[ সংগৃহীত]
দ্বিতীয় প্রজন্মের (টু-জি) লাইসেন্স নবায়ন ফি’র দ্বিতীয় কিস্তির বকেয়াসহ আরো কয়েকটি পাওনা মিলিয়ে চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরের কাছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র দাবি তিন হাজার ১৯১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। কিন্তু গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং সিটিসেল মিলে দুই হাজার ২২ কোটি নয় লাখ টাকার বেশী দিতে রাজি নয়। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যেই এই টাকা পরিশোধ করতে চায় তারা।

এদিকে বিটিআরসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব প্যাকেজে ১০ স

েকেন্ড পালস বাস্তবায়ন করতে রাজি নয় ৫টি বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর। ইতিমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটক ১০ সেকেন্ডে পালস কার্যকর করেছে। ফি’র টাকা পরিশোধ ও পালসের বিষয় নিয়ে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় বৈঠক করে মোবাইল অপারেটর্স এসোশিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)। সেখানে ফি’র ওপরে কোনো রকম ভ্যাট না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এসব বিষয় নিয়ে আজ সোমবার তারা বিটিআরসির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন গ্রামীণফোনের রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান মাহমুদ হোসাইন ।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ গতকাল রাতে বলেন, ১০ সেকেন্ড পালসের বিষয়ে তাদের কোন আপত্তি শোনা হবে না। জনগণের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে টু-জি লাইসেন্স নবায়নে অপারেটররা যে টাকা দেয় সেটি নিয়ে নেয়া হবে। কিন্তু বাকি টাকা তাদের দিতেই হবে। বিলম্ব হলে তার জন্য তাদের লেট ফিও গুনতে হবে।

কার কাছে কত বকেয়া: বিটিআরসি’র হিসেব অনুসারে গ্রামীণফোনের কাছে মোট বকেয়া ১ হাজার ৫২২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। কিন্তু তারা দিতে চায় ৯০০ কোটি টাকা। বাংলালিংকের কাছে সব মিলে চাওয়া হয়েছে ৭৭২ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে তারা দিতে চায় ৫০০ কোটি টাকা। রবি’র কাছে চাওয়া হয়েছে ৭২৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। তারা দিতে চায় পৌনে ৫শ’ কোটি টাকা। আর সিটিসেলের কাছে পাওনা হয়েছে ১৬৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। তারা দিতে চায় ১১১ কোটি টাকার মত।

- Copyright © 2013 telecom bd - Metrominimalist - Powered by Blogger - Designed by Johanes Djogan | Distributed by Rocking Templates -