Archive for October 2011
recharge your inactive airtel sim & get a total of Tk 600 bonus
- Now airtel prepaid inactive customers can enjoy tk20 bonus per recharge transaction on at least tk20 or more denomination
- Customer can enjoy this bonus up to tk600 in 30 times recharge transaction during the promotion period ( 600 Tk i.e. 20tk*30=600TK)
- Those customers have no activity from 1st Oct’11 onwards will be eligible to avail this bonus
- Bonus will be posted within 24 hours
- Customer can use 15% bonus to any operator usages (bonus checking code *778*1#) & 85% bonus to airtel number only (bonus checking code *778*3#)
- Bonus validity 7days
- You can check your eligibility through 9000 short code SMS (charge
free) from any airtel number. (Format: Type Subscriber Number:
016XXXXXXXX & send 9000 )
*For details, call 1212 (free)
Airtel User can to get Wiki Information
এশিয়া এবং আফ্রিকার ১৯টি দেশের অন্যতম প্রধান টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান ভারতী এয়ারটেল এয়ারটেলের বাংলাদেশের গ্রাহকেরা ইন্টারনেট ব্যবহার করা ছাড়াই এখন সহজে এসএমএস এর মাধ্যমে উইকিপিডিয়া থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য এসএমএস এর মাধ্যমে উইকিপিডিয়া থেকে তথ্য সংগ্রহের সুবিধা চালু করেছে এয়ারটেল।
শুধুমাত্র এয়ারটেলের ৫০ লক্ষাধিক গ্রাহক এই সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
এই অভিনব সেবাটির সম্পর্কে এয়ারটেলের সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস টবিটবলেন, তথ্যই বর্তমান বিশ্বের সর্বক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের ৫০ লক্ষাধিক গ্রাহকদের জন্য এরকম এসএসএম ভিত্তিক অভিনব সেবার প্রচলন করতে পেরে আমরা বেশ আনন্দিত এবং দিনের যেকোন সময়ে এই সেবাটি গ্রাহকেরা ব্যবহার করতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, আগামীতে এয়ারটেল গ্রাহকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় প্রতিনিয়ত এরকম অভিনব সেবা প্রদানের আশা রাখছি আমরা।
উইকিপিডিয়া থেকে যেকোনও তথ্য সংগ্রহ করতে মোবাইল অপশনে গিয়ে টাইপ করুন ‘উইকি’ স্পেস দিয়ে ‘কি ওয়ার্ড’ লিখে ৫৩৫৩ নম্বরে এসএমএস করতে হবে। আর এর ভিত্তিতে উইকিপিডয়া থেকে সংগ্রহকৃত তথ্য গ্রাহকেরা একটি ফিরতি এসএমএস এর মাধ্যমে পেয়ে যাবেন।
যেমন উইকি স্পেস ঢাকা লিখে ৫৩৫৩ নম্বরে এসএমএস করলে এয়ারটেল গ্রাহকেরা ঢাকা শহরের উপরের ৩০০ শব্দের তথ্য পেয়ে যাবেন।
Tag :
airtel
,
Airtel-VAS
Orascom Wants to build Smart Village
মিসরের
ওরাসকম টেলিকম হোল্ডিংয়ের গ্রুপ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (জিসিইও) আহমেদ
আবু দোমা বলেছেন, বাংলাদেশ প্রচুর সম্ভাবনার দেশ। হায়দরাবাদের মতো
বাংলাদেশে ওরাসকম প্রথম স্মার্ট ভিলেজ করতে আগ্রহী। যাতে এক জায়গায় আইটি বা
টেলিকম প্রযুক্তির সব সেবা পাওয়া যায়। এতে করে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে।
কর্মসংস্থান হবে। বাংলাদেশে আইবিএমের মতো বড় বড় কোম্পানি থাকবে। তিনি বলেন,
মিসরে ওরাসকম স্মার্ট ভিলেজ করেছে। সেই
অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে আমরা আগ্রহী। বাংলাদেশে ওরাসকম
দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করছে। আমরা বাংলাদেশের বাঘ (টাইগার) হিসেবে পরিচিত এবং
টাইগার হিসেবে থাকতে চাই। তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়
মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের (জিপি) কাছে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ
নিয়ন্ত্রণ কমিশন) ৩ হাজার ৩৪ কোটি টাকা বকেয়া রাজস্ব পাওয়ার চিঠি দিয়েছে
বলে জেনেছি। এ ছাড়া বিভিন্ন ইস্যুর ব্যাপারে আমরা খবর পাচ্ছি। এতে করে হয়তো
গ্রামীণফোন ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং দ্বিতীয় বৃহত্ মোবাইল অপারেটর হিসেবে
বাংলালিংক সাময়িকভাবে লাভবান হবে। আমরা হয়তো বেশি গ্রাহক পাব। কিন্তু আমি
বলতে চাই, সার্বিকভাবে এ ধরনের কাজ টেলিকম শিল্পকে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত
করবে। কারণ এ প্রক্রিয়ায় কোনো অপারেটরের অডিট হতে পারে না। মোবাইল
অপারেটররা বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মোবাইল অপারেটর
বাংলালিংকের স্বত্বাধিকারী ওরাসকম টেলিকমের প্রধান নির্বাহী আহমেদ আবু দোমা
গত ১৯ অক্টোবর কায়রোতে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়
অনুষ্ঠানে টেলিকম খাতের বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন। আবু দোমা তিন বছর
বাংলালিংকের সিইও’র দায়িত্ব পালন করে সম্প্রতি ওরাসকমের প্রধান নির্বাহীর
দায়িত্ব নেন। কায়রোতে ওরাসকম হোল্ডিংয়ের পাশের একটি হোটেলে বাংলাদেশি
সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি তার স্বভাবসুলভ খোলামেলা আলোচনা করেন। বাংলাদেশের
সাংবাদিকদের দেখা হতেই তিনি বিদেশিদের উচ্চারণে বাংলায় জিজ্ঞাসা করেন
আপনারা কেমন আছেন। কেমন চলছে সব। তিনি বলেন, ঢাকাকে খুব মিস করি। আমার
মেয়েতো এখনও তার স্কুলের বন্ধুদের খুঁজে ফেরে। তার জবাব আমরা দিতে পারি
না। মাত্র কয়েক মাস আগেতো ঢাকা থেকে এসেছি। সেই গুলশানের রাস্তা। রিকশার
ভিড়। খিচুড়ি কত খাবার মনে পড়ে। খুব মিস করি বাংলাদেশকে। দেশটি সত্যি আমার
অনেক ভালো লাগে।
ওরাসকম বাংলাদেশসহ বিশ্বের সাতটি দেশে মোবাইল অপারেটর
হিসেবে ব্যবসা করছে। আবু দোমা গ্রুপ সিইও’র আসন থেকে বিশ্বের অন্যান্য
দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করে বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায়
বাংলাদেশে এখনও টেলি প্রবৃদ্ধি অনেক কম। এখনও ৬০ শতাংশ মানুষ টেলিফোন সেবা
থেকে বঞ্চিত। জনসংখ্যা এবং আয়তনের বিবেচনায় বাংলাদেশ এ খাতে এগুতে পারেনি।
অথচ শিক্ষার হার অনেক বেশি। এজন্য ওরাসকম বাংলাদেশে আউটসোর্সিং এবং স্মার্ট
ভিলেজ করতে আগ্রহী। এটা করা গেলে অনেক বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। এজন্য চলতি
মাসে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগমন্ত্রী, বিটিআরসির চেয়ারম্যান এবং অন্য
নীতিনির্ধারকদের এ স্মার্ট ভিলেজ দেখতে মিসরে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি
বলেন, সরকার অবকাঠামোগত সুবিধা বাড়ালে বিনিয়োগ ওই দেশে এমনিতেই হবে। বিশেষ
করে বিদ্যুতের সঙ্কট সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে। যদিও বা এ সরকার বিদ্যুত্
উত্পাদনে যথেষ্ট তত্পর। তিনি বলেন, রেগুলেটরকে টেলিকম খাতের সব কিছু
বিবেচনা করে দীর্ঘমেয়াদের পলিসি দিতে হবে। তারা টাকা আয়ের দিকে নজর দেবে
না। এমন পরিবেশ থাকলে সবাই বিনিয়োগ করবে। আমরা তো এখানে বাংলাদেশে
বিনিয়োগের জন্য বসে আসি।
থ্রিজিতে (তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি)
বিনিয়োগের ব্যাপারে তিনি বলেন, বাংলালিংক থ্রিজির লাইসেন্স নিতে আগ্রহী।
তবে এ লাইসেন্স দেওয়ার আগে রেগুলেটর, অপারেটর এবং মন্ত্রণালয়ের এ তিন
পক্ষকে বসে আলাপ-আলোচনার দরকার আছে। তারপর নীতিমালা করলে সবার জন্য ভালো
হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, থ্রিজির পরিবর্তে বাংলালিংক ফোরজি
(চতুর্থ প্রজন্মের) লাইসেন্স চাইছে, এমন গুজব শোনা যাচ্ছে। কেননা অনেক দেশে
এখনই ফোরজি শুরু হয়ে গেছে। এর জবাবে তিনি বলেন, সব কিছুর একটি ধারাবাহিকতা
থাকা দরকার। তবে সব কিছুর আগে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।
বাংলালিংক দ্বিতীয় মোবাইল অপারেটর হয়েও এখনও লাভ করতে পারছে না। অথচ রবি
তৃতীয় বৃহত্ অপারেটর হয়ে লাভ করছে। কেন? এর জবাবে আবু দোমা বলেন, রবি গত
দুই বছর ধরে কিছু লাভ করছে। সেবা থেকে ওরাসকম কিনে বাংলালিংক নতুনভাবে চালু
হয়েছে দীর্ঘদিন হয়নি। তাছাড়া ওরাসকমের নীতি হচ্ছে একটি দেশে দীর্ঘমেয়াদে
বিনিয়োগ করা। সেই বিশাল বিনিয়োগের ফলাফলও আসে দেরিতে। বাংলাদেশে আছি এবং
থাকব। তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে বলেন, আগামী বছর বাংলাদেশে কত
বিনিয়োগ করব, তা গতকাল (১৮ অক্টোবর) আমরা চূড়ান্ত করেছি। টাকার পরিমাণ
উল্লেখ না করে এতটুকু বলতে চাই-এ অঙ্ক আগের বছরের চেয়ে অনেক বেশি। এ সময়
ওরাসকম টেলিকমের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ওরাসকম ২০০৪ সালে
সেবা টেলিকমের শেয়ার কিনে নেয়। ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলালিংক নামে
নতুনভাবে মোবাইল অপারেটরের সেবা শুরু করে ওরাসকম। বিটিআরসির ঘোষণা অনুযায়ী
গত আগস্ট পর্যন্ত বাংলালিংকের গ্রাহক হচ্ছে ২ কোটি ১৬ লাখ ২১ হাজার।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওরাসকমের গ্রাহক হচ্ছে ১০ কোটি ৫০ লাখের বেশি।
চলতি বছরের এপ্রিলে ওরাসকম বিশ্বের অন্যতম মোবাইল অপারেটর রাশিয়ান ভিমবার
টেলিকমের সঙ্গে যোগ (মার্জ) দেয়। ফলে ভিমবার টেলিকম বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্
অপারেটরে পরিণত হয়। বিশ্বের ২১টি দেশে ভিমবার টেলিকমের ১৮ কোটি ৬০ লাখ
গ্রাহক আছে।
Tag :
banglalink
,
report
Airtel offer::Everyday 16 Nokia handsets up for grabs on maximum usage!
Conditions:
Every hour one customer will get a handset at FOC who has maximum off-net usage (excluding ISD calls)
Only off-net (excluding ISD calls) voice usage from MA will be considered for this calculation
If multiple customers would have same usage in a given time period then handset will be rewarded to the customer who did it in early possible time
Minimum eligibility to win the handset in a particular hour will be BDT 10 off-net usage from main account balance
One customer can get only one handset during the campaign, first one will be considered and remaining will be discarded
Winners will be announced within 48 hours during working days
Usage of upto Tk 40 as per the cashback conditions will be rewarded with regular CashBack bonus
At least six minutes incoming call is needed in that day for getting the handset
Customers can know the winning number by sending the SMS to 9000
Campaign will not be available from 12:00 am till 8:00 am everyday
*For details call 1212
Robi Hajj service
“Hajj is one of the five pillars of Islam. The Hajj (Arabic word) is the pilgrimage to Makkah, Saudi Arabia. It is the largest pilgrimage in the world, a religious duty that must be carried out at least once in their lifetime by every able-bodied Muslim who can afford to do so. It is a spiritual quest of submission to the Almighty and purification of the heart.
What are we doing to meet the need ?
Just call 808070 to listen to Hajj Special along with others religious services-----
Service Features:
Press 1: The Hajj Special has the following sections:
Significance of Hajj
Difference Dua
Hajj Flight Schedule
Eligibility for Hajj
How the customer will be connected to this service?
From tonight 11th October, 2011 (00:00 hrs) all prepaid & postpaid subscribers can hear Hajj
information by dialing 808070. IVR browsing charge 0.68/per min & monthly fee BDT 20. Excluding VAT.
Tag :
robi
Banglalink mobile insurance pay with jbc
now banglalink subscribers can pay their jiban bima corporation insurance policy premium directly from their mobile phone just by dialing ussd short code *777#. non-banglalink subscribers and non-mobile users can also pay their jbc insurance premium from "mobile cash point" marked outlets. ussd technology is used for this service which ensures the cost efficient, secured and convenient transaction.
area covered
banglalink will be collecting insurance policy premiums from all over bangladesh.
mobile cash points
around 2,500 outlets including the banglalink sales and care center (customer care center), banglalink points (bp), banglalink service points (bsp) and retail points are converted to mobile cash points to ensure the service delivery from those points.
the number of cash points will be gradually increased. jbc policy holders may get the information regarding the nearest mobile cash point for insurance pay by dialing our 24x7 helpline at 1200 (banglalink number) or 01911304120 (from any operator number)
jbc policy schedule details
important information on premium payment
brief procedure
procedure i: premium payment from subscribers own banglalink connection:
step 1: registration non registered banglalink consumers having valid jbc policy can register with the following:
after the registration the subscriber will get the following sms
subscribers are advised to change the pin immediately. to change the pin customer has to perform the following simple operation:
example of the reply sms you will receive:
step 2: refill subscribers’ mobile wallet account balance from nearby "mobile cash point"
balance refill:
step 1: the customer goes to mobile cash point and requests the retailer with his/her mobile number amount to be refilled. the retailer initiates the transaction.
step 2: after receiving the following sms, subscribers confirms the transaction from their mobile after receiving the following sms:
"retailer wants to transfer tk xxxx.xx in your money wallet. to confirm please type yes <pin> and send to 480"
the customer will perform the following operation and his account will be refilled:
customer association:
a customer needs to associate his/her policy number with the insurance pay service. customers can do this by the following way:
a jbc policy holder can associate multiple policy numbers.
step 3: pay jbc insurance premium by simply dialing *777# from your banglalink mobile and provide the following information:
when the process is completed the customer will receive a confirmation sms in his mobile with unique transaction id as shown above. the customer is advised to preserve the sms for future reference.
procedure ii: premium payment at "mobile cash point":
area covered
banglalink will be collecting insurance policy premiums from all over bangladesh.
mobile cash points
around 2,500 outlets including the banglalink sales and care center (customer care center), banglalink points (bp), banglalink service points (bsp) and retail points are converted to mobile cash points to ensure the service delivery from those points.
