একটি
দেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সঙ্গে থ্রিজি নেটওয়ার্কের
বিস্তৃতির বিষয়টি সম্পর্কিত। ১৪ টি দেশ থেকে সিসকোর সংগৃহীত তথ্য
বিশ্লেষণ করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিএসএমএ অ্যান্ড ডেলাটি থ্রিজির উন্নয়ন
সংশ্লিষ্ট এক সাম্প্রতিক গবেষণায় এ বিষয়টি উঠে এসেছে। এক খবরে জানিয়েছে
টেলিগ্রাফ অনলাইন।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, টুজি নেটওয়ার্কের চেয়ে
যদি থ্রিজি নেটওয়ার্কের ব্যবহার ১০ শতাংশ বাড়ে, সেক্ষেত্রে বার্ষিক
মাথাপিছু প্রবৃদ্ধির হার ০.১৫ শতাংশ পয়েন্ট পর্যন্ত বাড়তে পারে। আর
থ্রিজি ব্যবহারে মোবাইল তথ্য ব্যবহারের হার যদি দ্বিগুণ হয় সেক্ষেত্রেও
গড়ে মাথাপিছু বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ০.৫ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। যে
সব দেশে থ্রিজি ব্যবহার করে তথ্য ব্যবহারের হার বেশি সেখানে বার্ষিক
প্রবৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্য। এ তালিকায় রয়েছে রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও
দক্ষিণ কোরিয়া। থ্রিজি প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে এ দেশগুলোতে মাথাপিছু
বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ১.৪ শতাংশ পয়েন্ট বেড়েছে। তবে যে দেশগুলোতে
মোবাইল ফোনে তথ্য ব্যবহার করার হার এখনও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়েনি,
সেখানে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার কম। এ তালিকাভুক্ত দেশগুলো হচ্ছে, ভারত,
চীন, মেক্সিকো ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, উন্নয়নশীল
দেশগুলোতে মুঠোফোনে থ্রিজি নেটওয়ার্ক ব্যবহারের হার যদি ১০ শতাংশ পর্যন্ত
বাড়ে সেখানে উত্পাদনশীলতা ৪.২ শতাংশ পয়েন্ট পর্যন্ত বাড়তে পারে।
সিসকোর গবেষক ড. রবার্ট পিপার এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, তারবিহীন যোগাযোগ
পদ্ধতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ করার
সুবিধা পাচ্ছে, যে কোনো স্থান থেকেই সর্বশেষ তথ্য জানতে পারছে। আর তাতে
আমাদের কাজ, জীবনযাপন ও খেলাধুলার বিষয়গুলোর ওপরে এর প্রভাব পড়ছে।
দ্রুতগতির মোবাইল নেটওয়ার্ক সুবিধা আমাদের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও উত্পাদনের
ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই তারবিহীন যোগাযোগ পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের বিনিয়োগ বাড়ানো উচিত।
গবেষকেদের দেয়া এক তথ্য
অনুযায়ী, বিশ্বের ৯৬ টি দেশে ২০০৫ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর
মোবাইলে তথ্য ব্যবহারের হার গড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।
collected
Post a Comment