- Back to Home »
- Spotlight »
- গ্রাহক বৃদ্ধির রেকর্ডের পর এবার গ্রাহক কমার রেকর্ড
এক মাসে গ্রাহক বৃদ্ধির রেকর্ড হলেও পরের মাসে আবার নতুন গ্রাহকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। অক্টোবর মাসে দেশের শীর্ষ দুই অপারেটর গ্রামীণফোন এবং বাংলালিংকের একই সঙ্গে গ্রাহক বাড়ার বদলে কমে গিয়েছে। অক্টোবর মাসে কেনো তাদের গ্রাহক বৃদ্ধি না পেয়ে উল্টো কমে গেল সেই কারণ জানতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি অপারেটর দুটির কাছে কৈফিয়ত চাইছে। বৃহস্পতিবারই এ বিষয়ে বিটিআরসি অপারেটর দুটিকে চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এই জটিলতায় প্রতি মাসে বিটিআরসি যে গ্রাহক সংখ্যার হিসেব প্রকাশ করে সেটি এখনো পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি। সাধারণ বিটিআরসি ১২ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে আগের মাসের গ্রাহকের হিসেব জানিয়ে তাদের ওয়েব সাইটে দিয়ে দেয়।
একইভাবে সেপ্টেম্বরের শেষে বাংলালিংকের গ্রাহক ছিল ২ কোটি ৬৭ লাখ ৭৫ হাজার। শুধু সেপ্টেম্বরে তাদের গ্রাহক বেড়েছিল ১০ লাখ ৩২ হাজার। আর অক্টোবরে উল্টো গ্রাহক কমেছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে প্রিয় টেক বাংলালিংকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের এক কর্মকর্তা জানান, আগে যেখানে দিনে ১০-১২ হাজার সিম বিক্রি হয়েছে এখন সেটি এক দেড় হাজারের নীচে নেমে এসেছে। তাছাড়া আগের বিক্রি হওয়া সিম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুটি হিসেব সমন্বয় করে দেখা গেছে তাদের গ্রাহক সংখ্যা কমে গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, ১২ অক্টোবরের পর থেকে মোবাইল সিমের প্রি-অ্যাক্টিভেশন বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে একটি সিম বিক্রি করতে গেলে পরিচয় নিশ্চিত করার সকল কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরই কেবল সিমটি অ্যাক্টিভ হচ্ছে। নতুন সিম কেনার ক্ষেত্রে এই জটিলতার কারণেই সিম বিক্রি পড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
বাংলালিংকের ওই কর্মকর্তা বলেন, এভাবে গ্রাহক বৃদ্ধি কমলে বা নতুন সিম বিক্রি হওয়া বন্ধ হলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সিম ট্যাক্সের টাকা পেতে তাদেরকে চেপে ধরবেন বলেও তাদের ধারণা। কিন্তু এক্ষেত্রে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানোর কোনো সুযোগ নেই। বর্তমানে প্রতিটি সিম বিক্রি থেকে সরকার ৬'শ টাকা ট্যাক্স পায়।
সেপ্টেম্বরে গ্রাহক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মোবাইল খাতে নতুন রেকর্ড হয়েছিল। ওই মাসে পুরনোগুলো বাদ দিয়ে সব মিলে ২৯ লাখ ৩৮ হাজার নতুন গ্রাহক যুক্ত হয়। আর অক্টোবরে গ্রাহক বৃদ্ধি নেতিবাচক অংকে রূপ নিয়েছে বলেও জানিয়েছে বিটিআরসি।
সৌজন্যে
প্রিয় টেক
Post a Comment