the number of cash points will be gradually increased. jbc policy holders may get the information regarding the nearest mobile cash point for insurance pay by dialing our 24x7 helpline at 1200 (banglalink number) or 01911304120 (from any operator number)
jbc policy schedule details
important information on premium payment
insurance company code | jbc |
policy number | policy no. mentioned on the top left corner of the policy schedule. the policy number will be a ten digit number without any special character (e.g. "-") and filled with the ’0’ before the number. so if the policy number written in the policy schedule as 1152438-2 then customers have to type 0011524382 as policy number. |
amount of premium | total amount mentioned on the policy schedule (if no surcharge is due). policy holders may pay total due or partial payment through the insurance pay service. note: banglalink customers can pay maximum bdt 2000 at one installment though the system form own mobile account balance. but they may pay any amount from the mobile cash point marked outlets. |
procedure i: premium payment from subscribers own banglalink connection:
step 1: registration non registered banglalink consumers having valid jbc policy can register with the following:
step | steps for registration |
1 | dial *777# |
2 | press reply button and type 1( to register) and press send button |
3 | press reply button and type the designated number for mobile insurance and press the send button ( e.g. 3. mobile insurance) |
4 | press reply button and type the number designated for the insurance company and press the send button (e.g. 1. jbc) |
5 | press the reply button and enter your policy number and press the send button ( the policy number should be 10 digits, if the policy number is 8 or 9 digits then add "0(s)" to make it 10 digits) |
6 | press the reply button and press 1 (to confirm the registration request) and press the send button |
now you are registered for the service |
your banglalink mobile cash account has been temporarily activated. your temporary pin is 1234, please change the pin immediately to activate your account, type chg<temporary pin><new pin> and send it to 480. for help please call 1200 | you are successfully associated with insurance service. now you can pay insurance premium using the service. for help please call 1200 | |
customer sms(1) | customer sms(2) |
write message | » | chg 1234 7777 | » | 480 |
go to message option | type chg old pin new pin | send to 480 |
you have successfully changed your banglalink pin on 04/19/09 06:26 pm. |
balance refill:
step 1: the customer goes to mobile cash point and requests the retailer with his/her mobile number amount to be refilled. the retailer initiates the transaction.
step 2: after receiving the following sms, subscribers confirms the transaction from their mobile after receiving the following sms:
"retailer wants to transfer tk xxxx.xx in your money wallet. to confirm please type yes <pin> and send to 480"
the customer will perform the following operation and his account will be refilled:
write message | » | yes 123 | » | 480 |
go to message option | type yes customer pin | send to 480 |
a customer needs to associate his/her policy number with the insurance pay service. customers can do this by the following way:
step | steps for association |
1 | dial *777# |
2 | press the reply button and type pin and press the send button |
3 | press the reply button and type 5 for payment option and press the send button |
4 | press the reply button and type b for mobile insurance and press the send button |
5 | press the reply button and type the number designated to the insurance compnay and press the send button |
6 | press the reply button and type 2 for payment and press the send button |
7 | press the reply button and type 1 for self and press the send button |
8 | press the reply button and type 1 to confirm the association and press the send button |
9 | press the reply button and type your policy number and press the send button |
10 | press the reply button and type the pin to confirm the association request and press the send button |
| you are now associated for the service |
step 3: pay jbc insurance premium by simply dialing *777# from your banglalink mobile and provide the following information:
step | steps for registration |
1 | dial *777# |
2 | press the reply button and type pin and press the send button |
3 | press the reply button and type 5 for payment option and press the send button |
4 | press the reply button and type b for mobile insurance and press the send button |
5 | press the reply button and type the number designated to the insurance compnay and press the send button |
6 | press the reply button and type 2 for payment and press the send button |
7 | press the reply button and type 1 for self and press the send button |
8 | press the reply button and type the number for the specific policy against which premium will be paid and press the send button |
9 | press the reply button and type 1 to confirm the policy details and press the send button |
10 | press the reply button and type 1 for exact payment and press the send button |
11 (if 1 is selected then step 12 is required if 2 is selected then directly it will go to step 13) | press the reply button and type 1 to enter alternate mobile number or type 2 for not to enter alternate mobile number and press the send button |
12 | press the reply button and type the alternate mobile number if 1 is selected from the previous step and press the send button |
13 | press the reply button and type your pin and press the send button |
| your insurance premium payment is completed |
insurance premium payment successful policy no: 0010879303 customer name: xyz insurance company: jbc premium period: dd/mm/yy - dd/mm/yy due date: dd/mm/yy amount: bdt xxxx.xx surcharge: bdt xx fee: bdt xxx total amount: bdt xxxx payment date: dd/mm/yy hh:mm txn id: minsxxxxxxxxxxxxxxxx |
procedure ii: premium payment at "mobile cash point":
- jbc policy holders simply go to the nearby "mobile cash point" marked outlet with policy schedule and cash.
- mobile cash point agent will pay the premium on jbc policy holders’’ behalf and provide money receipt with paid seal and unique transaction id.
- customers may give their any operator mobile number to get confirmation sms after successful jbc premium payment.
premium amount | service charge |
tk. 400 or less | bdt 5 |
tk. 401 to tk. 1500 | bdt 10 |
tk. 1501 to tk. 5000 | bdt 15 |
more than tk. 5000 | bdt 25 |
Tag :
banglalink
,
bl vas
now roam free with airtel
up to 90% reduction in international roaming rates
Now airtel international roaming subscriber can enjoy best ever call rates in neighboring countries and more like India, Srilanka, Pakistan and Qatar.
As a airtel roamer now you can enjoy best ever call rates while roaming with in the mentioned countries followed by selected operator:
country | operator | Percentage of Discount (Up to) |
India | Airtel | 90% |
Sri Lanka | Airtel | 70% |
Pakistan | Warid | 25% |
Qatar | Qtel | 75% |
Details call rates are following:
Particulars | India Airtek | Sri Lanka Airtel | Pakistan Warid | Qatar Qtel |
Incoming/Min | BDT 0.00 | BDT 0.00 | BDT 11.84 | BDT 0.00 |
Local/Min | BDT 8.05 | BDT 11.24 | BDT 19.98 | BDT 18.16 |
Call to Bangladesh/Min | BDT 17.60 | BDT 17.30 | BDT 35.29 | BDT 38.05 |
GPRS/MB | BDT 29.33 | BDT 86.48 | BDT 454.55 | BDT 60.54 |
SMS outgoing | BDT 4.89 | BDT 4.32 | BDT 9.99 | BDT 6.05 |
SMS incoming | BDT 0.00 | BDT 0.00 | BDT 0.00 | BDT 0.00 |
*(15% VAT exclusive)
BTCL charge in incoming call exclusive
- All prepaid and postpaid outbound roamers will be eligible to get this discounted call rates for India, Pakistan and Qatar
- Only postpaid outbound roamers will be eligible to enjoy discounted call rates for Sri Lanka.
- GPRS roaming is available for postpaid roamers only.
গ্রামীণফোনের মতো ব্যাখ্যা চায় বাংলালিংকও
আগের স্পেকট্রামের জন্য বাড়তি টাকা দাবি
গ্রামীণফোনের মতো বাংলালিংকও ২০০৮ সালে তাদের বরাদ্দ দেওয়া স্পেকট্রামের জন্য বাড়তি ৪৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা কেন দিতে হবে, এর ব্যাখ্যা চেয়ে গতকাল বুধবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠি দিয়েছে। গ্রামীণফোন গত মঙ্গলবার এ ধরনের চিঠি দেয়। গ্রামীণফোনকে আগের ওই স্পেকট্রামের জন্য বাড়তি ৩৮৪ কোটি টাকা দিতে হবে বলে বিটিআরসি জানিয়ে দিয়েছে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ গতকাল কালের কণ্ঠকে জানান, এ দুই মোবাইল ফোন অপারেটরের চিঠি তাঁরা পেয়েছেন এবং বাড়তি ওই টাকার দাবি সম্পর্কে বিটিআরসির ব্যাখ্যা বৃহস্পতিবার (আজ) জানিয়ে দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট অন্য একটি সূত্র জানায়, বাংলালিংক এ-সংক্রান্ত ব্যাখ্যা ছাড়াও লাইসেন্স নবায়নের জন্য প্রথম কিস্তির টাকা জমা দেওয়ার জন্য আরো সময় চায়। কিন্তু তা দিতে হলে সেই বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এককভাবে বিটিআরসির এ ক্ষেত্রে কিছু করার নেই। ২০০৮ সালে বরাদ্দ নেওয়া স্পেকট্রামের জন্য বাড়তি টাকার বিষয়ে ছাড় দেওয়ার ক্ষমতাও বিটিআরসির নেই। কারণ বিটিআরসি সংশ্লিষ্ট নীতিমালাটি সংশোধনের এখতিয়ার রাখে না। নীতিমালাটি চূড়ান্ত করার আগে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মতবিনিময় হয়েছে। তখন তারা বিষয়টি নিয়ে কোনো আপত্তি করেনি। নীতিমালার ৯ অনুচ্ছেদে আগের ওই স্পেকট্রামের বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এখন এ বিষয়ে এ দুই মোবাইল ফোন অপারেটরকে ছাড় দিতে হলে নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিটিআরসি গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও সিটিসেলকে তাদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে স্পেকট্রাম চার্জসহ অন্যান্য ফিয়ের প্রথম কিস্তির ৪৯ শতাংশ টাকা জমা দিতে চিঠি দেয়। চিঠিতে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংককে তাদের ২০০৮ সালে বরাদ্দ পাওয়া স্পেকট্রামের জন্য মার্কেট কম্পিটিশন ফ্যাক্টর (এমসিএফ) অনুযায়ী বাড়তি ৪৩১ কোটি টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়।
লাইসেন্স নবায়ন নীতিমালায় গ্রামীণফোনের ১.৪৮ শতাংশ, বাংলালিংকের ১.০৬ শতাংশ, রবির ০.৯৯ শতাংশ এবং সিটিসেলের ০.৩৩ শতাংশ এমসিএফ ধার্য করা হয়েছে। সে অনুসারে বিটিআরসির দাবি নীতিসম্মত হলে গ্রামীণফোনের আগের ৭ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের জন্য বাড়তি ৩৮৪ কোটি টাকা এবং বাংলালিংককে ২ দশমিক ৬ মেগাহার্টজের জন্য বাড়তি ৪৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা দিতে হতে পারে। রবিরও ২০০৮ সালে বরাদ্দ পাওয়া দুই মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম রয়েছে। কিন্তু তাদের এমসিএফ কম হওয়ার কারণে বাড়তি কোনো টাকা দিতে হবে না। আগের ওই স্পেকট্রাম ছাড়াও আগামী ১৫ বছরের জন্য নতুন করে স্পেকট্রাম বরাদ্দ নিতে গ্রামীণফোনকে ১৪ দশমিক ৬ মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের জন্য তিন হাজার ২৪১ কোটি দুই লাখ টাকা, বাংলালিংককে ১২ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের জন্য এক হাজার ৯৭১ কোটি ৬০ লাখ টাকা, রবিকে তাদের ১২ দশমিক ৮ মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের জন্য এক হাজার ৯০০ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং সিটিসেলকে তাদের ব্যবহারযোগ্য ৮০০ ব্যান্ডের ১০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের জন্য ৪৫০ কোটি টাকা দিতে হবে।
গ্রামীণফোন বিটিআরসির ওই চিঠি পাওয়ার পর সোমবার রাত ৯টায় এক বিবৃতিতে জানায়, ২০০৮ সালে তারা যখন ১৮০০ ব্যান্ডের ৭ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ বরাদ্দ নেয়, তখন লিখিতভাবে তাদের এ মর্মে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে এর জন্য ভবিষ্যতে লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে বাড়তি কোনো ফি দিতে হবে না। কিন্তু বিটিআরসি যে চিঠি দিয়েছে, তাতে ওই স্পেকট্রামের জন্য এমসিএফ অনুসারে অতিরিক্ত প্রায় ৩৮৪ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া বলা হয়েছে, লাইসেন্স নবায়নের সিদ্ধান্তের আগেই ওই টাকা পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া ভ্যাট সম্পর্কে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছ থেকে ব্যাখ্যা পাওয়ার আগেই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। গ্রামীণফোন এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে গত মঙ্গলবার বিটিআরসিকে চিঠি দেয়।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ এ দাবি ছাড়াও লাইসেন্স নবায়নের জন্য গ্রামীণফোনকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি এবং বাংলালিংককে দুই হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। এ ছাড়া সম্প্রতি বিটিআরসি গত ১৫ বছরের সুদে আসলে প্রাপ্য হিসেবে গ্রামীণফোনকে বকেয়া রাজস্ব তিন হাজার ৩৪ কোটি টাকা পরিশোধের নোটিশ দেয়। গ্রামীণফোন ওই নোটিশ অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
গ্রামীণফোনের মতো বাংলালিংকও ২০০৮ সালে তাদের বরাদ্দ দেওয়া স্পেকট্রামের জন্য বাড়তি ৪৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা কেন দিতে হবে, এর ব্যাখ্যা চেয়ে গতকাল বুধবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠি দিয়েছে। গ্রামীণফোন গত মঙ্গলবার এ ধরনের চিঠি দেয়। গ্রামীণফোনকে আগের ওই স্পেকট্রামের জন্য বাড়তি ৩৮৪ কোটি টাকা দিতে হবে বলে বিটিআরসি জানিয়ে দিয়েছে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ গতকাল কালের কণ্ঠকে জানান, এ দুই মোবাইল ফোন অপারেটরের চিঠি তাঁরা পেয়েছেন এবং বাড়তি ওই টাকার দাবি সম্পর্কে বিটিআরসির ব্যাখ্যা বৃহস্পতিবার (আজ) জানিয়ে দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট অন্য একটি সূত্র জানায়, বাংলালিংক এ-সংক্রান্ত ব্যাখ্যা ছাড়াও লাইসেন্স নবায়নের জন্য প্রথম কিস্তির টাকা জমা দেওয়ার জন্য আরো সময় চায়। কিন্তু তা দিতে হলে সেই বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এককভাবে বিটিআরসির এ ক্ষেত্রে কিছু করার নেই। ২০০৮ সালে বরাদ্দ নেওয়া স্পেকট্রামের জন্য বাড়তি টাকার বিষয়ে ছাড় দেওয়ার ক্ষমতাও বিটিআরসির নেই। কারণ বিটিআরসি সংশ্লিষ্ট নীতিমালাটি সংশোধনের এখতিয়ার রাখে না। নীতিমালাটি চূড়ান্ত করার আগে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মতবিনিময় হয়েছে। তখন তারা বিষয়টি নিয়ে কোনো আপত্তি করেনি। নীতিমালার ৯ অনুচ্ছেদে আগের ওই স্পেকট্রামের বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এখন এ বিষয়ে এ দুই মোবাইল ফোন অপারেটরকে ছাড় দিতে হলে নীতিমালায় পরিবর্তন আনতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিটিআরসি গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও সিটিসেলকে তাদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে স্পেকট্রাম চার্জসহ অন্যান্য ফিয়ের প্রথম কিস্তির ৪৯ শতাংশ টাকা জমা দিতে চিঠি দেয়। চিঠিতে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংককে তাদের ২০০৮ সালে বরাদ্দ পাওয়া স্পেকট্রামের জন্য মার্কেট কম্পিটিশন ফ্যাক্টর (এমসিএফ) অনুযায়ী বাড়তি ৪৩১ কোটি টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়।
