দ্বিতীয় প্রজন্মের (টু-জি) প্রযুক্তির লাইসেন্স নবায়ন নীতিমালা মেনেই গ্রামীণফোনের কাছ থেকে ৩৮৪ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশনের (BTRC) চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ।
টু-জি লাইসেন্স নবায়নে সোমবার গ্রামীণফোনসহ চার মোবাইল অপারেটরকে চিঠি দেয় বিটিআরসি। লাইসেন্স নবায়নে প্রথম কিস্তির টাকা চেয়ে চিঠি পাঠানোর পরদিন মঙ্গলবার টু-জি লাইসেন্স নবায়নে ‘বাড়তি’ ৩৮৪ কোটি টাকা চাওয়ার ব্যাখ্যা চেয়ে বিটিআরসিকে চিঠি দেয় গ্রামীণফোন।
এই বিষয়ে জিয়া আহমেদ বলেন, গ্রামীণফোনকে বৃহস্পতিবার (আজ) এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেওয়া হবে। তিনি জানান, ২০০৮ সালের বরাদ্দ করা তরঙ্গ বা স্পেকট্রামের ওপর মার্কেট কম্পিটিশন ফ্যাক্টর (এমসিএফ) যোগ করে ৩৮৪ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।
গ্রামীণফোনের চিঠিতে দেওয়া অভিযোগের বিষয়ে জিয়া আহমেদ বলেন, প্রতি মেগাহার্টজ ৮০ কোটি টাকা করে ২০০৮-এ ৭ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ তরঙ্গ ১৮ বছরের জন্য বরাদ্দ পায় গ্রামীণফোন। তখন লিখিত চুক্তি হয়, ভবিষ্যতে লাইসেন্স নবায়নের বিষয়ে তরঙ্গের জন্য কোনো চার্জ নেওয়া হবে না। তবে টু-জি লাইসেন্স নবায়ন নীতিমালার ৯ দশমিক ১ ধারা অনুযায়ী, ২০০৮ এ বরাদ্দ করা তরঙ্গের ফি ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে অর্থাৎ এমসিএফ আমলে নেওয়া যাবে।

- Copyright © 2013 telecom bd - Metrominimalist - Powered by Blogger - Designed by Johanes Djogan | Distributed by Rocking Templates -