- Back to Home »
- robi , Spotlight »
- রবিকে ৪৯৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা কম জরিমানা করার অভিযোগ
(প্রিয় টেক) নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি'র অনুমোদন ছাড়া কোম্পানির নাম পরিবর্তন করায় দেশের তৃতীয় মোবাইল ফোন অপারেটর আজিয়াটা বাংলাদেশ লিঃ-কে অন্তত ৪৯৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা কম জরিমানা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে মহাহিসাব নিয়ন্ত্রক। বিটিআরসি'র ২০০৯-২০১০ অডিট প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়।
অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুমোদন ছাড়া কোনো কোম্পানির নাম পরিবর্তন করা হলে তার জন্যে ৫'শ কোটি টাকা জরিমানা করার বিধান থাকলেও বিটিআরসি তাদেরকে মাত্র ৩ লাখ টাকা জরিমানা করে। তাতে করে সরকারের ৪৯৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অডিট প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। এমনকি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে বিটিআরসি যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তা সন্তোষজনক নয়।
তবে বিটিআরসি বলছে, যা কিছু করা হয়েছে দেশের প্রচলিত আইন এবং বিধিবিধান মেনে করা হয়েছে। এখানে সরকারের কোনো আর্থিক ক্ষতি হয়নি। আর আজিয়াটা বাংলাদেশ লি: রবি বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
জানা গেছে, আগে রবি'র মূল কোম্পানির নাম ছিল TM International (Bangladesh) Limited (TMIB)। পরে ২০০৯ সালের ১৫ মে এই পরিবর্তন করে আজিয়াটা বাংলাদেশ লি: করা হয়। বিটিআরসি'র কাছ থেকে কোনো রকম অনুমোদন না নিয়ে নাম পরিবর্তন করে তারা। অথচ এ বিষয়ে আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পরে একই বছরের ১৬ জুন বিটিআরসিকে অবহিত করে তারা। এর ফলে টিএমআইবি এর সঙ্গে বিটিআরসি'র লাইসেন্সের যে চুক্তি ছিল তার ১১ দশমিক ৬ এবং ২০ নং ধারা লঙ্ঘিত হয়।
অডিট দল বলছে, সরকার ১৯৯৬ সালের ১১ নভেম্বর এই চুক্তিতে তাদেরকে লাইসেন্স দেয় এবং ২০০৪ সালের ১১ অক্টোবর তাদের সঙ্গে পুনরায় লাইসেন্স চুক্তি সম্পন্ন করে। এই অন্যায়ের প্রেক্ষিতে বিটিআরসি তাদের ৭৮তম বোর্ড মিটিংয়ে ২০০১ সালের টেলিযোগাযোগ আইন মোতাবেক ৩ লক্ষ টাকা প্রশাসনিক জরিমানা আদায় এবং ভবিষ্যতে লাইসেন্সের বিধি বহির্ভূত কোনরূপ কাজ করবেনা মর্মে কঠোরভাবে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে সেটি বাস্তবায়িতও হয়।
কিন্তু অডিট দল বলছে, ২০০১ সালের টেলিযোগাযোগ আইনে এই অপরাধের জন্যে তিন লাখ টাকা জরিমানার কথা বলা থাকলেও ২০০৮ সালের ৫৮নং অধ্যাদেশে এই আইনটির সংশোধনী আনা হয়। সেখানে সুস্পষ্টরূপে এই অপরাধে তিন লাখ টাকা জরিমানার বদলে ৫'শ কোটি টাকা করা হয়েছে। পরে ২২ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখ থেকে সেটি কার্যকর হয়।
এ বিষয়ে বিটিআরসি'র ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন আহমেদ প্রিয় টেককে বলেন, এটি এমন সময়ের ঘটনা যখন তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও কাগজপত্র দেখে যতদূর বুঝেছেন তাতে অনিয়ম হয়নি। কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, অধ্যাদেশ জারি করলেও পরের সরকার এসে সেটি গ্রহণ করেনি। পরে আইন সংশোধন করতে সময় লেগেছে। সে কারণে তিন লাখ টাকা জরিমানা করারই যুক্তিযুক্ত রয়েছে।
একই বিষয়ে রবি'র শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
Post a Comment