লাইসেন্স নবায়ন নীতিমালায় গ্রামীণফোনের ১.৪৮ শতাংশ, বাংলালিংকের ১.০৬ শতাংশ, রবির ০.৯৯ শতাংশ এবং সিটিসেলের ০.৩৩ শতাংশ এমসিএফ ধার্য করা হয়েছে। সে অনুসারে বিটিআরসির দাবি নীতিসম্মত হলে গ্রামীণফোনের আগের ৭ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের জন্য বাড়তি ৩৮৪ কোটি টাকা এবং বাংলালিংককে ২ দশমিক ৬ মেগাহার্টজের জন্য বাড়তি ৪৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা দিতে হতে পারে। রবিরও ২০০৮ সালে বরাদ্দ পাওয়া দুই মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম রয়েছে। কিন্তু তাদের এমসিএফ কম হওয়ার কারণে বাড়তি কোনো টাকা দিতে হবে না। আগের ওই স্পেকট্রাম ছাড়াও আগামী ১৫ বছরের জন্য নতুন করে স্পেকট্রাম বরাদ্দ নিতে গ্রামীণফোনকে ১৪ দশমিক ৬ মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের জন্য তিন হাজার ২৪১ কোটি দুই লাখ টাকা, বাংলালিংককে ১২ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের জন্য এক হাজার ৯৭১ কোটি ৬০ লাখ টাকা, রবিকে তাদের ১২ দশমিক ৮ মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের জন্য এক হাজার ৯০০ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং সিটিসেলকে তাদের ব্যবহারযোগ্য ৮০০ ব্যান্ডের ১০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের জন্য ৪৫০ কোটি টাকা দিতে হবে।
গ্রামীণফোন বিটিআরসির ওই চিঠি পাওয়ার পর সোমবার রাত ৯টায় এক বিবৃতিতে জানায়, ২০০৮ সালে তারা যখন ১৮০০ ব্যান্ডের ৭ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ বরাদ্দ নেয়, তখন লিখিতভাবে তাদের এ মর্মে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে এর জন্য ভবিষ্যতে লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে বাড়তি কোনো ফি দিতে হবে না। কিন্তু বিটিআরসি যে চিঠি দিয়েছে, তাতে ওই স্পেকট্রামের জন্য এমসিএফ অনুসারে অতিরিক্ত প্রায় ৩৮৪ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া বলা হয়েছে, লাইসেন্স নবায়নের সিদ্ধান্তের আগেই ওই টাকা পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া ভ্যাট সম্পর্কে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছ থেকে ব্যাখ্যা পাওয়ার আগেই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। গ্রামীণফোন এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে গত মঙ্গলবার বিটিআরসিকে চিঠি দেয়।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ এ দাবি ছাড়াও লাইসেন্স নবায়নের জন্য গ্রামীণফোনকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি এবং বাংলালিংককে দুই হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। এ ছাড়া সম্প্রতি বিটিআরসি গত ১৫ বছরের সুদে আসলে প্রাপ্য হিসেবে গ্রামীণফোনকে বকেয়া রাজস্ব তিন হাজার ৩৪ কোটি টাকা পরিশোধের নোটিশ দেয়। গ্রামীণফোন ওই নোটিশ অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
Tag :
banglalink
,
report
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নীতিমালা প্রণয়ন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
সুবিধাবঞ্চিতদের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য
মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে যে কোনো ব্যাংক ওই নীতিমালা মেনে মোবাইলে আর্থিক সেবা বা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিতে পারবে। তবে এর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে আগাম অনুমোদন নিতে হবে। ইতোমধ্যে যারা এ সেবা দেওয়া শুরু করেছেন তাদের নতুন করে অনুমোদন নিতে হবে না। তবে তাদেরকেও ওই নীতিমালা মেনে চলতে হবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সম্প্রতি ব্যাংক খাতের দ্রুত প্রসার ঘটছে। দেশের সব মানুষের মধ্যে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানো সক্ষম হয়নি। বিশেষ করে অনুন্নত ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে এখনও ব্যাংকিং সেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানো সম্ভব। ফলে দেশব্যাপী মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা বঞ্চিতরা একটা সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে।
এ সেবা প্রদান করতে গিয়ে সব ধরনের ঝুঁকির জন্য (যেমন-তারল্য, পরিচালনা, প্রতারণা, টেকনিক্যাল) ব্যাংকগুলোকে দায়িত্ব নিতে হবে। এজেন্ট/ক্যাশ পয়েন্ট/পার্টনার/সহযোগী প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের জন্য ব্যাংকগুলো দায়িত্ব নেবে। লেনদেনের সব রেকর্ড ছয় বছরের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, আর্থিক সেবা খাতে একটি ভালো পরিবেশ তৈরির উদ্দেশ্যে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস সেবা প্রদানের একটি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো প্রণয়ন করা হয়েছে-যা অর্থের ব্যবহার কমাবে ও একই সঙ্গে সহযোগী অন্যান্য খরচও কমাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণীত এন্টি মানি লন্ডারিং আইন মেনে চলবে। এছাড়া জঙ্গি অর্থায়ন কমাবে এ সেবা। এছাড়া বৈধ আর্থিক সেবা বিশেষ করে গরিব ও ব্যাংক সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে কম খরচে সেবা প্রদানের জন্যই এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে যে কোনো ব্যাংক ওই নীতিমালা মেনে মোবাইলে আর্থিক সেবা বা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিতে পারবে। তবে এর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে আগাম অনুমোদন নিতে হবে। ইতোমধ্যে যারা এ সেবা দেওয়া শুরু করেছেন তাদের নতুন করে অনুমোদন নিতে হবে না। তবে তাদেরকেও ওই নীতিমালা মেনে চলতে হবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সম্প্রতি ব্যাংক খাতের দ্রুত প্রসার ঘটছে। দেশের সব মানুষের মধ্যে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানো সক্ষম হয়নি। বিশেষ করে অনুন্নত ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে এখনও ব্যাংকিং সেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানো সম্ভব। ফলে দেশব্যাপী মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা বঞ্চিতরা একটা সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে।
এ সেবা প্রদান করতে গিয়ে সব ধরনের ঝুঁকির জন্য (যেমন-তারল্য, পরিচালনা, প্রতারণা, টেকনিক্যাল) ব্যাংকগুলোকে দায়িত্ব নিতে হবে। এজেন্ট/ক্যাশ পয়েন্ট/পার্টনার/সহযোগী প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের জন্য ব্যাংকগুলো দায়িত্ব নেবে। লেনদেনের সব রেকর্ড ছয় বছরের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, আর্থিক সেবা খাতে একটি ভালো পরিবেশ তৈরির উদ্দেশ্যে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস সেবা প্রদানের একটি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো প্রণয়ন করা হয়েছে-যা অর্থের ব্যবহার কমাবে ও একই সঙ্গে সহযোগী অন্যান্য খরচও কমাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণীত এন্টি মানি লন্ডারিং আইন মেনে চলবে। এছাড়া জঙ্গি অর্থায়ন কমাবে এ সেবা। এছাড়া বৈধ আর্থিক সেবা বিশেষ করে গরিব ও ব্যাংক সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে কম খরচে সেবা প্রদানের জন্যই এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
নীতিমালা
অনুযায়ী মোবাইল অর্থসেবার মাধ্যমে ব্যাংকগুলো বৈদেশিক রেমিট্যান্স প্রদান
করতে পারবে। এছাড়া মোবাইল অ্যাকাউন্টধারীরা নগদ অর্থ আদান-প্রদানে এজেন্ট,
ব্যাংকের শাখা, এটিএম বুথ ও মোবাইল কোম্পানির আউটলেটে গিয়ে সম্পন্ন করতে
হবে। এর মাধ্যমে পারসন টু বিজনেস তথা
প্রয়োজনীয় সেবার বিল ও ব্যবাসায়িক বিল পরিশোধ করা যাবে। বিজনেস টু পারসন
তথা বেতন প্রদান, ডিভিডেন্ড ও রিফান্ড ওয়ারেন্ট পেমেন্ট, ভেন্ডর পেমেন্ট
করা যাবে। সরকার থেকে ব্যক্তির অর্থ পরিশোধে এ ব্যবস্থা ব্যবহার করা যাবে,
যেমন বয়স্ক, মুক্তিযোদ্ধা, অনুদান ইত্যাদি ভাতা প্রদান। ব্যক্তি থেকে সরকার
তথা ট্যাক্স পরিশোধ, ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি অর্থ পরিশোধ করা যাবে। এছাড়াও
ক্ষুদ্রঋণ, ওভারড্রাফট, ইন্স্যুরেন্সের কিস্তি ও ডিপিএস পরিশোধ করা যাবে এই
সেবার মাধ্যমে।
অন্যান্য দেশে ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে এ সেবা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশেও শুধু ব্যাংকগুলো এ সেবায় নেতৃত্ব দেওয়ার অনুমোদন পাবে। এর মাধ্যমে তাদের মনোনীত এজেন্টদের মাধ্যমে সেবা প্রদান করতে পারবে। গ্রাহকদের হিসাব ‘মোবাইল অ্যাকাউন্ট’ হিসেবে অভিহিত হবে। মোবাইল অ্যাকাউন্ট হবে চেকমুক্ত একটি হিসাব।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিতে হলে আগ্রহী ব্যাংককে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে যে ধরনের সেবা দিতে ইচ্ছুক তার চুক্তিনামা দাখিল করতে হবে। ক্যাশ পয়েন্ট বা এজেন্টের নাম ও ঠিকানা বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগে জমা দিতে হবে, যা প্রত্যেক মাসে হালনাগাদ করতে হবে। ক্যাশ পয়েন্ট থেকে বৈদেশিক রেমিট্যান্স আদান-প্রদানের মাধ্যম হতে হবে টাকা। এ ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা আদান-প্রদান করা যাবে বলে নীতিমালার অপর অংশে বলা হয়েছে। কোনো কোম্পানি নীতিমালার কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট এজেন্ট বা ক্যাশ পয়েন্টের কার্যক্রম স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে।
ব্যাংকগুলো এজেন্ট নির্ধারণের ক্ষেত্রে আর্থিক দিক, নীতিমালার মধ্য থেকে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার সামর্থ্য, ব্যবসা সুনাম, নিরাপত্তা ও পরিবেশ বিবেচনা করবে। এছাড়া প্রস্তাবিত কাজে সহায়তা ও বাস্তবায়নের চেষ্টা আছে এমন প্রতিষ্ঠানকে এজেন্ট হিসেবে গ্রহণ করবে ব্যাংকগুলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে এ সেবা প্রদানে ইচ্ছুক ব্যাংকগুলোর অনুমতি গ্রহণের জন্য একটি নমুনা ফরমও দেওয়া হয়েছে। এ নীতিমালা বাণিজ্যিক ব্যাংক ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মোবাইল অ্যাকাউন্ট হিসেবে পরিচিতি পাবে এ অ্যাকাউন্ট।
বর্তমানে ডাচ-বাংলা ব্যাংক মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক, সিটিসেল ও এয়ারটেলের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশ মোবাইল অপারেটর রবি’র মাধ্যমে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদান করছে।
অন্যান্য দেশে ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে এ সেবা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশেও শুধু ব্যাংকগুলো এ সেবায় নেতৃত্ব দেওয়ার অনুমোদন পাবে। এর মাধ্যমে তাদের মনোনীত এজেন্টদের মাধ্যমে সেবা প্রদান করতে পারবে। গ্রাহকদের হিসাব ‘মোবাইল অ্যাকাউন্ট’ হিসেবে অভিহিত হবে। মোবাইল অ্যাকাউন্ট হবে চেকমুক্ত একটি হিসাব।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিতে হলে আগ্রহী ব্যাংককে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে যে ধরনের সেবা দিতে ইচ্ছুক তার চুক্তিনামা দাখিল করতে হবে। ক্যাশ পয়েন্ট বা এজেন্টের নাম ও ঠিকানা বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগে জমা দিতে হবে, যা প্রত্যেক মাসে হালনাগাদ করতে হবে। ক্যাশ পয়েন্ট থেকে বৈদেশিক রেমিট্যান্স আদান-প্রদানের মাধ্যম হতে হবে টাকা। এ ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা আদান-প্রদান করা যাবে বলে নীতিমালার অপর অংশে বলা হয়েছে। কোনো কোম্পানি নীতিমালার কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট এজেন্ট বা ক্যাশ পয়েন্টের কার্যক্রম স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে।
ব্যাংকগুলো এজেন্ট নির্ধারণের ক্ষেত্রে আর্থিক দিক, নীতিমালার মধ্য থেকে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার সামর্থ্য, ব্যবসা সুনাম, নিরাপত্তা ও পরিবেশ বিবেচনা করবে। এছাড়া প্রস্তাবিত কাজে সহায়তা ও বাস্তবায়নের চেষ্টা আছে এমন প্রতিষ্ঠানকে এজেন্ট হিসেবে গ্রহণ করবে ব্যাংকগুলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে এ সেবা প্রদানে ইচ্ছুক ব্যাংকগুলোর অনুমতি গ্রহণের জন্য একটি নমুনা ফরমও দেওয়া হয়েছে। এ নীতিমালা বাণিজ্যিক ব্যাংক ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মোবাইল অ্যাকাউন্ট হিসেবে পরিচিতি পাবে এ অ্যাকাউন্ট।
বর্তমানে ডাচ-বাংলা ব্যাংক মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক, সিটিসেল ও এয়ারটেলের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশ মোবাইল অপারেটর রবি’র মাধ্যমে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদান করছে।
Tag :
report
৳ ৩৫০০ কোটি যখন কেতাবের গরু !
from : 24/7 bmon.bd
বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষের হাতে থাকা গ্রামীণফোনের (জিপি) কাছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাওনা থাকার খবরে আমাদের আনন্দিত হওয়ার কথা। এটা ‘ফাঁকি’, না ‘অনাদেয়’ তা অস্পষ্ট। টাকা তো এক দিনে জমেনি।
সংসদীয় কমিটি বিটিআরসির এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আমরা খুঁজে দেখি, এর আড়ালে কত রহস্যময়, কত বিচিত্র ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটে গেছে। জিপির চেয়ারম্যান সিগভে ব্রেক্কে মামলা করবেন কী, এর পানি তো ইতিমধ্যেই গড়িয়ে সর্বোচ্চ আদালতে গিয়ে ঠেকেছে।
হাইকোর্টের রায়ে মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদের নেতৃত্বাধীন বিটিআরসি অনিয়মের দায়ে অভিযুক্ত। আর সেটা সেই অডিট ফার্মের (ফজল অ্যান্ড কোম্পানি) নিয়োগ নিয়ে, যাদের রিপোর্টে জিপির ওই টাকার হদিস মিলেছে। এর বিরুদ্ধে জিপির আগেই যথেষ্ট কড়া মন্তব্য করেন আমাদের হাইকোর্ট। তাই সরকারি কোষাগারে সম্ভাব্য টাকার অঙ্ক আসার খবর শুনে ভালো লাগলেও সেটা ঈষৎ তেতো ঠেকতে সময় লাগেনি।
অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজার (অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল) আদালতে দেওয়া বক্তব্য যদি সত্য হয়, তাহলে বিটিআরসির চেয়ারম্যান আত্মস্বীকৃত নিয়ম ভঙ্গকারী। তিন বছর বিটিআরসির অডিটর থাকলে ফের অডিটর হওয়া বারণ। কিন্তু নিয়ম ভেঙেছে তারা। আদালতের এ-সংক্রান্ত প্রশ্নে বিটিআরসি কণ্ঠ নিচু করে। বলে, আমরা জানতাম না। আদালত তা বিশ্বাস করেননি। অতঃপর তারা বলেছে, আমরা নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেব। কিন্তু তা নেওয়া হয়নি। উপরন্তু এমন আত্মস্বীকৃত এক ত্রুটিপূর্ণ অডিটর দিয়ে এখন বাংলালিংকের নিরীক্ষা চলছে।
আপিল বিভাগে এখনো মামলা বিচারাধীন। তবে লিভ মঞ্জুরির শুনানিও বিলম্বিত করা হচ্ছে। অডিট ফার্ম নিয়োগকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ভুক্ত একটি রিভিউ প্যানেল অবৈধ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু বিটিআরসি তা না মানলে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ হয় হাইকোর্টে। এ রায়ের ওপর আপিল বিভাগের নিষেধাজ্ঞার দুই দিন হাতে থাকতে ৩ অক্টোবর জিপির কাছে তারা টাকা চেয়ে চিঠি দেয়। এসপার-ওসপার না হওয়া একটি বিষয়ের গোপনীয়তা রক্ষা করা যে নিজ স্বার্থেও দরকারি, তা-ও বিটিআরসি মনে করেনি। চিঠিটি তারা মিডিয়ায় বিলি করে। এর উদ্দেশ্য কি সস্তা বাহবা নেওয়া?
