমে আসে ৪ লাখ ২৩ হাজারে। মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ খান এর কারণ সম্পর্কে সমকালকে বলেন, 'এটি সরকারের বিধিনিষেধের অনিবার্য পরিণতি। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।' তিনি বলেন, 'অক্টোবর থেকে নতুন সিম বিক্রির ক্ষেত্রে সরকার কড়াকড়ি আরোপ করেছে। গ্রাহক কমার বিষয়টি তারই পরিণতি।'
অ্যামটব সম্পাদক বলেন, 'এর ফলে শুধু অপারেটরদের ক্ষতি হবে_ এমন ভাবার কোনো সুযোগ নেই। সিম বিক্রি এবং এর ব্যবহারের ফলে সরকারের যে আয় তাতেও এর প্রভাব পড়বে।' এ খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয় অনেক কমে যাবে বলেও দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে জানা যায়, অক্টোবর শেষে দেশে মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬৫ হাজারে। ওই মাসে গ্রামীণফোনের গ্রাহক কমেছে ১ লাখ ৬৭ হাজার। তবে অন্য পাঁচ অপারেটর সিটিসেল, রবি, বাংলালিংক, ওয়ারিদ ও টেলিটকের গ্রাহক কিছু করে বেড়েছে। গ্রাহক কমার পর গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা হয়েছে ২ কোটি ৮৪ লাখ ৮৭ হাজার।
এর আগে ২০০৯ সালের আগস্টে একবার গ্রামীণফোনের গ্রাহক ২০ হাজার এবং জুলাইয়ে ১০ হাজার কমেছিল। বিটিআরসির নিয়ম অনুযায়ী কোনো সিম টানা তিন মাস বন্ধ থাকলে অপারেটরের হিসাবের তালিকা থেকে তা বাদ পড়ে। সে কারণে নতুন সিম বিক্রি হওয়ার পরও কোনো কোনো অপারেটরের গ্রাহক আগের তুলনায় কমে যেতে পারে।
গ্রাহক কমে যাওয়া প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কাজী মনিরুল কবীর বলেন, 'প্রায় তিন কোটি গ্রাহকের একটি অপারেটরের জন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি কোনো সমস্যা নয়। অক্টোবরে ক্যাম্পেইন কয়েক দিন বন্ধ ছিল সে কারণে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। তবে সামনে গ্রামীণফোন এটি কাটিয়ে উঠবে।'
গত অক্টোবর শেষে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ১ হাজার নতুন গ্রাহক পেয়েছে দ্বিতীয় সেরা অপারেটর বাংলালিংক। এতে তার গ্রাহক হয়েছে ১ কোটি ৮৪ লাখ ৮ হাজার। একই সময় নতুন ১ লাখ ৩৮ হাজার গ্রাহক পেয়েছে রবি। রবির গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার। অক্টোবরে অন্য তিন অপারেটরের মধ্যে ওয়ারিদ, টেলিটক এবং সিটিসেল যথাক্রমে ৮৫ হাজার, ৪১ হাজার এবং ২৬ হাজার নতুন গ্রাহক পেয়েছে। ওয়ারিদের গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ৩৬ লাখ ৬৬ হাজার, টেলিটকের ১২ লাখ ২৪ হাজার এবং সিটিসেলের ১৯ লাখ ৩৩ হাজার।

- Copyright © 2013 telecom bd - Metrominimalist - Powered by Blogger - Designed by Johanes Djogan | Distributed by Rocking Templates -