বিটিআরসির ব্যবস্থাপনায় অতি উৎসাহ কিংবা আনাড়িপনা দেখতে পাচ্ছি। এতে জিপির কাছ থেকে সত্যি যদি আদায় করে নেওয়ার মতো কিছু থাকে, তাহলে তা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সিগভে ব্রেক্কে প্রয়োজনে আইনের ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি নেবেন কী, এক লড়াইয়ে বিটিআরসি তো হেরে বসে আছে।
অডিট ফার্ম বাছাইয়ে গঠিত মূল্যায়ন কমিটিতে দুজন সদস্য থাকার কথা বিটিআরসির বাইরে থেকে। কিন্তু সবাই ছিলেন বিটিআরসির। অডিটর নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদে আপিল করা হয়েছিল। তাতে প্রমাণিত হয়, বিটিআরসি আইন ভেঙেছে। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস পিপিআরের ৬০ ধারার ৫ উপদফা অনুযায়ী, রিভিউ প্যানেলের সিদ্ধান্তই বিটিআরসিসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের জন্য বাধ্যতামূলক। কিন্তু জেনারেল জিয়া তা মানেননি। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সমর্থন চেয়ে তিনি প্রত্যাখ্যাত হন। টেলিফোনমন্ত্রী তাঁকে সাফ বলে দেন, ওই ফার্মের নিয়োগ বাতিল করুন। রিভিউ প্যানেলের সিদ্ধান্ত মেনে নিন। জেনারেলের তা মনঃপূত হয়নি। বরং তিনি তাঁদের জানিয়ে দেন যে রিভিউ প্যানেলের সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য প্রযোজ্য হবে না। তাঁর খোঁড়া যুক্তি ছিল, অডিটের ‘মাসাধিককাল অতিক্রান্ত’, তাই বিধি মানতে তিনি বাধ্য নন। পরে হাইকোর্টে প্রমাণিত হয় যে রিভিউ প্যানেল ও ডাকমন্ত্রী সঠিক ছিলেন। তিনিই ভ্রান্ত। কিন্তু তিনি দমার পাত্র নন। তিনি সব কানুন ভেঙেচুরে ফজলকে দিয়েই জিপি অডিট করাবেনই এবং তা করেছেনও।
তিনি পরিকল্পনামন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গেও আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা তাঁকে কী পরামর্শ দিয়েছিলেন, তা আমরা জানি না। তাঁর যুক্তি ছিল, ইতিমধ্যে ওই ফার্ম ‘সরকারের বিপুল অঙ্কের প্রাপ্যযোগ্য অর্থের সন্ধান’ পেয়েছে। তাই ‘জনস্বার্থে অডিট কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে’।
বিচারপতি ফরিদ আহম্মদ ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের (সম্প্রতি নিয়োগপ্রাপ্ত) সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গত আগস্টে যে রায় দিয়েছিলেন, তার সঙ্গে আমরা একমত না হয়ে পারি না। তাঁরা বলেছিলেন, ‘বিটিআরসি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। সংবিধি দ্বারা তার ওপর জনগণের ক্ষমতা আরোপ করা হয়েছে। টেলিকম বাংলাদেশের একটি বিকাশমান খাত। হাজার হাজার কোটি টাকা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। যদি এখানে ক্রয়-প্রক্রিয়ায় ন্যূনতম অনিয়ম বা অবৈধতা প্রশ্রয় পায়, তাহলে তা দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের উৎসাহিত করবে। জনস্বার্থের হানি ঘটবে। তাই কর্তৃপক্ষকে কঠোরভাবে আইন অনুসরণ করতে হবে।’ আদালত আরও বলেছেন, ‘আমরা জনাব রেজার (বিটিআরসির আইনজীবী) সঙ্গে একমত, যখন তিনি বলেন যে অডিটের মাধ্যমে বিটিআরসি টেলিকম অপারেটরদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করতে পারবে। কিন্তু আমরা তাঁর সঙ্গে একমত হতে পারি না, যখন তিনি বলেন যে জিপি অডিটরত ফজলকে এখন বিরক্ত করা ঠিক হবে না। কারণ, তারা ইতিমধ্যেই জিপির আর্থিক অনিয়ম ধরে ফেলেছে।’ আদালত এরপর যা বলেন তার সারকথা হলো, বিটিআরসির মতো প্রতিষ্ঠান প্রথমেই আইন ভাঙবে, আর তারপর তার সেই ভাঙা হাত নিয়ে টাকা আদায়ে নেমে জনস্বার্থ বিপন্ন করবে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। রাষ্ট্র এ ধরনের অবৈধ পন্থায় কিছু মুনাফা আশা করতে পারে না।
হাইকোর্টের কথায়, ‘এ ধরনের অনুশীলন আদালত দ্বারা কঠোর ভাষায় নিরুৎসাহিত এবং অঙ্কুরেই এর বিনাশ হওয়া উচিত। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিটিআরসি শুধু আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলিই দেখায়নি, একই সঙ্গে তারা উদ্ধতভাবে কর্মকাণ্ড চালিয়েছে।’
আদালতের মন্তব্য যদিও বিটিআরসিকে ঘিরে, কিন্তু এর আঁচ ব্যক্তিগতভাবে প্রথমেই লাগবে জেনারেল জিয়ার। আদালতের কথায়, ‘তাঁদের ভাবখানা এমন যেন তাঁরা তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়ে কাজকারবার করছেন। তাঁদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে তাঁরা জনগণের ক্ষমতার জিম্মাদার। রিভিউ প্যানেলের সিদ্ধান্ত যথার্থ। অডিটর নিয়োগকে তাই অবৈধ ঘোষণা করা হলো।’
এর পরও আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে বিটিআরসির অব্যাহত বেপরোয়া মনোভাব লক্ষ করি। হাইকোর্টের দেওয়া গত ১৮ আগস্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ‘ব্যক্তিগতভাবে’ আপিল বিভাগে বিটিআরসির পক্ষে দাঁড়ান। ২৫ আগস্ট মাত্র ছয় সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়। আদেশ দেওয়া হয় নিয়মিত লিভ পিটিশন দায়েরের। এর আগে আট বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত আপিল বিভাগের বেঞ্চ অবশ্য রিটের রায় পর্যন্ত অডিটে স্থিতাবস্থা দিয়েছিলেন। এর একটা অর্থ ছিল, রায় তুমি মেনে নিয়ো। কিন্তু মানেনি বিটিআরসি।
বিটিআরসির সঙ্গে ওই অডিট ফার্মের চুক্তি হয়েছিল গত ৫ এপ্রিল। এর ৪৭ দিন পর হাইকোর্ট প্রথম বিটিআরসির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিলেন। এর বিরুদ্ধে চেম্বার থেকে স্থগিতাদেশ নেওয়ার সময়ও আমরা অ্যাটর্নি জেনারেলকে দেখি। আমরা সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুকেও দেখি। মুরাদ রেজাও ছিলেন। তবে রিভিউ প্যানেল কিংবা মন্ত্রণালয়—দুটোই খাস সরকারি। তবু আমরা অ্যাটর্নিদের ‘প্রাইভেট’ ভূমিকায় দেখলাম। এটা বিচারিক রেওয়াজের বিচ্যুতি কি না, সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ। তবে যে মামলায় রাষ্ট্রের এত বড় স্বার্থ, সেখানে আমরা রাষ্ট্রের কোনো প্রতিনিধিত্ব পেলাম না। যে রাষ্ট্রের জন্য টাকা জোগাড়ে বিটিআরসি মরিয়া, সেখানে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ নীরব কেন?
এ রকম একটি রহস্যজনক প্রক্রিয়ায় জিপির কাছ থেকে রাষ্ট্রের কোষাগারে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আদায়ে নেমেছে বিটিআরসি। কারও জনস্বার্থ দেখার ব্যাকুলতাকে আমরা অবশ্যই সম্মান করি। বিটিআরসিকেও করি। কিন্তু এতটা অপরিচ্ছন্ন হাতে পরিচ্ছন্ন অভিযান চালাতে দেখে অবাক হই।
৩ অক্টোবর জিপিকে দেওয়া বিটিআরসির আকস্মিক চিঠি আর জিপির উত্তর পড়ে আমরা অবশ্য বুঝতে পারি না যে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার দাবি সমীচীন কি সমীচীন নয়।
রাজস্ব ফাঁকি কথাটি চিঠিতে নেই। একগুচ্ছ পরিপত্রের উল্লেখ আছে। কিন্তু তার কোনটা কোথায়, কতটা কীভাবে লঙ্ঘিত হলো, তা নির্দিষ্ট করা নেই। বলা হয়, ১৯৯৬ থেকে গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত জিপি ৩৮ হাজার ৯৯৪ কোটি টাকা ‘সংগ্রহ’ করে বলে ‘ফজল’ চিহ্নিত করেছে। প্রকৃত রাজস্ব এ সময় দুই হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা বিটিআরসির প্রাপ্য ‘প্রতীয়মান’ হলেও পরিশোধ করা হয়েছে মাত্র এক হাজার ৬২৭ কোটি টাকা। সুদসহ বাকি টাকা তাই ‘অপরিশোধিত’। এত বিপুল অঙ্কের পাওনা, যা মাত্র পাঁচ মাসে চিহ্নিত হলো, তা এত দিন কেন ফেলনা ছিল, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। এখন আপিল বিভাগে ওই মামলার শুনানি বিলম্বিত করার চেষ্টা চলছে।
তবে আমাদের একটা ভরসা আছে। কারণ, জিপির সিইও জনসনের ৪ অক্টোবরের লেখা চিঠিতে দেখি, তাঁরা এই দাবি আজগুবি বলে উড়িয়ে দেননি। আমরা মর্মাহত, আমরা বিস্মিত—সেটা তিনি বলেছেন ওই টাকা দাবি করা হয়েছে বলে নয়, প্রক্রিয়াগত বিচ্যুতির জন্যই। জনসনের কথায়, ‘নিরীক্ষায় সব সময় সুযোগ থাকে হিসাব-কিতাব বিভিন্নভাবে দেখার। এ জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে সংলাপ দরকার; যাতে আন্তর্জাতিক শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি বেছে নেওয়া যায়।’
জেনারেল জিয়া আহমেদ, যার চাকরি নবায়নের প্রশ্ন অত্যাসন্ন, তিনি প্রথম আলোকে যা বলেন, তাতে মনে হলো, তিনি যা করছেন তাতে প্রধানমন্ত্রীর সায় আছে। কানাঘুষা অনেক। জনস্বার্থ রক্ষা ও একই সঙ্গে কারও কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা বা কৌশলগত অভিসন্ধি কাজ করছে কি? ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অপসারিত’ ড. ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে কিন্তু অমুনাফাভোগী গ্রামীণ টেলিকমের (যার মূল কাজ বাংলাদেশের গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন) আইনগত সম্পৃক্ততা নেই বলে জানি। জিপির ৩৪ দশমিক ২ শতাংশের মালিকানা গ্রামীণ টেলিকমের। সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা গুনতে হলে টেলিনর একা গুনবে না। তার মালিকানা ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশ। বাকিটা বাংলার জনগণ বলা যায়। তবে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এবং আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদকের তৎপরতা একটি উচ্চমার্গীয় রাজনৈতিক যোগসূত্রকেই নির্দেশ করে।
তবে আমরাও মনে করি, বিষয়টি নিয়ে সংলাপ দরকার। টেলিনরকে স্থানীয় কিংবা আন্তর্জাতিক আদালতে ঠেলা উচিত হবে না। কাজির গরু কেতাবে থাকে, গোয়ালে থাকে না। কিন্তু বিটিআরসির হিসাবের গরু কেতাবে থাকলে গোয়ালেও থাকবে। যাবে কোথায়। জিপি-বস টেলিনরকে ২০০১ সালে নরওয়ে সরকার ২০ লাখ ক্রনার জরিমানা করেছিল তার নব্বইয়ের দশকের অপকর্মের জন্য। সুতরাং দেরি হলে জুড়িয়ে যাওয়ার কিছু নেই। তাই বলি, প্রায় দুই-তিন কোটি টাকা নিয়ে তর্কিত ফজল যে গরুর হদিস দিতে পারল, তা কোনো শিষ্ট ফজল দিতে পারত বা পারবে না কেন। ফজল-বিতর্ক আদালতে ফয়সালা হোক। ইত্যবসরে সংসদীয় কমিটির তদারকে নতুন ফার্ম দিয়ে দ্বিতীয়বারও এর নিরীক্ষা করা যেতে পারে। কারণ, হিসাব-সূত্রটা ঠিক করাই আসল কথা। জিপির ক্ষেত্রে যা, অন্য সব টেলিকম অপারেটরের (নবাগত এয়ারটেলসহ) বেলায়ও তাই হবে। সে কারণে হিসাব-সূত্রটা আন্তর্জাতিক হওয়াটাই সংগত। এখানে ইউরেকা ইউরেকা তত্ত্ব খাটার কথা নয়।
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষের হাতে থাকা গ্রামীণফোনের (জিপি) কাছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাওনা থাকার খবরে আমাদের আনন্দিত হওয়ার কথা। এটা ‘ফাঁকি’, না ‘অনাদেয়’ তা অস্পষ্ট। টাকা তো এক দিনে জমেনি।
সংসদীয় কমিটি বিটিআরসির এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আমরা খুঁজে দেখি, এর আড়ালে কত রহস্যময়, কত বিচিত্র ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটে গেছে। জিপির চেয়ারম্যান সিগভে ব্রেক্কে মামলা করবেন কী, এর পানি তো ইতিমধ্যেই গড়িয়ে সর্বোচ্চ আদালতে গিয়ে ঠেকেছে।
হাইকোর্টের রায়ে মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদের নেতৃত্বাধীন বিটিআরসি অনিয়মের দায়ে অভিযুক্ত। আর সেটা সেই অডিট ফার্মের (ফজল অ্যান্ড কোম্পানি) নিয়োগ নিয়ে, যাদের রিপোর্টে জিপির ওই টাকার হদিস মিলেছে। এর বিরুদ্ধে জিপির আগেই যথেষ্ট কড়া মন্তব্য করেন আমাদের হাইকোর্ট। তাই সরকারি কোষাগারে সম্ভাব্য টাকার অঙ্ক আসার খবর শুনে ভালো লাগলেও সেটা ঈষৎ তেতো ঠেকতে সময় লাগেনি।
অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজার (অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল) আদালতে দেওয়া বক্তব্য যদি সত্য হয়, তাহলে বিটিআরসির চেয়ারম্যান আত্মস্বীকৃত নিয়ম ভঙ্গকারী। তিন বছর বিটিআরসির অডিটর থাকলে ফের অডিটর হওয়া বারণ। কিন্তু নিয়ম ভেঙেছে তারা। আদালতের এ-সংক্রান্ত প্রশ্নে বিটিআরসি কণ্ঠ নিচু করে। বলে, আমরা জানতাম না। আদালত তা বিশ্বাস করেননি। অতঃপর তারা বলেছে, আমরা নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেব। কিন্তু তা নেওয়া হয়নি। উপরন্তু এমন আত্মস্বীকৃত এক ত্রুটিপূর্ণ অডিটর দিয়ে এখন বাংলালিংকের নিরীক্ষা চলছে।
আপিল বিভাগে এখনো মামলা বিচারাধীন। তবে লিভ মঞ্জুরির শুনানিও বিলম্বিত করা হচ্ছে। অডিট ফার্ম নিয়োগকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ভুক্ত একটি রিভিউ প্যানেল অবৈধ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু বিটিআরসি তা না মানলে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ হয় হাইকোর্টে। এ রায়ের ওপর আপিল বিভাগের নিষেধাজ্ঞার দুই দিন হাতে থাকতে ৩ অক্টোবর জিপির কাছে তারা টাকা চেয়ে চিঠি দেয়। এসপার-ওসপার না হওয়া একটি বিষয়ের গোপনীয়তা রক্ষা করা যে নিজ স্বার্থেও দরকারি, তা-ও বিটিআরসি মনে করেনি। চিঠিটি তারা মিডিয়ায় বিলি করে। এর উদ্দেশ্য কি সস্তা বাহবা নেওয়া?
বিটিআরসির ব্যবস্থাপনায় অতি উৎসাহ কিংবা আনাড়িপনা দেখতে পাচ্ছি। এতে জিপির কাছ থেকে সত্যি যদি আদায় করে নেওয়ার মতো কিছু থাকে, তাহলে তা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সিগভে ব্রেক্কে প্রয়োজনে আইনের ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি নেবেন কী, এক লড়াইয়ে বিটিআরসি তো হেরে বসে আছে।
অডিট ফার্ম বাছাইয়ে গঠিত মূল্যায়ন কমিটিতে দুজন সদস্য থাকার কথা বিটিআরসির বাইরে থেকে। কিন্তু সবাই ছিলেন বিটিআরসির। অডিটর নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদে আপিল করা হয়েছিল। তাতে প্রমাণিত হয়, বিটিআরসি আইন ভেঙেছে। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস পিপিআরের ৬০ ধারার ৫ উপদফা অনুযায়ী, রিভিউ প্যানেলের সিদ্ধান্তই বিটিআরসিসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের জন্য বাধ্যতামূলক। কিন্তু জেনারেল জিয়া তা মানেননি। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সমর্থন চেয়ে তিনি প্রত্যাখ্যাত হন। টেলিফোনমন্ত্রী তাঁকে সাফ বলে দেন, ওই ফার্মের নিয়োগ বাতিল করুন। রিভিউ প্যানেলের সিদ্ধান্ত মেনে নিন। জেনারেলের তা মনঃপূত হয়নি। বরং তিনি তাঁদের জানিয়ে দেন যে রিভিউ প্যানেলের সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য প্রযোজ্য হবে না। তাঁর খোঁড়া যুক্তি ছিল, অডিটের ‘মাসাধিককাল অতিক্রান্ত’, তাই বিধি মানতে তিনি বাধ্য নন। পরে হাইকোর্টে প্রমাণিত হয় যে রিভিউ প্যানেল ও ডাকমন্ত্রী সঠিক ছিলেন। তিনিই ভ্রান্ত। কিন্তু তিনি দমার পাত্র নন। তিনি সব কানুন ভেঙেচুরে ফজলকে দিয়েই জিপি অডিট করাবেনই এবং তা করেছেনও।
তিনি পরিকল্পনামন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গেও আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা তাঁকে কী পরামর্শ দিয়েছিলেন, তা আমরা জানি না। তাঁর যুক্তি ছিল, ইতিমধ্যে ওই ফার্ম ‘সরকারের বিপুল অঙ্কের প্রাপ্যযোগ্য অর্থের সন্ধান’ পেয়েছে। তাই ‘জনস্বার্থে অডিট কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে’।
বিচারপতি ফরিদ আহম্মদ ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের (সম্প্রতি নিয়োগপ্রাপ্ত) সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গত আগস্টে যে রায় দিয়েছিলেন, তার সঙ্গে আমরা একমত না হয়ে পারি না। তাঁরা বলেছিলেন, ‘বিটিআরসি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। সংবিধি দ্বারা তার ওপর জনগণের ক্ষমতা আরোপ করা হয়েছে। টেলিকম বাংলাদেশের একটি বিকাশমান খাত। হাজার হাজার কোটি টাকা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। যদি এখানে ক্রয়-প্রক্রিয়ায় ন্যূনতম অনিয়ম বা অবৈধতা প্রশ্রয় পায়, তাহলে তা দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের উৎসাহিত করবে। জনস্বার্থের হানি ঘটবে। তাই কর্তৃপক্ষকে কঠোরভাবে আইন অনুসরণ করতে হবে।’ আদালত আরও বলেছেন, ‘আমরা জনাব রেজার (বিটিআরসির আইনজীবী) সঙ্গে একমত, যখন তিনি বলেন যে অডিটের মাধ্যমে বিটিআরসি টেলিকম অপারেটরদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করতে পারবে। কিন্তু আমরা তাঁর সঙ্গে একমত হতে পারি না, যখন তিনি বলেন যে জিপি অডিটরত ফজলকে এখন বিরক্ত করা ঠিক হবে না। কারণ, তারা ইতিমধ্যেই জিপির আর্থিক অনিয়ম ধরে ফেলেছে।’ আদালত এরপর যা বলেন তার সারকথা হলো, বিটিআরসির মতো প্রতিষ্ঠান প্রথমেই আইন ভাঙবে, আর তারপর তার সেই ভাঙা হাত নিয়ে টাকা আদায়ে নেমে জনস্বার্থ বিপন্ন করবে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। রাষ্ট্র এ ধরনের অবৈধ পন্থায় কিছু মুনাফা আশা করতে পারে না।
হাইকোর্টের কথায়, ‘এ ধরনের অনুশীলন আদালত দ্বারা কঠোর ভাষায় নিরুৎসাহিত এবং অঙ্কুরেই এর বিনাশ হওয়া উচিত। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিটিআরসি শুধু আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলিই দেখায়নি, একই সঙ্গে তারা উদ্ধতভাবে কর্মকাণ্ড চালিয়েছে।’
আদালতের মন্তব্য যদিও বিটিআরসিকে ঘিরে, কিন্তু এর আঁচ ব্যক্তিগতভাবে প্রথমেই লাগবে জেনারেল জিয়ার। আদালতের কথায়, ‘তাঁদের ভাবখানা এমন যেন তাঁরা তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়ে কাজকারবার করছেন। তাঁদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে তাঁরা জনগণের ক্ষমতার জিম্মাদার। রিভিউ প্যানেলের সিদ্ধান্ত যথার্থ। অডিটর নিয়োগকে তাই অবৈধ ঘোষণা করা হলো।’
এর পরও আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে বিটিআরসির অব্যাহত বেপরোয়া মনোভাব লক্ষ করি। হাইকোর্টের দেওয়া গত ১৮ আগস্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ‘ব্যক্তিগতভাবে’ আপিল বিভাগে বিটিআরসির পক্ষে দাঁড়ান। ২৫ আগস্ট মাত্র ছয় সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়। আদেশ দেওয়া হয় নিয়মিত লিভ পিটিশন দায়েরের। এর আগে আট বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত আপিল বিভাগের বেঞ্চ অবশ্য রিটের রায় পর্যন্ত অডিটে স্থিতাবস্থা দিয়েছিলেন। এর একটা অর্থ ছিল, রায় তুমি মেনে নিয়ো। কিন্তু মানেনি বিটিআরসি।
বিটিআরসির সঙ্গে ওই অডিট ফার্মের চুক্তি হয়েছিল গত ৫ এপ্রিল। এর ৪৭ দিন পর হাইকোর্ট প্রথম বিটিআরসির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিলেন। এর বিরুদ্ধে চেম্বার থেকে স্থগিতাদেশ নেওয়ার সময়ও আমরা অ্যাটর্নি জেনারেলকে দেখি। আমরা সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুকেও দেখি। মুরাদ রেজাও ছিলেন। তবে রিভিউ প্যানেল কিংবা মন্ত্রণালয়—দুটোই খাস সরকারি। তবু আমরা অ্যাটর্নিদের ‘প্রাইভেট’ ভূমিকায় দেখলাম। এটা বিচারিক রেওয়াজের বিচ্যুতি কি না, সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ। তবে যে মামলায় রাষ্ট্রের এত বড় স্বার্থ, সেখানে আমরা রাষ্ট্রের কোনো প্রতিনিধিত্ব পেলাম না। যে রাষ্ট্রের জন্য টাকা জোগাড়ে বিটিআরসি মরিয়া, সেখানে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ নীরব কেন?
এ রকম একটি রহস্যজনক প্রক্রিয়ায় জিপির কাছ থেকে রাষ্ট্রের কোষাগারে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আদায়ে নেমেছে বিটিআরসি। কারও জনস্বার্থ দেখার ব্যাকুলতাকে আমরা অবশ্যই সম্মান করি। বিটিআরসিকেও করি। কিন্তু এতটা অপরিচ্ছন্ন হাতে পরিচ্ছন্ন অভিযান চালাতে দেখে অবাক হই।
৩ অক্টোবর জিপিকে দেওয়া বিটিআরসির আকস্মিক চিঠি আর জিপির উত্তর পড়ে আমরা অবশ্য বুঝতে পারি না যে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার দাবি সমীচীন কি সমীচীন নয়।
রাজস্ব ফাঁকি কথাটি চিঠিতে নেই। একগুচ্ছ পরিপত্রের উল্লেখ আছে। কিন্তু তার কোনটা কোথায়, কতটা কীভাবে লঙ্ঘিত হলো, তা নির্দিষ্ট করা নেই। বলা হয়, ১৯৯৬ থেকে গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত জিপি ৩৮ হাজার ৯৯৪ কোটি টাকা ‘সংগ্রহ’ করে বলে ‘ফজল’ চিহ্নিত করেছে। প্রকৃত রাজস্ব এ সময় দুই হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা বিটিআরসির প্রাপ্য ‘প্রতীয়মান’ হলেও পরিশোধ করা হয়েছে মাত্র এক হাজার ৬২৭ কোটি টাকা। সুদসহ বাকি টাকা তাই ‘অপরিশোধিত’। এত বিপুল অঙ্কের পাওনা, যা মাত্র পাঁচ মাসে চিহ্নিত হলো, তা এত দিন কেন ফেলনা ছিল, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। এখন আপিল বিভাগে ওই মামলার শুনানি বিলম্বিত করার চেষ্টা চলছে।
তবে আমাদের একটা ভরসা আছে। কারণ, জিপির সিইও জনসনের ৪ অক্টোবরের লেখা চিঠিতে দেখি, তাঁরা এই দাবি আজগুবি বলে উড়িয়ে দেননি। আমরা মর্মাহত, আমরা বিস্মিত—সেটা তিনি বলেছেন ওই টাকা দাবি করা হয়েছে বলে নয়, প্রক্রিয়াগত বিচ্যুতির জন্যই। জনসনের কথায়, ‘নিরীক্ষায় সব সময় সুযোগ থাকে হিসাব-কিতাব বিভিন্নভাবে দেখার। এ জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে সংলাপ দরকার; যাতে আন্তর্জাতিক শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি বেছে নেওয়া যায়।’
জেনারেল জিয়া আহমেদ, যার চাকরি নবায়নের প্রশ্ন অত্যাসন্ন, তিনি প্রথম আলোকে যা বলেন, তাতে মনে হলো, তিনি যা করছেন তাতে প্রধানমন্ত্রীর সায় আছে। কানাঘুষা অনেক। জনস্বার্থ রক্ষা ও একই সঙ্গে কারও কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা বা কৌশলগত অভিসন্ধি কাজ করছে কি? ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অপসারিত’ ড. ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে কিন্তু অমুনাফাভোগী গ্রামীণ টেলিকমের (যার মূল কাজ বাংলাদেশের গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন) আইনগত সম্পৃক্ততা নেই বলে জানি। জিপির ৩৪ দশমিক ২ শতাংশের মালিকানা গ্রামীণ টেলিকমের। সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা গুনতে হলে টেলিনর একা গুনবে না। তার মালিকানা ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশ। বাকিটা বাংলার জনগণ বলা যায়। তবে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এবং আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদকের তৎপরতা একটি উচ্চমার্গীয় রাজনৈতিক যোগসূত্রকেই নির্দেশ করে।
তবে আমরাও মনে করি, বিষয়টি নিয়ে সংলাপ দরকার। টেলিনরকে স্থানীয় কিংবা আন্তর্জাতিক আদালতে ঠেলা উচিত হবে না। কাজির গরু কেতাবে থাকে, গোয়ালে থাকে না। কিন্তু বিটিআরসির হিসাবের গরু কেতাবে থাকলে গোয়ালেও থাকবে। যাবে কোথায়। জিপি-বস টেলিনরকে ২০০১ সালে নরওয়ে সরকার ২০ লাখ ক্রনার জরিমানা করেছিল তার নব্বইয়ের দশকের অপকর্মের জন্য। সুতরাং দেরি হলে জুড়িয়ে যাওয়ার কিছু নেই। তাই বলি, প্রায় দুই-তিন কোটি টাকা নিয়ে তর্কিত ফজল যে গরুর হদিস দিতে পারল, তা কোনো শিষ্ট ফজল দিতে পারত বা পারবে না কেন। ফজল-বিতর্ক আদালতে ফয়সালা হোক। ইত্যবসরে সংসদীয় কমিটির তদারকে নতুন ফার্ম দিয়ে দ্বিতীয়বারও এর নিরীক্ষা করা যেতে পারে। কারণ, হিসাব-সূত্রটা ঠিক করাই আসল কথা। জিপির ক্ষেত্রে যা, অন্য সব টেলিকম অপারেটরের (নবাগত এয়ারটেলসহ) বেলায়ও তাই হবে। সে কারণে হিসাব-সূত্রটা আন্তর্জাতিক হওয়াটাই সংগত। এখানে ইউরেকা ইউরেকা তত্ত্ব খাটার কথা নয়।
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
Tag :
grameen phone
,
report
গ্রামীণফোনের চিঠির জবাব বিটিআরসি আজ দেবে
দ্বিতীয় প্রজন্মের (টু-জি) প্রযুক্তির লাইসেন্স নবায়ন নীতিমালা মেনেই গ্রামীণফোনের কাছ থেকে ৩৮৪ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশনের (BTRC) চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ।
টু-জি লাইসেন্স নবায়নে সোমবার গ্রামীণফোনসহ চার মোবাইল অপারেটরকে চিঠি দেয় বিটিআরসি। লাইসেন্স নবায়নে প্রথম কিস্তির টাকা চেয়ে চিঠি পাঠানোর পরদিন মঙ্গলবার টু-জি লাইসেন্স নবায়নে ‘বাড়তি’ ৩৮৪ কোটি টাকা চাওয়ার ব্যাখ্যা চেয়ে বিটিআরসিকে চিঠি দেয় গ্রামীণফোন।
এই বিষয়ে জিয়া আহমেদ বলেন, গ্রামীণফোনকে বৃহস্পতিবার (আজ) এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেওয়া হবে। তিনি জানান, ২০০৮ সালের বরাদ্দ করা তরঙ্গ বা স্পেকট্রামের ওপর মার্কেট কম্পিটিশন ফ্যাক্টর (এমসিএফ) যোগ করে ৩৮৪ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।
গ্রামীণফোনের চিঠিতে দেওয়া অভিযোগের বিষয়ে জিয়া আহমেদ বলেন, প্রতি মেগাহার্টজ ৮০ কোটি টাকা করে ২০০৮-এ ৭ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ তরঙ্গ ১৮ বছরের জন্য বরাদ্দ পায় গ্রামীণফোন। তখন লিখিত চুক্তি হয়, ভবিষ্যতে লাইসেন্স নবায়নের বিষয়ে তরঙ্গের জন্য কোনো চার্জ নেওয়া হবে না। তবে টু-জি লাইসেন্স নবায়ন নীতিমালার ৯ দশমিক ১ ধারা অনুযায়ী, ২০০৮ এ বরাদ্দ করা তরঙ্গের ফি ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে অর্থাৎ এমসিএফ আমলে নেওয়া যাবে।
টু-জি লাইসেন্স নবায়নে সোমবার গ্রামীণফোনসহ চার মোবাইল অপারেটরকে চিঠি দেয় বিটিআরসি। লাইসেন্স নবায়নে প্রথম কিস্তির টাকা চেয়ে চিঠি পাঠানোর পরদিন মঙ্গলবার টু-জি লাইসেন্স নবায়নে ‘বাড়তি’ ৩৮৪ কোটি টাকা চাওয়ার ব্যাখ্যা চেয়ে বিটিআরসিকে চিঠি দেয় গ্রামীণফোন।
এই বিষয়ে জিয়া আহমেদ বলেন, গ্রামীণফোনকে বৃহস্পতিবার (আজ) এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেওয়া হবে। তিনি জানান, ২০০৮ সালের বরাদ্দ করা তরঙ্গ বা স্পেকট্রামের ওপর মার্কেট কম্পিটিশন ফ্যাক্টর (এমসিএফ) যোগ করে ৩৮৪ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।
গ্রামীণফোনের চিঠিতে দেওয়া অভিযোগের বিষয়ে জিয়া আহমেদ বলেন, প্রতি মেগাহার্টজ ৮০ কোটি টাকা করে ২০০৮-এ ৭ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ তরঙ্গ ১৮ বছরের জন্য বরাদ্দ পায় গ্রামীণফোন। তখন লিখিত চুক্তি হয়, ভবিষ্যতে লাইসেন্স নবায়নের বিষয়ে তরঙ্গের জন্য কোনো চার্জ নেওয়া হবে না। তবে টু-জি লাইসেন্স নবায়ন নীতিমালার ৯ দশমিক ১ ধারা অনুযায়ী, ২০০৮ এ বরাদ্দ করা তরঙ্গের ফি ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে অর্থাৎ এমসিএফ আমলে নেওয়া যাবে।
Tag :
grameen phone
,
report
Nokia Siemens Networks unveils new Facebook app
Nokia Siemens Networks announced the launch of a Facebook app that
operators can use to allow people to personally manage their fixed and mobile
telecom services.
The new app enables customers to check their balance, browse and buy
special offers and subscribe to services.
Customers can share their experience across their social network and get
rewards for recommending services to friends. The app aims to offer an improved
service by allowing operators to engage with customers where they spend their
time online.
"The beauty of the Facebook app is that it engages with people on their
preferred social networking site," said Rick Centeno, head of business support
systems (BSS) at Nokia Siemens Networks.
"People spend more time on social networks than individual websites.
With this Facebook app, Nokia Siemens Networks helps operators to connect with
people in a familiar setting where they already spend their online time. It
takes self-care to a new level," Centeno added.
"Nokia Siemens Networks is presenting a refreshing end-to-end vision of
how CSPs can better meet their customers' needs through self-care, while also
reducing their costs and becoming more commercially agile," said Teresa Cottam,
research director and founder, Telesperience.
For operators that deliver a superior customer service, Nokia Siemens
Networks' Facebook app can amplify and publicize genuine leadership. People who
share their experiences with friends, and also recommend services, can benefit
from special rates and incentives from operators.
This first social network integration will enrich a wide range of
existing operator processes such as convergent charging, self-care, campaign
management, business analytics and customer experience management to improve
customer experience in a very efficient way. The integration is based on Nokia
Siemens Networks' modular charging engine and integration framework.
The application enhances Nokia Siemens Networks' range of self-care
portals - share@once - that facilitate direct interaction between operators and
customers. The new Facebook app complements a mobile self-care app for
smartphones and a web-based self-care portal that can already provide a simpler
way to manage telecom services.
By Telecomlead.com Team
editor@telecomlead.com
editor@telecomlead.com
Tag :
report
৪ মোবাইল কোম্পানি থেকে সরকার পাবে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা
দেশের চার মোবাইলফোন অপারেটরের
টুজি লাইসেন্স নবায়ন বাবদ সরকার পাচ্ছে ৭ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে
গ্রামীণফোন ৩ হাজার ২৪২ কোটি, বাংলালিংক ১ হাজার ৯৭১ কোটি, রবি ১ হাজার ৯০০
কোটি ও সিটিসেল ৪৫০ কোটি টাকা দেবে। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে চার
অপারেটরকে এই টাকার ৪৯ শতাংশ হারে গ্রামীণফোনকে ১ হাজার ৫৮৮ কোটি,
বাংলালিংককে ৯৬৬ কোটি, রবি ৯৩১ কোটি ও সিটিসেলকে ২২১ কোটি টাকা পরিশোধ করতে
হবে। বাকি টাকা দেড় বছরে তিন কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।
গত সোমবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC) চার মোবাইলফোন অপারেটরকে লাইসেন্স নবায়ন অনুমোদনের চিঠি পাঠিয়েছে। ওই চিঠিতে লাইসেন্স নবায়ন বাবদ সরকারকে প্রদেয় টাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অনুমোদনের চিঠি অনুসারে লাইসেন্স নবায়ন বাবদ গ্রামীণফোনকে আগের টাকার থেকেও অতিরিক্ত ৩৮৪ কোটি ও বাংলালিংকে ৪৭ কোটি টাকা দিতে হবে। চিঠি প্রাপ্তির পর ওইদিনই গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন, বিষয়টির ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে তারা বিটিআরসিকে চিঠি দেবেন।
গতকাল সন্ধ্যায় গ্রামীণফোনের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা কাজি মনিরুল কবির আমাদের সময়কে বলেন, আজ (গতকাল) আমরা বিটিআরসিকে চিঠি পাঠিয়েছি। চিঠিতে বিটিআরসির কাছ থেকে কিছু বিষয়ের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে। জবাব পেলে ৩৮৭ কোটি টাকার বিষয়টি নিয়ে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ ভাববে। এদিকে বাংলালিংকেরও বিটিআরসিতে চিঠি পাঠানোর কথা।
জানা গেছে, লাইসেন্স নবায়ন ও বকেয়া পাওনা মিলিয়ে গ্রামীণফোনের কাছ থেকেই সরকার পাচ্ছে ৬ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে লাইসেন্স নবায়নের জন্য সরকার পাচ্ছে ৩ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা (অতিরিক্ত ৩৮৭ কোটি টাকাসহ)। এ ছাড়াও সরকারের বকেয়া পাওনা আছে ৩ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। বিটিআরসির এক মহাপরিচালক বলেন, লাইসেন্স নবায়নের টাকার সঙ্গে সরকারের বকেয়া পাওনা ৩ হাজার ৩৪ কোটি টাকার কোনও সম্পর্ক নেই। এই টাকা গ্রামীণফোনের লাইসেন্স নবায়নে কোনও প্রভাব ফেলবে না। বিটিআরসি ইতিমধ্যে গ্রামীণফোনের লাইসেন্স নবায়নের আবেদন গ্রহণ করে অনুমোদনের চিঠি পাঠিয়েছে। এতে করে তাদের লাইসেন্সের সব জটিলতার অবসান হয়েছে।
গত সোমবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC) চার মোবাইলফোন অপারেটরকে লাইসেন্স নবায়ন অনুমোদনের চিঠি পাঠিয়েছে। ওই চিঠিতে লাইসেন্স নবায়ন বাবদ সরকারকে প্রদেয় টাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অনুমোদনের চিঠি অনুসারে লাইসেন্স নবায়ন বাবদ গ্রামীণফোনকে আগের টাকার থেকেও অতিরিক্ত ৩৮৪ কোটি ও বাংলালিংকে ৪৭ কোটি টাকা দিতে হবে। চিঠি প্রাপ্তির পর ওইদিনই গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন, বিষয়টির ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে তারা বিটিআরসিকে চিঠি দেবেন।
গতকাল সন্ধ্যায় গ্রামীণফোনের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা কাজি মনিরুল কবির আমাদের সময়কে বলেন, আজ (গতকাল) আমরা বিটিআরসিকে চিঠি পাঠিয়েছি। চিঠিতে বিটিআরসির কাছ থেকে কিছু বিষয়ের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে। জবাব পেলে ৩৮৭ কোটি টাকার বিষয়টি নিয়ে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ ভাববে। এদিকে বাংলালিংকেরও বিটিআরসিতে চিঠি পাঠানোর কথা।
জানা গেছে, লাইসেন্স নবায়ন ও বকেয়া পাওনা মিলিয়ে গ্রামীণফোনের কাছ থেকেই সরকার পাচ্ছে ৬ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে লাইসেন্স নবায়নের জন্য সরকার পাচ্ছে ৩ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা (অতিরিক্ত ৩৮৭ কোটি টাকাসহ)। এ ছাড়াও সরকারের বকেয়া পাওনা আছে ৩ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। বিটিআরসির এক মহাপরিচালক বলেন, লাইসেন্স নবায়নের টাকার সঙ্গে সরকারের বকেয়া পাওনা ৩ হাজার ৩৪ কোটি টাকার কোনও সম্পর্ক নেই। এই টাকা গ্রামীণফোনের লাইসেন্স নবায়নে কোনও প্রভাব ফেলবে না। বিটিআরসি ইতিমধ্যে গ্রামীণফোনের লাইসেন্স নবায়নের আবেদন গ্রহণ করে অনুমোদনের চিঠি পাঠিয়েছে। এতে করে তাদের লাইসেন্সের সব জটিলতার অবসান হয়েছে।
Tag :
report
ইউনিয়ন পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা দেবে রবি
Local Government Division (LGD), Access to Information (A2I) Programme, currently Support to Digital Bangladesh of the Prime Minister's Office and Robi Axiata Limited recently signed a memorandum of understanding (MoU) with the aim of reaching mobile phone services to the doorstepof the rural people. National Project Director of the A2I Programme Md Nazrul Islam Khan, Additional Secretary of Local Government Division Syed Mahbub Hasan and Chief Marketing Officer of Robi Bidyut Kumar Basu signed the MoU on the behalf of their respective organizations at the Prime Minister's Office. Under the MoU, Robi will implement their services at 800union information service centres (UISCs) within one year in the country. The remaining UISCs will be brought under the programme in phases.
ইউনিয়ন
পর্যায়ে গণমানুষের কাছে তথ্যসেবা আরো সহজতর করতে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি,
স্থানীয় সরকার বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের 'সাপোর্ট টু ডিজিটাল
বাংলাদেশ' প্রকল্পের মধ্যে মোবাইল ফোনসংক্রান্ত সম্ভাব্য সব ধরনের সুবিধা
দেওয়ার জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গতকাল সোমবার সাপোর্ট টু ডিজিটাল বাংলাদেশের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মো. নজরুল
ইসলাম খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাহবুব হাসান ও রবির
প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার বসু নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে
চুক্তিতে সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী রবি মোবাইল ফোনসংক্রান্ত সম্ভাব্য সব
সেবা (ডেটা কানেকটিভিটি, ইলেকট্রনিক রিচার্জ সার্ভিস ও পিসিও কানেকটিভিটি)
প্যাকেজ আকারে চার হাজার ৫০১টি ইউনিয়ন পরিষদের ইউনিয়ন ইনফরমেশন অ্যান্ড
সার্ভিস সেন্টারে প্রদান করবে।
প্রথম পর্যায়ে আগামী এক বছরের মধ্যে এ
কার্যক্রমের আওতায় ৮০০ ইউনিয়ন পরিষদে সেবা প্রদান করবে রবি। পর্যায়ক্রমে সব
ইউনিয়ন পরিষদে এ সেবা চালু করা হবে। এ কার্যক্রম চালু হলে গ্রামাঞ্চলের
সাধারণ মানুষ ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র (ইউআইএসসি) থেকে রবি সিম ব্যবহার
করে মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধাও পাবে। এ ছাড়া 'রবি অর্থ' কার্যক্রম চালু হলে
ইউআইএসসি থেকে রেমিট্যান্সের অর্থ সংগ্রহ এবং বিভিন্ন নাগরিক পরিসেবার বিল
পরিশোধ করতে পারবে।
চুক্তি সম্পর্কে রবির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা
বিদ্যুৎ কুমার বসু বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে গণমানুষের মধ্যে সরকারি এ সেবার
অংশীদার হতে পেরে রবি পরিবার আনন্দিত।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রবির
ভাইস প্রেসিডেন্ট (মার্কেট অপারেশন) সা'দাত আদনান আহমাদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট
মুহাম্মদ শাহেদুল আলম, ম্যানেজার (মার্কেট অপারেশন) মো. আতাউল হক প্রমুখ
উপস্থিত ছিলেন।
জীবন বীমার প্রিমিয়াম পরিশোধ সেবা বাংলালিংকে
বাংলালিংক
ও জীবন বীমা করপোরেশন (জেবিসি) মোবাইল ফোনভিত্তিক ইলেক্ট্রনিক
ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম পেমেন্ট সার্ভিস বা জীবন বীমার প্রিমিয়াম প্রদান
সেবা চালু করেছে। জেবিসির সব পলিসি হোল্ডারদের জন্য চালু করা নতুন সেবাটির
নাম দেয়া হয়েছে ‘বাংলালিংক মোবাইল ক্যাশ
ইন্স্যুরেন্স পে’। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে গতকাল আয়োজিত
এক অনুষ্ঠানে এ সেবার উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন
আহমেদ রাজু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জীবন বীমা করপোরেশনের (জেবিসি) চেয়ারম্যান
ও পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন ও জেবিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক
পরীক্ষিত দত্ত চৌধুরী, বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
(সিইও) ও সিএফও মোহামেদ ওসমান প্রমুখ। ‘বাংলালিংক মোবাইল ক্যাশ
ইন্স্যুরেন্স পে’ শীর্ষক এই সেবার আওতায় সারা দেশব্যাপী জীবন বীমা
করপোরেশনের (জেবিসি) সব পলিসি হোল্ডার নিজ নিজ মোবাইল ফোন অথবা বাংলালিংক
ক্যাশ পয়েন্ট লেখা আউটলেটসমূহের মাধ্যমে তাদের জীবন বীমার প্রিমিয়াম পরিশোধ
করতে পারবেন। অন্যদিকে বাংলালিংকের গ্রাহকরাও তাদের মোবাইল ওয়ালেট
ব্যালেন্স ব্যবহার করে নিজস্ব মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জীবন বীমার প্রিমিয়াম
জমা দিতে পারবেন। এছাড়াও গ্রাহকরা তাদের জীবন বীমা পলিসি সিডিউলের প্রিন্ট
কপি নিয়ে যে কোন বাংলালিংক মোবাইল ক্যাশ পয়েন্ট লেখা খুচরা আউটলেটসমূহে
গিয়ে প্রিমিয়াম পরিশোধ ও টাকার রশিদ সংগ্রহ করতে পারবেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী
বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ
নিয়েছে। দেশে এখন ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম চালু হয়েছে। ল্যাপটপ তৈরি
হয়েছে। সামনে আমরা স্মার্টফোন তৈরি করবো, যাতে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন
সেবা উপভোগ করা যাবে।
Tag :
banglalink
,
report
চার অপারেটরকে দিতে হবে ৩ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা
চারটি
মোবাইল ফোন অপারেটরের লাইসেন্স নবায়নের আবেদন গ্রহণ করেছে টেলিযোগাযোগ
নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। স্পেকট্রাম চার্জ এবং অন্যান্য ফির টাকা জমা
দেওয়ার জন্য ১৫ দিন সময় দিয়ে আজ সোমবার গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং
সিটিসেলকে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হবে। পাওনা পরিশোধের সঙ্গে সঙ্গে আবেদনে কাগজপত্রের যেসব ঘাটতি আছে সেগুলোও ১০ দিনের মধ্যে দেওয়ার কথা চিঠিতে উল্লেখ থাকবে।
রোববার সকালে কমিশনের এক জরুরি বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি। বৈঠক শেষে বিটিআরসির শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানান, কমিশন চারটি অপারেটরকে তাদের বাকি থাকা ডকুমেন্ট দেওয়ার পাশাপাশি লাইসেন্স নবায়ন নীতিমালা অনুসারে স্পেকট্রামের মূল্য পরিশোধ করতে বলেছে। জানা গেছে, সব অপারেটরকে তাদের দেনা পরিশোধ করতে বললেও গ্রামীণফোনের অডিট আপত্তির তিন হাজার ৩৪ কোটি টাকাকে লাইসেন্স নবায়নের সঙ্গে এখনই মেলাতে চাইছে না বিটিআরসি। সে কারণে এ বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ করা হচ্ছে না। চিঠিতে সব অপারেটরের স্পেকট্রাম মূল্য কখন কতটা পরিশোধ করতে হবে সেটি উল্লেখ করে দেওয়া থাকছে।
নীতিমালা অনুসারে, প্রত্যেক অপারেটরকে লাইসেন্স নবায়ন বাবদ যে অর্থ দিতে হবে তার ৪৯ শতাংশ এখনই পরিশোধ করতে হবে। সেক্ষেত্রে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সরকারের কোষাগারে এ খাত থেকে জমা পড়বে ৩ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা। বাকি টাকা আসবে দেড় বছরে তিন কিস্তিতে ১৭ শতাংশ হারে। প্রতি কিস্তির মেয়াদ হবে ১৮০ দিন করে। এদিকে লাইসেন্স নবায়নে স্পেকট্রাম মূল্য নির্ধারিত হয়েছে প্রতি মেগাহার্টজ দেড়শ' কোটি টাকা হারে। গ্রাহক সংখ্যার ভিত্তিতে এ মূল্যের ওপর কিছু হ্রাস-বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৩০ জুনে যে অপারেটরের যত গ্রাহক ছিল তার ওপর ভিত্তি করেই মার্কেট কম্পিটিশন ফ্যাক্টর (এমসিএফ) নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে গ্রাহক বেশি হওয়ায় গ্রামীণফোনের স্পেকট্রামের প্রকৃত মূল্য ভিত্তিমূল্যের চেয়ে এক দশমিক ৪৮ গুণ বেশি হয়েছে। সে কারণে ১৪ দশমিক ৬ মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের ভিত্তিমূল্য ২ হাজার ১৯০ কোটি টাকা হলেও তাদের প্রকৃত মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর ৪৯ শতাংশ এবং ১০ কোটি টাকা লাইসেন্স ফি হিসেবে তাদের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে দিতে হবে এক হাজার ৫৯৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
বাংলালিংকের ১২ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৭১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ১৫ দিনের মধ্যে তাদের দিতে হবে ৯৭৬ কোটি টাকা। রবিকে স্পেকট্রামের মূল্য ৪৯ শতাংশসহ এখনই দিতে হবে ৯৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। একই সময়ে সিটিসেলকে দিতে হবে ২৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
এর আগে গত সপ্তাহে চারটি অপারেটর আরও ১৫ বছরের জন্য তাদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করে। আগামী ১০ নভেম্বর অপারেটর চারটির ১৫ বছরের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হবে। স্পেকট্রাম চার্জের ওপরে অপারেটরদের ভ্যাট দিতে হবে কি-না এ বিষয়টি এখনও পরিষ্কার হয়নি। তার কারণে ভ্যাট কেটে রেখে অপারেটররা এত দিন বিটিআরসিকে যেভাবে পাওনা পরিশোধ করেছে এ ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না।
রোববার সকালে কমিশনের এক জরুরি বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি। বৈঠক শেষে বিটিআরসির শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানান, কমিশন চারটি অপারেটরকে তাদের বাকি থাকা ডকুমেন্ট দেওয়ার পাশাপাশি লাইসেন্স নবায়ন নীতিমালা অনুসারে স্পেকট্রামের মূল্য পরিশোধ করতে বলেছে। জানা গেছে, সব অপারেটরকে তাদের দেনা পরিশোধ করতে বললেও গ্রামীণফোনের অডিট আপত্তির তিন হাজার ৩৪ কোটি টাকাকে লাইসেন্স নবায়নের সঙ্গে এখনই মেলাতে চাইছে না বিটিআরসি। সে কারণে এ বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ করা হচ্ছে না। চিঠিতে সব অপারেটরের স্পেকট্রাম মূল্য কখন কতটা পরিশোধ করতে হবে সেটি উল্লেখ করে দেওয়া থাকছে।
নীতিমালা অনুসারে, প্রত্যেক অপারেটরকে লাইসেন্স নবায়ন বাবদ যে অর্থ দিতে হবে তার ৪৯ শতাংশ এখনই পরিশোধ করতে হবে। সেক্ষেত্রে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সরকারের কোষাগারে এ খাত থেকে জমা পড়বে ৩ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা। বাকি টাকা আসবে দেড় বছরে তিন কিস্তিতে ১৭ শতাংশ হারে। প্রতি কিস্তির মেয়াদ হবে ১৮০ দিন করে। এদিকে লাইসেন্স নবায়নে স্পেকট্রাম মূল্য নির্ধারিত হয়েছে প্রতি মেগাহার্টজ দেড়শ' কোটি টাকা হারে। গ্রাহক সংখ্যার ভিত্তিতে এ মূল্যের ওপর কিছু হ্রাস-বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৩০ জুনে যে অপারেটরের যত গ্রাহক ছিল তার ওপর ভিত্তি করেই মার্কেট কম্পিটিশন ফ্যাক্টর (এমসিএফ) নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে গ্রাহক বেশি হওয়ায় গ্রামীণফোনের স্পেকট্রামের প্রকৃত মূল্য ভিত্তিমূল্যের চেয়ে এক দশমিক ৪৮ গুণ বেশি হয়েছে। সে কারণে ১৪ দশমিক ৬ মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের ভিত্তিমূল্য ২ হাজার ১৯০ কোটি টাকা হলেও তাদের প্রকৃত মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর ৪৯ শতাংশ এবং ১০ কোটি টাকা লাইসেন্স ফি হিসেবে তাদের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে দিতে হবে এক হাজার ৫৯৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
বাংলালিংকের ১২ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৭১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ১৫ দিনের মধ্যে তাদের দিতে হবে ৯৭৬ কোটি টাকা। রবিকে স্পেকট্রামের মূল্য ৪৯ শতাংশসহ এখনই দিতে হবে ৯৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। একই সময়ে সিটিসেলকে দিতে হবে ২৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
এর আগে গত সপ্তাহে চারটি অপারেটর আরও ১৫ বছরের জন্য তাদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করে। আগামী ১০ নভেম্বর অপারেটর চারটির ১৫ বছরের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হবে। স্পেকট্রাম চার্জের ওপরে অপারেটরদের ভ্যাট দিতে হবে কি-না এ বিষয়টি এখনও পরিষ্কার হয়নি। তার কারণে ভ্যাট কেটে রেখে অপারেটররা এত দিন বিটিআরসিকে যেভাবে পাওনা পরিশোধ করেছে এ ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না।
Tag :
report
বিটিআরসি’র এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন সংসদীয় কমিটির
বেসরকারি মোবাইল ফোন
অপারেটরদের আয়-ব্যয়ের হিসাব যাচাইয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন
(বিটিআরসি)-এর এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়
সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। গতকাল সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে
টেলিকম আইন অনুযায়ী এ ধরনের হিসাব যাচাই
এবং এটা করতে অডিটর নিয়োগ করার এখতিয়ার রয়েছে কিনা তা-ও জানতে চাওয়া হয়।
বৈঠকে বিটিআরসি’র আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর হিসাব যাচাই করতে একটি
সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি নির্ধারণ করা এবং আর্থিক শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে সতর্কতার
সঙ্গে প্রতি বছর মোবাইল অপারেটরদের হিসাব যাচাই-বাছাইয়ের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া, এ ব্যাপারে টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন কমিটির পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের
পরামর্শ দেয়া হয়। আগামী নভেম্বরের মধ্যে মোবাইল অপারেটরদের লাইসেন্স
নবায়নের সঙ্গে কোম্পানির হিসাব-নিকাশের কোন সম্পর্ক না রাখারও পরামর্শ দেয়া
হয় কমিটির পক্ষ থেকে। কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে বৈঠকে
উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ,
নজরুল ইসলাম বাবু, খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী ও মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। বৈঠক শেষে
কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের বলেন, কমিটি মনে করে বিটিআরসি’র
আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর হিসাব যাচাইয়ের ব্যাপারে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি
থাকা দরকার। গ্রামীণ ফোনের সঙ্গে বিটিআরসি’র যে বিষয়ে দ্বন্দ্ব চলছে তা
কারওই কাম্য নয়। তাই নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান কোন পদ্ধতিতে নজরদারি করবে
তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা থাকা দরকার। বৈঠকে ২০১২ সালের আগেই যাতে থ্রিজি
লাইসেন্স চালু করা সম্ভব হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ
করা হয়। এছাড়া, সাবমেরিন ক্যাবলের আপগ্রেডেশন-৩ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের
মাধ্যমে ক্যাপাসিটি বাড়ানোর ব্যবস্থা করায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। আগামী
বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১ম ফেজ আপগ্রেড এবং মে-২০১২ এর মধ্যে আপগ্রেড
প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাংলাদেশের মোট ব্যান্ডউইড্থ ক্যাপাসিটি বর্তমানের
৪৪ দশমিক ৬ জিবিপিসি থেকে বাড়িয়ে ১৬০ জিবিপিসিতে উন্নীত করা এবং এর কিছু
অংশ ভাড়া দিয়ে অর্থ উপার্জনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বিসিএস (টেলিকম) ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সরকারি চাকরির শর্ত অক্ষুণ্ন
রেখে আগামী ৬ মাসের মধ্যে ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম গঠনের সুপারিশ করা হয়।
Tag :
report
সাক্ষাৎকারে গ্রামীনফোন সিইও
'নিরীক্ষা অস্বচ্ছ, অর্থ পরিশোধ নয়' -সিগভে ব্রেককে
বিটিআরসি নিরীক্ষার স্বচ্ছতায়
'সন্দেহ' প্রকাশ করে টেলিনরের এশিয়া-প্রধান বলেছেন, বিটিআরসির দাবি করা ৩
হাজার ৩৪ কোটি টাকা তারা পরিশোধ করবেন না।
টেলিনরের এশিয়া
অঞ্চলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং গ্রামীণফোন পরিচালনা বোর্ডের
চেয়ারম্যান সিগভে ব্রেককে আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে
অপারেটরের (গ্রামীণফোন) সুষ্ঠু নিরীক্ষারও দাবি জানান রোববার ।
দুপুরে রুপসী বাংলা হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, "বিটিআরসির নিরীক্ষা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে।"
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে নিরীক্ষা করা হয়নি মন্তব্য করে ব্রিককে
বলেন, "বিটিআরসির নিরীক্ষা প্রতিবেদন আমরা দেখতে চাই, এটি দেখে এ বিষয়ে
মন্তব্য করতে হবে।"
দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের ৫৬ শতাংশ মালিকানা নরওয়েভিত্তিক প্রতিষ্ঠান টেলিনরের।
একটি নিরীক্ষার ভিত্তিতে শুল্ক ও রাজস্ব ভাগাভাগি বাবদ বাংলাদেশ
টেলিযোগাযোগ নিয়ণ্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ৩ হাজার ৩৪
কোটি টাকা পরিশোধ করতে গত ৩ অক্টোবর গ্রামীণফোনকে চিঠি দেয় বিটিআরসি।
ওই চিঠিতে পরবর্তী ২১ দিনের মধ্যে অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়।
পরদিন গ্রামীণফোন সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে বিটিআরসির ওই নিরীক্ষা 'ভুল ধারণার ভিত্তিতে' হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে গ্রামীণফোনকে পুনরায় চিঠি পাঠায় বিটিআরসি। গ্রামীণফোনের একটি প্রতিনিধি দল গত ১০ অক্টোবর বিটিআরসি যায়।
তবে আলোচনায় বসার শর্ত হিসেবে পাওনা চেয়ে বিটিআরসির পাঠানো চিঠি
প্রত্যাহারের আহ্বান জানায় গ্রামীণফোন। এরপর বিটিআরসি জানায়, এখন তারা আইনি
পথে এগোবে।
এ পরিস্থিতিতে টেলিনরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জন ফ্রেডারিক বাকসাস শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন।
তবে সে সাক্ষাতে গ্রামীণফোনের পাওনা টাকা চেয়ে বিটিআরসির চিঠি বিষয়ে কী আলোচনা হয় তা জানা যায়নি।
'চাই গ্রহণযোগ্য সমাধান'
৩ অক্টোবরের চিঠিতে বিটিআরসির বেঁধে দেওয়া ২১ দিনের মধ্যেই অর্থ পরিশোধ বিষয়ে 'একটি ফলপ্রসূ' আলোচনা হবে বলে আশাবাদী ব্রেককে।
ঠির পরবর্তী ২১ দিনের মধ্যে গ্রামীণফোন তিন হাজার ৩৪ কোটি টাকা পাওনা পরিশোধ না করলে বিটিআরসি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে।
তিনি বলেন, "আমরা আশা করছি ওই সময়ের আগেই অর্থ মন্ত্রনালয় বা টেলিযোগাযোগ
মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি ফলপ্রসু আলোচনা হবে। যে সমস্যা হয়েছে আমরা এর একটি
গ্রহণযোগ্য সমাধান চাই।"
বিটিআরসি চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ ইতিমধ্যে বলেছেন, অর্থ পরিশোধ করা না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে গ্রামীণফোন
পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ব্রেককে বলেন, আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে
বিটিআরসি বিবেচনা করবে বলে তিনি আশা করেন।
ব্রেককে বলেন, "আমরা
এখানে ব্যবসা করতে এসেছি, এখানকার সব ধরণের আইন, নিয়ম কানুন মেনেই আমরা
ব্যবসা করতে চাই। আমরা চাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।"
বিটিআরসির
দাবির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে কি না সে বিষয়ে গ্রামীণফোন এখনো কোনো
সিদ্ধান্ত নেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, "প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপও বিবেচনা
করা হবে।"
'ব্যবসা গোটানোর কোনো চিন্তা নেই'
এক
প্রশ্নের জবাবে টেলিনরের এশিয়া-প্রধান বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে টেলিনর
বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার চিন্তা ভাবনা নেই। এ কারণে গ্রামীণফোন
দ্বিতীয় প্রজন্মের লাইসেন্স নবায়েনের আবেদন করেছে।"
গ্রামীণফোনের
নেটওয়ার্ক ভবিষ্যতে আরো বিস্তৃত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, "ডাটা, থ্রি-জি
প্রযুক্তি এবং স্থানীয় কনটেন্ট উন্নয়নে গ্রামীণফোন কাজ করে যাবে।"
"গ্রামীণফোন বিনিয়োগের ধারা অব্যহত রাখার জন্যই এসব কাজ করে যাবে।"
অপারেটরদের ব্যবসার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিনরের প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা জন ফ্রেডারিক বাকসাসের সাক্ষাতে কী নিয়ে কথা হয়েছে জানতে চাইলে
ব্রেককে বলেন, "আমি সে সময় ছিলাম না, তবে নানা বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা
হয়েছে।"
২জি লাইসেন্স নবায়নের ব্যাপারে তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়ায় প্রথম দিকে তারা থাকলেও পরে তা মেনে নেন।
রেগুলেটরি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে জানিয়ে ব্রেককে বলেন, "এসব ব্যাপারে আরো স্বচ্ছ হওয়া উচিৎ।"
বিটিআরসির নিরীক্ষার ভিত্তিতে পাওনা টাকা দাবি এবং ২জি লাইসেন্স ভিন্ন
বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, "লাইসেন্স নবায়নে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।"
বাংলাদেশ আগামীতে তৃতীয় প্রজন্মের লাইসেন্স দেবে। গ্রামীণফোন এ লাইসেন্স
নিতে আগ্রহী কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এ বিষয়ে পরিস্থিতির ওপর নির্ভর
করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে গ্রামীণফোন বাংলাদেশে ৩জি'র ব্যাপারে
আগ্রহী।"
ব্রেককে বলেন, বাংলাদেশে ইতোমধ্যে গ্রামীণফোন ২ দশমিক ৫
বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এক লাখ লোকের আইপিও রয়েছে। ১১টি দেশে তাদের
ব্যবসা রয়েছে, সেখানে ৩১ হাজার কর্মী রয়েছে।
বাংলাদেশের বাজার
খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে জানিয়ে ব্রিককে বলেন, আমরা চাই
এখানে একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকুক যেখানে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন টেলিনর এশিয়ার কমিউনিকেশন ডিরেক্টর
গিলেন ম্যানডেলিড, গ্রামীণফোনের চিফ কমিউনিকেশন অফিসার কাজি মনিরুল কবির
প্রমুখ।
Tag :
grameen phone
,
report
Robi & Brac Bank Mutual Remitence Service
প্রবাসীদের
কষ্টার্জিত অর্থ প্রিয়জনের হাতে অল্প সময়ে পৌঁছে দেয়ার জন্য মোবাইল ফোন
অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড ব্র্যাক ব্যাংকের সহায়তায় চালু করেছে
রেমিট্যান্স সেবা। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে অল্প সময়ে
প্রবাসীদের পাঠানো টাকা তাদের পরিবারের
কাছে পৌঁছে দেয়ার সেবা কার্যক্রম দেখতে, সমপ্রতি গাজীপুরের কালীগঞ্জে রবি
সেবা পয়েন্টে (আরএসপি) যান ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও
সৈয়দ মাহবুবুর রহমান এবং রবির চিফ মার্কেটিং অফিসার বিদ্যুৎ কুমার বসু।
তারা সেখানে বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলেন, রেমিট্যান্স গ্রহণকারীদের হাতে
উপহার তুলে দেন। সেখানে সেবা নিতে আসা রাবেয়া বেগম বলেন, ছেলের বিদেশ থেকে
পাঠানো টাকা তিনি দিনে দিনে অতি অল্প সময়ে তুলে নিয়েছেন। আগে ছেলে দেশে কেউ
আসলে তার মাধ্যমে টাকা পাঠাতো। এতে অনেক সময় লাগতো। তাছাড়া এর কোন আইনগত
প্রমাণ না থাকায় টাকা হারানো গেলে অভিযোগেরও কোন সুযোগ ছিল না। এখন আমি
নিশ্চিন্ত। বাড়ির কাছেই আছে রবি পয়েন্ট। এখান থেকে সহজে টাকা তোলা যায়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রবি বিশ্বাস করে মোবাইল ফোনে টাকা পাঠানোর এ সহজ অথচ ব্যতিক্রমী পদ্ধতি অনেক পরিবারের জীবনমান বদলে দেবে। এ সেবা তাৎক্ষণিকভাবে একটি পরিবারের প্রয়োজন পূরণে সহায়তা করছে। প্রাথমিকভাবে এই সেবা ঢাকা, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের আরএসপি গুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে সমপ্রসারিত করা হবে। যে কোন মোবাইল অপারেটরের গ্রাহক আরএসপি থেকে রেমিট্যান্স সেবা নিতে পারবেন এবং রেমিট্যান্স গ্রহণকারীরা বিনামূল্যে এ সেবা পাবে। অনুষ্ঠানে মোবাইল মানি’র কনসালটেন্ট মীনা সিভান, রবি’র ঢাকা রিজিওনাল ম্যানেজার রেজাউল ইসলাম সিদ্দিকী, ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট, কাস্টডিয়াল সার্ভিস অ্যান্ড প্রবাসী ব্যাংকিংয়ের খাজা শাহরিয়ার এবং হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স জিসান কিংশুক হক, হেড অফ ট্রেড অ্যান্ড রেমিট্যান্স শামসুল হক সুফিয়ান, সিনিয়র রিলেশনশিপ ম্যানেজার, প্রবাসী ব্যাংকিং, শাহরিয়ার মো. জামিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রবি বিশ্বাস করে মোবাইল ফোনে টাকা পাঠানোর এ সহজ অথচ ব্যতিক্রমী পদ্ধতি অনেক পরিবারের জীবনমান বদলে দেবে। এ সেবা তাৎক্ষণিকভাবে একটি পরিবারের প্রয়োজন পূরণে সহায়তা করছে। প্রাথমিকভাবে এই সেবা ঢাকা, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের আরএসপি গুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে সমপ্রসারিত করা হবে। যে কোন মোবাইল অপারেটরের গ্রাহক আরএসপি থেকে রেমিট্যান্স সেবা নিতে পারবেন এবং রেমিট্যান্স গ্রহণকারীরা বিনামূল্যে এ সেবা পাবে। অনুষ্ঠানে মোবাইল মানি’র কনসালটেন্ট মীনা সিভান, রবি’র ঢাকা রিজিওনাল ম্যানেজার রেজাউল ইসলাম সিদ্দিকী, ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট, কাস্টডিয়াল সার্ভিস অ্যান্ড প্রবাসী ব্যাংকিংয়ের খাজা শাহরিয়ার এবং হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স জিসান কিংশুক হক, হেড অফ ট্রেড অ্যান্ড রেমিট্যান্স শামসুল হক সুফিয়ান, সিনিয়র রিলেশনশিপ ম্যানেজার, প্রবাসী ব্যাংকিং, শাহরিয়ার মো. জামিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Tag :
robi others
Citycell Ultra Smart Prepaid Plan 15 MB Pack
Speed Up to=512 Kbps=Usage limit=15 MB@Tk20=Validity=1 Day
Speed Up to=150 Kbps=Usage limit=15 MB@Tk15=Validity=1 Day
To
activate Ultra Smart Pre-paid Plan, type the desire plan (for 512 kbps
daily plan type ‘US1’ & for 150 kbps daily plan type ‘US2’) name
from your connection and SMS to 9666
Note:
1) Type ‘WAP’ and SMS to 9666 to browse internet from your handset
2) EVDO enabled device is required to enjoy 512 kbps plan
3) Speeds refer to download speed only
4) VAT applicable & condition applicable
More Details Call 121, 01199121121
Nokia N9 at Half Price (Only for Icon)
শুধু আইকনদের জন্য এসেছে নকিয়া এন৯ ‘অর্ধেক মূল্যে’
আগামী নভেম্বর মাস থেকে আইকন ও নকিয়ার যৌথ উদ্যোগে আইকনদের জন্য
বিশেষভাবে নকিয়া এন৯ বাজারজাত করা হচ্ছে। নকিয়ার অনবদ্য স্মার্টফোন
নকিয়া এন৯-কে ঘিরে এই যৌথ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এন৯ স্মার্টফোনে আছে
অসাধারণ দ্রুত মোবাইল ব্রাউজিং সুবিধা, সেরা নেভিগেশন এবং কুইক ফায়ার
কার্ল জিস অপটিকস৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। আইকনরাই হবেন নকিয়া এন৯-এর প্রথম
সৌভাগ্যবান ব্যবহারকারী। সাধারণ গ্রাহকের
দুই সপ্তাহ আগে আইকন গ্রাহকেরা এন৯-এর গর্বিত অধিকারী হতে চলেছেন এবং
খুচরা বাজার মূল্যের চেয়ে অর্ধেক দামে তারা এন৯ ক্রয় করতে পারবেন।
আইকনদের মধ্যে যারা প্রি-অর্ডার দেবেন তাদের প্রথম ৫০ জন এই বিশেষ ছাড়
সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া আইকনদের জন্য রয়েছে সীমিতসংখ্যক আকর্ষণীয় নকিয়া
এক্সেসরিজ। এই অফারটি উপভোগ করতে একজন আইকনের সর্বনিম্ন দুই মাসের
মেম্বারশিপ থাকতে হবে।
নকিয়া এন৯ আসছে অনন্য সাধারণ নতুন শৈলী নিয়ে;
এতে হোম কির বদলে এসেছে অতি মৃদু একটি জেশ্চার : সোয়াইপ। যখন গ্রাহক একটি
অ্যাপ্লিকেশনে থাকবেন এর সাহায্যে স্পর্শমাত্র চোখের পলকে হোমে পৌঁছে
যাবেন।
এতে তিনটি হোম ভিউ সুবিধা রাখা হয়েছে, যার মাধ্যমে গ্রাহকেরা
একটি ফোনের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি যা সুবিধা নিতে চান, তা-ই পাবেন। এগুলো
হচ্ছে : অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার, নোটিফিকশন ও সোসাল নেটওয়ার্কের সাহায্যে আপ
টু ডেট থাকা এবং একটিভিটিজের মধ্যে সুইচিং বা একটিভিটিজের তাৎক্ষণিক বদল
করার সুবিধা। বিজ্ঞপ্তি।
Tag :
banglalink
,
banglalink-promotion
Banglalink Auto Bill Pay Option
what is "auto bill pay"?
banglalink makes mobile bill payments absolutely hassle free for the
subscribers. with auto bill pay, a subscriber needs to sign in a form
and we take care of collecting mobile bills and updating the billing
information. moreover, the whole process of bill collection and billing
system update is fully automated. thus, subscribers will never have to worry about getting barred.
features of "auto bill pay":
bills will be collected from subscribers’ credit card(s). the auto bill
pay system accepts any visa, mastercard, or american express card
issued from any bank.
subscribers need to sign the auto bill pay authorization only once.
bills will be collected when subscriber’s usage reaches 80% of his/her credit limit or at month end.
connection will never be barred if the subscriber chooses the 1st option (see details below) with sufficient available fund.
saves valuable time for the subscriber as subscriber doesn’t have to "pay" his bills again.
subscribers will have more flexibility to make payments (up to 45 days credit limit for credit cards).
new postpaid subscribers signing up for auto bill pay will not be
required to pay any security deposit and will enjoy a default credit
limit of bdt 500.
three options for "auto bill collections":
1st option: collect full outstanding amount when my usage reaches 80% of my credit limit
2nd option: collect 50% of my outstanding amount when my usage reaches 80% of my credit limit
3rd. option: collect my bill at the end of the month (if my bill crosses my deposit my line may be barred)
example:
subscriber has credit limit of tk. 500
- if he chooses 1st option, whenever his usage reaches tk. 400 (80% of 500), we will collect tk. 400 from his credit card,
- if he chooses 2nd option, whenever his usage reaches tk. 400 (80% of 500), we will collect tk. 200 from his credit card,
- if he chooses 3rd option, we will collect the outstanding dues at
month end from his credit card. please note that subscriber may be
barred if his usage crosses tk. 500 and no separate payment is made, if
choosing this option.
- any outstanding amount at the end of the billing period will be collected on bill cycle date.
auto bill pay registration process:
to avail the auto bill pay facility, subscriber has to sign up by
signing and submitting the auto bill pay authorization form (click here
to download pdf form) to us. subscribers can get the form from
banglalink customer care centers or from banglalink website.
for verification purpose collection of either the national id card or the passport of the cardholder (photocopy) is mandatory.
after successful registration, subscriber’s bills will be collected
automatically from his/her credit card. it will take maximum 48 hours to
activate the facility. the facility will start from the current bill
cycle if the application is submitted at least 48 hours before the end
of bill cycle.
subscriber has to apply in writing to deactivate the facility at the nearest customer care center.
Tag :
banglalink
,
Bl other service
Robi Internet Notice (রবি ইন্টারনেট নোটিশ)
1.Name of the Service : Internet migration
2.Target Base : All Robi Pre-paid Internet Subscribers
3.Launch Date : October 16th , 2011 00:00 hrs
4.Access mode : N/A
5. New Features
:Currently the Robi Internet subscribers go directly to pay per use mode after the bundle packet is fully consumed. Infact they do not get any kind of notification prior to 100% consumption of the bundle packet. As a result they lose huge sum of money from their pocket and this creates customer dissatisfaction and also huge complaints. There has been a directive from BTRC also to develop a tool to restrict this unexpected money deduction. Considering the customer centricity and also to get aligned with BTRC directive, Robi has developed a tool which would keep the internet users on a comfort zone. From October 16th 00:00 Hrs, all Robi Internet users will be migrated to pay per use package, ofcourse their bundle packet will be carried forward. To again migrate to bundle package they have to dial USSD code. Please note that subscriber in bundle mode cannot go on to pay per mode without migration and subscriber on pay per mode cannot purchase bundle unless they migrate to bundle package and dial the respective package code. Below table would give a complete picture.
Migration from pay per use to bundle mode | Migration from bundle packet to pay per use mode | Number of times migration possible | Migration charge | Migration date and time |
Dial *8999*00# | Dial *8999*99# | 2 times in 15 days | BDT 0.00 | October 16th, 2011 00:00 Hrs |
- VAT applicable
- The cut-over date is 16th October 00:00 Hrs 2011
- This is not a campaign but a development in internet service for Pre-Paid users only
- P&S will inform if there is any further change
Robi Internet
Internet from your Robi connection is the best way to bring World Wide Web in your fingertips!
Robi Internet saves you from wasting time in dialing up or spending money for each minute. GPRS/ EDGE coverage throughout the country ensures you to get high speed connectivity with the information super highway. Different Internet plans are also available for you with the best value.
With Robi Internet, there is no boundary for…
- Searching your required information through browsing
- Sending & receiving your emails
- Downloading files (Music, Video, Games, etc)
- Chatting with your friends
- Unlimited addition to black/white list
* To start enjoying Robi Internet all you need is a GPRS/ EDGE enabled mobile phone with Robi connection.
* Robi customers are able to use Internet services by default. So, no further registration is needed.
* To configure your phone ready for Robi Internet few simple steps are required.
So, now you are all set to choose the Robi Internet plan appropriate for you.
Grameenphone Call Block Service
Call Block Service enables subscribers to easily block unwanted calls to their mobile phones anytime, anywhere through its Blacklist feature. Recently, Grameenphone has also introduced the Whitelist feature to allow only certain numbers to be able to call the subscriber, keeping all other callers blocked.
SMS: Type Start CB and send to 5678
USSD: Dial *111*1*1#
IVR: Dial 5678
USSD: Dial *111*1*4#
IVR: Dial 5678
To make it easy for the subscribers, GP has introduced a fully functional USSD menu for this service, which will guide the subscriber through all the features of this service. This can be done by dialing *111# and follow the instructions.
For your convenience, Grameenphone Ltd. has introduced “Weekly charging” feature for Call Block service, applicable for eligible prepaid subscribers only. This feature enables all Smile, djuice, Apon, Shohoj, Bondhu, Business Solutions prepaid, Ekota, and Badhon subscribers to avail the Call Block service on a weekly basis at BDT BDT 7 (+ 15% VAT) per week. Existing Call Block users, who subscribed for 30 days – will be able to enjoy the full 30 days of the service, and will be converted to Weekly subscriptions once the 30 days are expired.
Private PSTN: e.g. 037xxxxxxx, 0644xxxxxxxx etc.
BTCL: Area Code + Number e.g. 02xxxxxxx, 031xxxxxxx etc.
ISD: 00 + Country Code + Number e.g. 0044xxxxxxxxxxxxxx, 0091xxxxxxxxxxxx etc.
Subscription Process:
Any GP subscriber can subscribe to the Call Block service.SMS: Type Start CB and send to 5678
USSD: Dial *111*1*1#
IVR: Dial 5678
Unsubscription Process:
SMS: Type Stop CB and send to 5678USSD: Dial *111*1*4#
IVR: Dial 5678
To make it easy for the subscribers, GP has introduced a fully functional USSD menu for this service, which will guide the subscriber through all the features of this service. This can be done by dialing *111# and follow the instructions.
Product features and usage:
A GP subscriber can block/allow as many numbers as s/he wants starting with first 10 free slots. For example, a subscriber blocked 10 numbers by using first 10 slots. After a period, s/he can delete one number from the slot and add another number with no additional charge. In this way, the subscriber can remove any number from the first 10 slot to add new numbers in the Blacklist/Whitelist. After free first 10 number slots, subscribers have to pay for each number he wants to block/allow from 11th to 20th slots.For your convenience, Grameenphone Ltd. has introduced “Weekly charging” feature for Call Block service, applicable for eligible prepaid subscribers only. This feature enables all Smile, djuice, Apon, Shohoj, Bondhu, Business Solutions prepaid, Ekota, and Badhon subscribers to avail the Call Block service on a weekly basis at BDT BDT 7 (+ 15% VAT) per week. Existing Call Block users, who subscribed for 30 days – will be able to enjoy the full 30 days of the service, and will be converted to Weekly subscriptions once the 30 days are expired.
Tariff:
- BDT 7 / week (pre-paid subscribers) & BDT 30 / month (post-paid subscribers) for availing call block service
- Initial 10 slots additions/modifications/deletion to the blacklist/whitelist is free.
- If subscriber has already filled up 10 slots in the blacklist/whitelist with number, BDT 10 (BDT 2 port + BDT 8 service) additional charge will be applicable
- Initial 10 slots additions/modifications/deletion to the blacklist/whitelist is free
- If subscriber has already filled up 10 slots in the blacklist/whitelist with number, BDT 8/number additional charge will be applicable
- SMS charge: Free
Notes:
For SMS based usage, the keywords are given below:Sl | Action | Keyword | Example |
---|---|---|---|
1 | To subscribe | Start CB | Start CB |
2 | To add number to blacklist | ADD<space>Number | Add 017xxxxxxxx |
3 | To delete number to blacklist | DEL<space>Number | Del 017xxxxxxxx |
4 | To modify number in blacklist | CH<space>Old Number <space>New Number | CH 017xxxxxxxx 017xxxxxxxx |
5 | To see current blacklist | LIST | List |
6 | To activate the blacklist | ON | On |
7 | To deactivate the blacklist | OFF | Off |
8 | To add number to whitelist | W ADD<space>Number | W Add 017xxxxxxxx |
9 | To delete number from whitelist | W DEL<space>Number | W Del 017xxxxxxxx |
10 | To modify number in Whitelist | W CH<space>Old Number<space> New Number | W CH 017xxxxxxxx 017xxxxxxxx |
11 | To see current whitelist | W LIST | W List |
12 | To activate the whitelist | W ON | W On |
13 | To deactivate the whitelist | W OFF | W Off |
14 | To view active list status | VIEW | View |
15 | To Unsubscribe | Stop CB | Stop CB |
16 | For Help | HELP | Help |
Valid Number formats:
Mobile: e.g. 017xxxxxxxx, 019xxxxxxxx, 018xxxxxxxx, 011xxxxxxxx, 016xxxxxxxx, 015xxxxxxxx.Private PSTN: e.g. 037xxxxxxx, 0644xxxxxxxx etc.
BTCL: Area Code + Number e.g. 02xxxxxxx, 031xxxxxxx etc.
ISD: 00 + Country Code + Number e.g. 0044xxxxxxxxxxxxxx, 0091xxxxxxxxxxxx etc.